সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “মহাসড়ক নির্মাণের ব্যয় বাংলাদেশে বেশি”
বাংলাদেশে প্রতি কিলোমিটার চার লেনের মহাসড়ক নির্মাণে ব্যয় শতকোটি টাকা বা এর চেয়ে বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারত তো বটেই, এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায়ও বাংলাদেশে মহাসড়ক নির্মাণের ব্যয় কয়েক গুণ বেশি। ফলে মহাসড়ক নির্মাণ ব্যয়ের দিক থেকে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম শীর্ষ দেশে পরিণত হয়েছে।
বর্তমানে এলেঙ্গা থেকে রংপুর এবং ঢাকা থেকে সিলেট হয়ে তামাবিল পর্যন্ত চার লেন নির্মাণ প্রকল্প চলমান। এলেঙ্গা–রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করতে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হচ্ছে ১০০ কোটি টাকা। ঢাকা–সিলেট–তামাবিল মহাসড়কে প্রতি কিলোমিটারে খরচ ১১৫ কোটি টাকা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের একাংশ চার লেন করতে নেওয়া প্রকল্পে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হবে ৩০৬ কোটি টাকা।
এর আগে ঢাকা থেকে পদ্মা সেতু হয়ে ফরিদপুরের ভাঙা পর্যন্ত মহাসড়ক চার লেন করতে প্রতি কিলোমিটারে ব্যয় হয়েছে ২০০ কোটি টাকা।
এসব মহাসড়ক দুই লেনের ছিল। আরও দুই লেন বাড়ানো হয়েছে বা হচ্ছে। এর বাইরে দুই পাশে স্থানীয় যানবাহন চলাচলের জন্য দুটি পৃথক লেন রাখা হয়েছে।
দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ঢাকার বায়ু আজ ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’, ৫ স্থানে বেশি দূষণ”
বিশ্বের ১২৫ নগরীর মধ্যে বায়ুদূষণে দ্বিতীয় স্থানে ঢাকা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে আইকিউএয়ার মানসূচকে ঢাকার বায়ুর মান ২০৪। বায়ুর এই মানকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।
বায়ুদূষণের পরিস্থিতি নিয়মিত তুলে ধরে সুইজারল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ার। বাতাসের মান নিয়ে তৈরি করা এই লাইভ বা তাৎক্ষণিক সূচক একটি নির্দিষ্ট শহরের বাতাস কতটা নির্মল বা দূষিত, সে সম্পর্কে মানুষকে তথ্য দেয় ও সতর্ক করে। সেই সতর্কবার্তায় নগরবাসীর উদ্দেশে আইকিউএয়ারের পরামর্শ, বাইরে বের হলে সুস্বাস্থ্যের জন্য অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। আর বিশ্বে বায়ুদূষণে ২৫০ স্কোর নিয়ে প্রথম অবস্থানে আছে ভিয়েতনামের হ্যানয়।
আজ দেশের অন্য বিভাগীয় শহরের মধ্যে চট্টগ্রামের বায়ুর মান ১১৫, রাজশাহীতে ১৬৮ আর খুলনায় ১৭৩। ঢাকা ও আশপাশের পাঁচ সর্বোচ্চ দূষিত এলাকার মধ্যে আছে ইস্টার্ন হাউজিং-২ (২৫৩), মহাখালীর আইসিডিডিআরবির ভবন (২৫০), কল্যাণপুর (২৩৮) ও ঢাকার মার্কিন দূতাবাস এলাকা (২৩৮) এবং গ্রেস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল (২৩৫)।
ঢাকার বায়ুদূষণের প্রধান উপাদান হলো বাতাসে অতিক্ষুদ্র বস্তুকণা বা পিএম ২.৫-এর উপস্থিতি। আজ ঢাকার বাতাসে এর উপস্থিতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) মানমাত্রার চেয়ে ২৫ গুণ বেশি। বায়ুদূষণের যে অবস্থা, তা থেকে রক্ষা পেতে আইকিউএয়ারের পরামর্শ, ঘরের বাইরে গেলে অবশ্যই মাস্ক পরতে হবে। খোলা স্থানে ব্যায়াম করা যাবে না। আরও একটি পরামর্শ, ঘরের জানালা বন্ধ রাখতে হবে।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “শেখ হাসিনার পতন আগে থেকেই টের পেয়েছিল চীন?”
