বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৪২ অপরাহ্ন

কাগজসংকটে প্রতিদিন কম ছাপতে হচ্ছে ২০ লাখ কপি পাঠ্যবই

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ৮.৩৫ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “পদত্যাগের ঘোষণা দিলেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো”

কানাডার প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাস্টিন ট্রুডো। আজ সোমবার এক সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দিয়েছেন তিনি।

জাস্টিন ট্রুডো বলেছেন, দল নতুন নেতা নির্বাচন করার পর দলীয় প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দেবেন তিনি।

লিবারেল পার্টির নেতা ট্রুডো ৯ বছর ধরে কানাডার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেছেন, নিজের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনার পর তিনি পদত্যাগের এ সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তাঁর সফলতার পেছনে পরিবারের ভূমিকা রয়েছে। গত রাতে নৈশভোজের সময় সন্তানদের কাছে তিনি পদত্যাগের সিদ্ধান্ত জানান।

কানাডার রাজধানী অটোয়ায় এ সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ট্রুডো বলেন, কয়েক মাস ধরে বাধার কারণে পার্লামেন্ট পুরোপুরি অচল হয়ে আছে। একই সঙ্গে কয়েক মাস ধরে উৎপাদনশীলতার ঘাটতি রয়ে গেছে। তিনি বলেন, এখন নতুন করে শুরু করার সময়। কানাডার রাজনীতিতে উত্তাপ কমিয়ে আনার জন্য তা দরকার।

তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করে চলা ট্রুডো বলেন, দেশীয় ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে এই ‘জটিল’ সময়ে দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার জন্য পার্লামেন্টে একটি নতুন শুরু দরকার।

আগামী ২৪ মার্চ পর্যন্ত পার্লামেন্ট অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেছেন তিনি। সে পর্যন্ত লিবারেল পার্টির নতুন নেতা নির্বাচন করা হবে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “কাগজসংকটে প্রতিদিন কম ছাপতে হচ্ছে ২০ লাখ কপি পাঠ্যবই”

সরকারের বিনা মূল্যের প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের পাঠ্যবই শিক্ষার্থীদের হাতে পৌঁছানো সময় আরো দীর্ঘ হচ্ছে! কারণ কাগজের ভয়াবহ সংকট দেখা দিয়েছে। এতে বিপাকে পড়েছেন প্রেস মালিকরা। তারা কাগজসংকটে কার্যাদেশ পেয়েও বই ছাপাতে পারছেন না। জানা গেছে, ১১৬টি ছাপাখানা দিনে ৪০ লাখ কপি পাঠ্যবই ছাপাতে পারে। তবে কাগজসংকটের কারণে তারা দিনে ২০ লাখের বেশি ছাপাতে পারছে না।

এদিকে কাগজসংকটের বড় কারণ হলো পাঠ্যবই না ছাপিয়ে অবৈধ নোট-গাইড বই ছাপানো। এক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার তোয়াক্কা করছেন না একশ্রেণির প্রেস মালিক। তারা অধিক মূল্যে কাগজ ক্রয় করে বাজারে সংকট সৃষ্টি করেছেন। পাঠ্যবই ছাপানোর চেয়ে গাইড বই ছাপিয়ে ২০ গুণ বেশি মুনাফা পাওয়া যায়। এ কারণে দেদার ছাপিয়ে চলেছেন নোট-গাইড বই। সরকারের কাছে এমন তথ্য আসার পর ডিসিদের ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার নির্দেশ দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।

