এলোমেলো হাঁটা, হৈ চৈ ও কটূক্তির অভিযোগ

পাসিং আউট বা সমাপনী কুচকাওয়াজ স্থগিতের ‘নজিরবিহীন ঘটনা’টি নিয়ে ব্যাপক আলোচনার পর এসব কর্মকর্তাদের মধ্যে ২৫ জনকে কারণ দর্শাও নোটিশ দেয় কর্তৃপক্ষ।

এর মধ্যে ২১ জনের বিরুদ্ধে ২৬শে নভেম্বর প্রশিক্ষণ মাঠে ‘দৌড়ানোর নির্দেশ সত্ত্বেও এলোমেলোভাবে হাঁটা ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির’ অভিযোগ আনা হয়। পাশাপাশি ‘ওস্তাদজি (ট্রেইনার)র নির্দেশে অমান্য করে তর্কে লিপ্ত হওয়া ও কটূক্তির অভিযোগ’ও আনা হয় তাদের বিরুদ্ধে।

আর বাকী চার জনের বিরুদ্ধে ২৪শে নভেম্বর মুভি নাইটের সময় (প্রশিক্ষণার্থী পুলিশ কর্মকর্তাদের তাদের পেশার সাথে সম্পর্কিত শিক্ষামূলক সিনেমা দেখানো হয়) পাসিং আউট নিয়ে হৈ চৈ করা ও দুর্ব্যবহারের অভিযোগ আনা হয় কারণ দর্শাও নোটিশে। এর মধ্যেই এসব কর্মকর্তাদের নিয়ে আবারো পুলিশ ভেরিফিকেশন করা হয়।

যাদের কারণ দর্শাও নোটিশ দেয়া হয়েছে তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন বিবিসি বাংলার কাছে দাবি করেছেন ‘নোটিশে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে এসব ঘটনাই ঘটেনি’। তাদের দাবি ‘তাদের টার্গেট করা হয়েছে বলেই এসব কাল্পনিক অভিযোগ এনে’ চাকুরিচ্যুত করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।

যদিও এ ধরনের চেষ্টার ব্যাপারে কোন তথ্য নেই বলে জানিয়েছেন পুলিশের কর্মকর্তারা।

জানা গেছে ৪০ তম বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যারা নিয়োগ পেয়েছিলেন তাদের মধ্যে ১১ জন সনাতন ধর্মাবলম্বী। আর তাদের সাথে একই সাথে প্রশিক্ষণে থাকা ৩৮ তম বিসিএসের তিন জনের মধ্যে একজন সনাতন ধর্মের।

সবমিলিয়ে এই ১২ জনের মধ্যে নয়জনকেই কারণ দর্শাও নোটিশ দিয়ে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়েছে। আর বাকী ১৬ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ হলো তারা ছাত্রজীবনে ছাত্রলীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন।

শোকজপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান, শুক্রবার তারা জানতে পেরেছেন যে ২৫ জনের মধ্যে ২১ জনকে চাকরি থেকে বাদ দেয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করে ফাইল পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। তবে পুলিশ সদর দপ্তর কিংবা সারদা পুলিশ একাডেমিতে এ তথ্যের সত্যতা বিবিসি যাচাই করে দেখতে পারেনি।