স্বদেশ রায়
তোমার গৈরিক বরনের ওপর ওরা গভীর কালো দাগ
দিয়ে দিতে চায়।
তুমি ওদের ক্ষমা করো দিও প্রভু।
হিংসায় উম্মত্ত পৃথিবীতে
চির ললিতবানী শোনাতে তুমি অজয়ের কূলে কূলে গেয়েছিলে-
সুমধুর জাগরনী গান গৈরিক বসন গায়ে।
শ্রীহট্টের জল আর বাতাসে আরো নরম হয়েছিলো সে গান।
তোমার কোন অস্ত্রে বিশ্বাস নেই-
তুমি বিশ্বাস করো ভালোবাসায় পাথর গলে যায়-
তোমার বুকে ছুরি চালাতে এসে তোমার বুকেই তারা লুটিয়ে পড়ে।
তুমি নির্ভয়ে গ্রহন করো সেই ছুরি হাতের পাষন্ডকে।
তুমি জান জীবন জীর্ণ বসন-
জীবনের কর্ম স্বর্ণময়।
মানুষ ছাড়া তোমার কোন আত্মীয় নেই
তাই তুমি নিজ সংসার ছেড়েছো
বার বার।
মাতৃমুক্তি, মানব মুক্তিতে যে সন্ন্যাস নেয়-
পিছে যার থাকে না মানুষ ছাড়া কোন
আপনগৃহের বন্ধন-
তার শক্তি আকাশের ওই লাল সূর্যটার মতো-
যে কেবল জগতের গতিতে বাধা-
আত্ম চাহিদার দুর্বলতাকে করেছে চূর্ণ
আপন আত্মার অবিনাসী শক্তি দিয়ে।
আত্ম চাহিদা পৃথিবীর সব থেকে কঠিনতম অস্ত্র
তাকে যে করেছে জয়-
রাষ্ট্র শক্তি, দুবৃত্ত শক্তি তার কাছে তো ক্ষণকালের বায়ু।
নিজেকে যে জয় করেছে মৃত্যু তো তার কাছে বিকেলের বাতাস মাত্র।
নিপীড়ন,মৃত্যু আর রাষ্ট্র নামক শেকলের ঝনঝনানি –
কেবলই আর বুকের ভেতর থাকা অবিনাসী রশ্মি-
ছড়িয়ে দেয় প্রাণ থেকে প্রাণে।
আপনাকে যে ছেড়েছে তার রশ্মিকে
আপনাকে নিয়ে ব্যস্ত যে সে রুখবে কোন ক্ষমতা দিয়ে!
কঠিন শেলের মৃত্যু বার বার হেরে গেছে
ভালোবাসা-কোমল বুকে আঘাত হেনে-
অমনি নরম কোমলে কেবলই জয়ের ফুল ফোটে-
হিংস্র অস্ত্র আর মৃত্যু পরাজিত হয়-
কালের নৌকায় ঠিক চিরকালের জন্যে।
Leave a Reply