সম্প্রতি ঢাকা জেলা প্রশাসককে পাঠানো শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে বলা হয়েছে, ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণির নতুন পাঠ্যবই ছাপা পুরো জানুয়ারি মাস জুড়ে চলবে। এ সময়ে ৪০ কোটি পাঠ্যবই ছাপার কাজে নিযুক্ত প্রেসসমূহে যেন নোট ও গাইড বই, ডায়ারি, ক্যালেন্ডার ইত্যাদি ছাপতে না পারে তা নিশ্চিত করতে ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনার জন্য বলা হলো। চিঠিতে ঢাকা জেলা প্রশাসককে ১১৬টি প্রেসের ঠিকানাও দেওয়া হয়েছে। আরো কয়েক জন জেলা প্রশাসককে একই চিঠি পাঠানো হয়েছে বলে জানা গেছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বাজেট বাস্তবায়নে বিদেশী অর্থে নির্ভরতা বেড়েছে”

বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও বড় বড় মেগা প্রকল্পকে ঘিরে প্রতি বছরই স্ফীত হয়েছে বাজেটের আকার। যদিও এর সঙ্গে সংগতি রেখে রাজস্ব আহরণ বাড়েনি। বরং গোষ্ঠীস্বার্থে করছাড়সহ নানা সুবিধা দেয়ায় রাজস্ব হারাতে হয়েছে। এ অবস্থায় বিশাল বাজেট বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঋণের পাশাপাশি বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভরতা বেড়েছে সরকারের। এ বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভরতার প্রবণতা বজায় থাকতে দেখা যাচ্ছে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও।

আগের সরকারের রেখে যাওয়া বিশাল বাজেটে সংশোধন না আনার কারণেই এমন পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্যমতে, চলতি অর্থবছরের বাজেট পুনর্বিবেচনার বড় সুযোগ থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকার তা করতে পারেনি। যদিও অতীতে বাজেট বাস্তবায়নে বিদেশী সহায়তার ওপর নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে আসার নজির রয়েছে বাংলাদেশের। সে সময় মূলত প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্যই বিদেশীদের কাছ থেকে অর্থসহায়তা নিত সরকার। সর্বশেষ ২০১৭-১৮ অর্থবছরেও প্রকল্পের বাইরে বাজেট বাস্তবায়নের জন্য বিদেশীদের কাছ থেকে কোনো অর্থ সহায়তা নেয়া হয়নি। যদিও এর পরের অর্থবছরগুলোয় বিদেশীদের কাছ থেকে বাজেট সহায়তা গ্রহণের পরিমাণ ক্রমান্বয়ে বেড়েছে।

অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) তথ্যানুসারে, বিদেশীদের কাছ থেকে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৪০ কোটি, ২০১৯-২০ অর্থবছরে ৭০ কোটি, ২০২০-২১ অর্থবছরে ১১০ কোটি, ২০২১-২২ অর্থবছরে ২৫৯ কোটি, ২০২২-২৩ অর্থবছরে ১৫১ কোটি এবং সর্বশেষ ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ২০৩ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা নিয়েছে বাংলাদেশ।

এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিতে হয়েছে ২০২১-২২ অর্থবছরে কভিডের কারণে। আগের সরকারের ধারাবাহিকতায় বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকেও আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ), বিশ্বব্যাংক ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) মতো বহুজাতিক দাতাগোষ্ঠীগুলোর কাছে বাড়তি বাজেট সহায়তা চাইতে হয়েছে। এর মধ্যে বিশ্বব্যাংক ৫০ কোটি ডলার এবং এডিবি ৬০ কোটি ডলারের বাজেট সহায়তা দিতে সম্মত হয়েছে। আইএমএফের কাছে সরকার আরো ৭৫ কোটি ডলার চেয়েছে। সংস্থাটি এতে সম্মতিও দিয়েছে, যা আইএমএফের পর্ষদে অনুমোদনের পর চূড়ান্ত হবে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সাইবার ফাঁদে ৯১৬৫ নারী”

