প্রদীপ কুমার মজুমদার
ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে বাম দিকে গতি এই পদ্ধতির বহু উদাহরণ বিভিন্ন জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন হিন্দুশাস্ত্রে বাম শব্দটির অর্থ হচ্ছে ‘বিপরীত’। যেমন বামাচার ইত্যাদি। অঙ্কস্থানের পর্যায়বিন্যাসে এবং সংখ্যা জ্ঞাপক বাক্যকে অঙ্কপাত করতে গিয়ে “বামগতি” বিধির প্রয়োগ করা হয়ে থাকে।
অঙ্কস্থানের পর্যায়বিন্যাসে যে বামগতি বিধি ব্যবহার করা হয় তা সাধারণ বিধি সুতরাং এই বিধি অবশ্য পালনীয়। কিন্তু সংখ্যাজ্ঞাপক বাক্যকে অঙ্কপাত করতে গিয়ে বামাগতি অবশ্য পালনীয় নাও হতে পারে। আমরা বায়ুপুরাণে পড়েছি:
এবমষ্টাদশৈতানি স্থানানি গণনা বিধৌ
শতানীতি বিজানীয়াৎ সংজ্ঞিতানি মহষিভিঃ। ১০১/১০২-৩
অর্থাৎ বায়ুপুরাণে আঠারটি অঙ্কস্থানের কথা বলেছি। তাদের নাম যথাক্রমে একক দশক প্রভৃতি। দশকস্থান একক স্থানের বামে, শতক স্থান দশক স্থানের বামে, এইভাবে পরম্পরা ক্রমে প্রতিটি অঙ্কস্থানের বিন্যাস তার পূর্ব পূর্বটির বাম দিক হয়ে থাকে। বলা বাহুল্য কোন স্থান স্থিত অঙ্কবিশেষের মান তার ডান দিকে অবস্থিত মানের দশগুণ এবং বাঁদিকে অবস্থিত মানের দশমাংশ।
(চলবে)
Leave a Reply