প্রদীপ কুমার মজুমদার
অথবা ব্যাসদেব যখন ঐ একই উপাখ্যান যুধিষ্ঠিরকে বলছেন তাতেও সংখ্যার পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়। তবে এই উপাখ্যানের বিষয়বস্তু থেকে স্পষ্টই বলা যায় দশাঙ্ক সংখ্যা এ’রা প্রত্যেকেই জানতেন। যাই হোক উক্ত তিনজনের উক্তি তিনটি তুলে ধরছি:
পুরোহিত ধৌম্যের উক্তি- “বিংশতিঃ সপ্তচাষ্টৌ চ হয়মেধানুপাহরং”।
নীলকণ্ঠ এটির টীকাতে বলেছেন- “বিংশতিঃ বিংশতিবারমাবত্তিতঃ সপ্ত অষ্টো চেতি অষ্টচত্বারিংশদধিকং শতম্। ত্রয়স্ত্রিংশভূতং রাজেতি তু শ্রুতিঃ। বিংশতিমিতি পাঠেহন্তহীনসংখ্যত্বাৎ পঞ্চত্রিংশৎ।
যাই হোক সোজা কথায় বলা যায় যে, নীলকণ্ঠ মনে করতেন-
অশ্বমেধ যজ্ঞানুষ্ঠানের সংখ্যা এক্ষেত্রে ১৪৮ (২০০৭+৮) কিন্তু ‘বিংশতিঃ’ স্থলে বিংশতিং ধরলে এটি হবে ৩৫ (২০+৭+৮)।
বেদব্যাসের উক্তি:
সোহশ্বমেধশতেনেষ্ট। যমুনামনু বীৰ্য্যবান্।
ত্রিশতাস্বান্ সরস্বাত্যাং গঙ্গামনু চতুঃশতাম্।
অর্থাৎ,যমুনা নদীর তীরে ১০০, সরস্বতীর তীরে ৩০০ ও গঙ্গাতীরে ৪০টি অশ্বমেধ যজ্ঞ অনুষ্ঠান করেছিলেন।
(চলবে)
Leave a Reply