বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৬ পূর্বাহ্ন

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৮)

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ২ জানুয়ারী, ২০২৫, ৫.৪৫ পিএম

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

এই পাথর সেনারা শত্রুপক্ষকে নানা কৌশলে বিছিন্ন করে দিতে পেরেছিল। এই ভাল কাজ পরিদর্শন করতে এসেছিল ইনকা রাজা। দেখে খুব সন্তুষ্ট হয়ে ইনকা রাজা পাথরসেনাদের প্রশংসা করেন এবং মহাসম্মানে কুজকো শহরে নিয়ে যান।

এই সম্মানীয় সদস্যদের ইনকা রাজা সূর্যমন্দির এবং অন্যান্য পবিত্র স্থানে রাখার ব্যবস্থা করেন। এরপর থেকে তারাও সাধারণের সম্মান শ্রদ্ধার বাইরেও পূজা অর্চনা পেতে শুরু করে। পেতে থাকে নানা উপঢৌকন, বলিদান। এই সঙ্গে পুরুরা উকদের আলাদা আলাদা নামকরণও করা হত। এর মধ্যে সুয়াকেস বা (ভাই) ছিলেন ধাতব পাথরের স্থপতি। এই সঙ্গে তারা কাঠের জিনিসও তৈরি করতে পারত। ইনকা শাসক বা রাজা এইসব নিজেদের জন্য বানাবার আদেশ দিয়ে স্থপতিদের সম্মান জানাত।

মাচাকুয়ে এবং (Machacuay) ভাষা ও প্রথা সংস্কৃতির আদানপ্রদানঃ ইনকাদের ধর্মীয় বিশ্বাসে মাচাকুয়ের এক বিশেষ অবস্থান আছে। সাধারণভাবে মাচাকুয়েকে মার্জ-এর দেবতা বলে মনে করা হয়। বনবিড়াল হুয়ানাকোয় ঝাপ তিয়াহুনাকো এবং ভালুককে তোমেবাম্বায় পূজো করা হয়েছিল। এছাড়া বাঘকেও পুজো করা হয়েছিল চাচাপোয়ায় (Chachapoyay)। পেরুতে বাস করে এমন ইনকাদের গাছ, লতাপাতা, পাথর, জমি, আকাশ, বনজঙ্গলের অনেক প্রাণী নিয়ে লৌকিক দেবদেবীর ধারণা প্রচলিত। ইনকাদের এই বহু দেবদেবীর ধারণা, বিশ্বাস এর পেছনে সমাজ- রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটও আছে। কেননা লাতিন আমেরিকার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বহুবছর ধরে নানা ধরনের শাসক এসেছে।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৭)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৭)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024