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর। ভোটের ফলাফল ছিল রীতিমতো ‘সুনামি’। আওয়ামী লীগ, জাতীয় পার্টি ও জোটসঙ্গীরা মোট ২৮৮টি আসন পায়। আর বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের ঝুলিতে যায় কেবল সাতটি আসন। বাকি তিনটি পায় অন্যরা। ওই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় বসেন আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। প্রশ্ন ও বিতর্কে পরিপূর্ণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ বিজয় অর্জনের পর পরই অভিনন্দন জানানো দেশের মধ্যে ছিল চীন। প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ও প্রধানমন্ত্রী লি কেকিয়াংয়ের ওই অভিনন্দন বার্তা নির্বাচনের পরদিন অর্থাৎ ৩১ ডিসেম্বর বিকালেই গণভবনে পৌঁছে দেন ঢাকায় নিযুক্ত তৎকালীন চীনা রাষ্ট্রদূত।
সরকারি তথ্য-উপাত্ত অনুযায়ী, ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগেও বাংলাদেশের সঙ্গে বড় আকারে ঋণ চুক্তি ও প্রতিশ্রুতির মধ্যে ছিল চীন। এরপর ২০১৯ থেকে ২০২৩ সালের মধ্যভাগ—এ সাড়ে পাঁচ বছরেও নিয়মিতভাবে ঋণ প্রতিশ্রুতি, চুক্তি ও অর্থছাড়ের ধারায় ছিল বন্ধুপ্রতিম দেশটি। এসব চুক্তির আওতায় থাকা প্রকল্পগুলোর বেশির ভাগই ছিল যোগাযোগ ও জ্বালানি অবকাঠামোকেন্দ্রিক। কিন্তু ২০২৩ সালের জুন থেকে ২০২৪ সালের শেষ পর্যন্ত সরকারি পর্যায়ে কোনো ধরনের অবকাঠামো ঋণ প্রতিশ্রুতি, চুক্তি ও অর্থছাড় করতে দেখা যায়নি দেশটিকে।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “খালেদার লন্ডনযাত্রা, পথে পথে জনস্রোত”
উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনের পথে রওনা হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। মঙ্গলবার রাতে কাতারের আমীরের পাঠানো বিশেষ এয়ার এম্বুলেন্সে তিনি লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কাতারে সংক্ষিপ্ত যাত্রাবিরতি দিয়ে তিনি লন্ডন পৌঁছাবেন। বিমানবন্দর থেকে সরাসরি তিনি যাবেন লন্ডন ক্লিনিকে। ওই হাসপাতালেই তার প্রাথমিক চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। এই সফরে দীর্ঘ সাত বছর পর ছেলে তারেক রহমান ও তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে সাক্ষাৎ হবে বিএনপি চেয়ারপারসনের। ওদিকে চিকিৎসার জন্য লন্ডন যাত্রায় তাকে আবেগঘন শুভেচ্ছা জানিয়েছেন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষ। গুলশানের বাসা ফিরোজা থেকে রাত আটটার পর খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিমানবন্দরের উদ্দেশ্যে রওনা করে। ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত পুরো সড়কের দুই পাশে হাজার হাজার নেতাকর্মী অবস্থান নিয়ে খালেদা জিয়াকে আবেগঘন শুভেচ্ছা জানান। তারা খালেদা জিয়ার নামে বিভিন্ন সেøøাগান দেন। হাজারো নেতাকর্মীর ভিড়ে পুরো সড়ক লোকারণ্য হয়ে পড়ে। তৈরি হয় দীর্ঘ যানজট। ভিড়ের কারণে গাড়ি বহর ধীর গতিতে বিমানবন্দরের দিকে এগোতে থাকে। রাত ১০টায় খালেদা জিয়ার এয়ার এম্বুলেন্স উড্ডয়ন করার কথা থাকলেও গাড়ি বহর বাসা থেকে বের হয়ে আড়াই ঘণ্টার বেশি সময় পর রাত ১১টা ৫৫ মিনিটে দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছায়। বিমানবন্দরের আনুষ্ঠানিকতা শেষে রাত পৌনে ১২টায় ভিআইপি টারমাক থেকে খালেদা জিয়াকে বহনকারী এয়ার এম্বুলেন্স যাত্রা করে। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে উড়াল দেয় অ্যাম্বুলেন্সটি।
খালেদা জিয়ার বিদেশ সফরকে কেন্দ্র করে বিকাল থেকেই তার বাসভবন ও আশপাশে বিএনপি এবং এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা ভিড় করেন। ফিরোজা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত সড়কের পাশে দলীয় নেতাকর্মীরা অবস্থান নেন।
Leave a Reply