মধ্যবয়সী এক নারীর ফেসবুকে পরিচয় হয় আশরাফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তির। পরিচয়ের ৬ মাস পরে তাদের মধ্যে তৈরি হয় বন্ধুত্ব। দীর্ঘদিনের
বন্ধুত্বের সম্পর্ক গড়ায় প্রেমে। নিয়মিত ভিডিও কলে কথা হয় ম্যাসেঞ্জারে। কিছুদিন না যেতেই ওই নারীকে অনৈতিক প্রস্তাব দেন আশরাফুল। কথোপকথনের একপর্যায়ে সে স্ক্রিন রেকর্ডারের মাধ্যমে ভুক্তভোগী ওই নারীর অশ্লীল ভিডিও ও ছবি ধারণ করে রাখে মোবাইলে। পরে এসব ভিডিও ও ছবি ওই নারীর কাছে পাঠায়। ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার কথা বলে নানা ধরনের হুমকি দেয়া হয়। ভুক্তভোগী নারী পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের ফেসবুক পেজে অভিযোগ করেন। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আশরাফুলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

শুধু ভুক্তভোগী এই নারীই নন, সাইবার স্পেসে প্রতিনিয়ত নানাবিধ হয়রানির শিকার হচ্ছেন নারীরা। ভুক্তভোগী অনেক নারী বেছে নিচ্ছেন আত্মহননের পথও। এ ধরনের অপরাধীরা অনেক সময় এসব ছবি ও ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে হাতিয়ে নেয় বড় অঙ্কের টাকা। গত ১ বছরে পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনে ৯ হাজার ১৬৫ জন নারী প্রতিকার চেয়েছেন। পুলিশ সাইবার সাপোর্ট ফর উইমেনের তথ্যমতে, গত এক বছরে ভুক্তভোগী এসব নারীর ৪ হাজার ১৩৪ (৪৫ শতাংশই) ডক্সিংয়ের (বিনা অনুমতিতে স্পর্শকাতর ছবি-ভিডিও, তথ্য প্রভৃতি প্রকাশ করা) শিকার হয়েছেন। ইমপার্সোনেশন ৫৩০ (৬.০০ শতাংশ), আইডি হ্যাক ১ হাজার ৩৯৩ (১৭.০০ শতাংশ), ব্ল্যাকমেইলিং ১ হাজার ৭২৪ (১৮.০০ শতাংশ), সাইবার বুলিংয়ের অভিযোগ করেছেন ৮৭৩ (৯.০০ শতাংশ), আপত্তিকর কন্টেন্ট ছড়ানো ২৫৬ (৩.০০), মোবাইল হ্যারেসমেন্ট ২৪১ (২ শতাংশ) এবং অন্যান্য ১৪ জন। সেবাপ্রত্যাশীদের মধ্যে ৯ হাজার ১৬৫ জন নারী সাইবার স্পেসে হয়রানির শিকার হয়ে প্রতিকার চেয়েছেন।

সূত্র জানায়, ভুক্তভোগীদের তথ্য আদান-প্রদানে সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দেয়া হয় সাপোর্ট সেন্টার থেকে। হয়রানির বিষয়ে তথ্যানুসন্ধান করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয় এখান থেকে। এছাড়া ভুক্তভোগীকে তথ্য-প্রযুক্তি ব্যবহার ও আইনগত পরামর্শও দেয়া হয়। সাইবার স্পেসে প্রতিনিয়ত নারীরা হয়রানির শিকার হচ্ছেন। প্রতারণার শিকার হয়ে অনেক নারী লোকলজ্জায় আত্মহত্যার মতো পথ বেছে নিচ্ছেন। আবার অনেকেই সমাজে নানাভাবে অপমান-অপদস্ত হচ্ছেন। বিশেষ করে ফেসবুকে ভুয়া আইডি ব্যবহার করে এক ধরনের প্রতারক নারীদের নানাভাবে হয়রানি করছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কাছে ভুক্তভোগী নারীরা এসব বিষয়ে প্রায়ই অভিযোগ করছেন। অভিযোগের সূত্রধরে তারা এ ধরনের প্রতারকদের আইনের আওতায় আনছেন।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024