বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৫১ পূর্বাহ্ন

বাংলাদেশ পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র চান না ডিসিরা

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ৯ জানুয়ারী, ২০২৫, ৯.৪৯ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ পুলিশের হাতে প্রাণঘাতী অস্ত্র চান না ডিসিরা”

পুলিশের হাতে চায়নিজ রাইফেল, সাব মেশিনগান (এসএমজি), ৯ এমএম পিস্তলের মতো প্রাণঘাতী অস্ত্র না রাখার প্রস্তাব এসেছে জেলা প্রশাসকদের (ডিসি) পক্ষ থেকে। কেউ কেউ শটগান ও ছররা গুলির ব্যবহার বন্ধের প্রস্তাবও দিয়েছেন।

জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষে প্রস্তাবগুলো জমা দেওয়া হয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে। আগামী ১৬ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হবে তিন দিনের ডিসি সম্মেলন।

অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর এটিই হবে প্রথম ডিসি সম্মেলন। প্রতিবছর ডিসি সম্মেলনের আগে বিভাগীয় কমিশনার ও ডিসিদের কাছ থেকে নানা বিষয়ে প্রস্তাব চায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এবারও চাওয়া হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ সূত্র জানিয়েছে, এবারের ডিসি সম্মেলন সামনে রেখে তিন শতাধিক প্রস্তাব পাওয়া গেছে। প্রস্তাবগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। তার মধ্যে কিছু প্রস্তাব পুলিশ-সংশ্লিষ্ট। প্রাণঘাতী অস্ত্রের ব্যবহার বন্ধ ছাড়াও জেলা পুলিশের শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার ক্ষমতা চাওয়া হয়েছে ডিসিদের পক্ষ থেকে।

সাতক্ষীরার ডিসি মোস্তাক আহমেদ প্রস্তাবে লিখেছেন, জেলা পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ডিসি। উপজেলা পর্যায়ে সভাপতি থাকেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও)। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ওপর ডিসি ও ইউএনওদের কোনো দাপ্তরিক নিয়ন্ত্রণ নেই। ফলে অনেক ক্ষেত্রে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন কঠিন হয়ে পড়ে। এ কারণে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তাদের কাজ নিয়ে প্রতিবেদন দেওয়ার বিষয়টি ডিসি ও ইউএনওদের নিয়ন্ত্রণে রাখা প্রয়োজন।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “বায়ুদূষণে শীর্ষে দিল্লি, ঢাকার অবস্থান পঞ্চম”

বায়ুদূষণের দিক থেকে ঢাকার অবস্থান ৫ম। শীত মৌসুমে ঢাকার বাতাস আরও ভয়াবহভাবে দূষিত হয়ে ওঠে, এবং চলতি বছরের শুরুতে একাধিক দিন ছিল অস্বাস্থ্যকর বাতাস। আজও, ঢাকার বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ অবস্থায় রয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সকাল ৮:৩০ টায় আইকিউএয়ার, আন্তর্জাতিক বায়ু মান পর্যবেক্ষণ প্রতিষ্ঠান, বায়ুদূষণের তালিকা প্রকাশ করেছে। তালিকার শীর্ষে রয়েছে ভারতের দিল্লি, যার একিউআই স্কোর ২৮৭। এ অবস্থায় দিল্লির বাতাস ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থদের জন্য বিপজ্জনক।

পাকিস্তানের শহর লাহোর ২০২ স্কোর নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। এ অঞ্চলের বাতাসও ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে গণ্য করা হচ্ছে।

ঢাকা ১৮৬ স্কোর নিয়ে ৫ম অবস্থানে রয়েছে। এখানে বাতাস ‘অস্বাস্থ্যকর’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, যা নাগরিকদের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “স্থানীয় শিল্পে উৎপাদন সংকোচনে ব্যবসার খরচ বাড়ছে”

মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতির ওপর সবচেয়ে বেশি নির্ভর করছে অন্তর্বর্তী সরকার। নীতি সুদহার (রেপো রেট) কয়েক দফা বাড়িয়ে তোলা হয়েছে ১০ শতাংশে। এতে ব্যাংকভেদে ঋণের সুদহার উঠে দাঁড়িয়েছে কম-বেশি ১৫-১৬ শতাংশে। পুঁজি সংস্থানের ব্যয় বাড়ার পাশাপাশি স্থানীয় শিল্প খাতের উৎপাদনকে চাপে ফেলছে জ্বালানি সংকট। ব্যবসায়ীদের অভিযোগ, গ্যাস সংকটে শিল্পপ্রতিষ্ঠানগুলো পূর্ণ সক্ষমতায় উৎপাদন করতে পারছে না। এতে পরিচালন ও মাথাপিছু ব্যয় বাড়ছে ব্যবসার। এর মধ্যেই শিল্প খাতে করভার ও শুল্কচাপ বাড়ছে। শিল্প খাতে শ্রম অসন্তোষ, আমদানির বিদ্যমান নানা প্রতিবন্ধকতা, পণ্য পরিবহনে চাঁদাবাজি ইত্যাদিরও প্রভাব পড়ছে শিল্প খাতের ব্যয় ও উৎপাদনে। এসবের সম্মিলিত প্রভাবে সংকুচিত হয়ে পড়েছে শিল্প খাতের উৎপাদন। যদিও ব্যবসা পরিচালনার খরচ এখন ক্রমেই বেড়ে চলেছে।

আমদানিনির্ভর শিল্প খাতগুলোর জন্য এ ব্যয়কে আরো বাড়িয়ে তুলছে ডলারের বিনিময় হারের ঊর্ধ্বগতি। বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের দিন প্রতি ডলারের বিনিময় হার ছিল ১১৮ টাকা। এর ঠিক পাঁচ মাসের মাথায় গতকাল তা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১২২ টাকায়।

খাতসংশ্লিষ্ট ও বিশেষজ্ঞদের সহায়তায় দেশের শিল্প খাতের গত ছয় মাসের (জুলাই-ডিসেম্বর) পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছে বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ (বিসিআই)। এতে দেখা গেছে, গত ছয় মাসে শিল্পে উৎপাদন কমেছে ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ। আর গোটা খাতের সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ব্যবসার পরিচালন ব্যয় বেড়েছে অন্তত ৩০ শতাংশ।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “সাভারে বাস-অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষ, বিস্ফোরণ, নিহত ৪”

সাভারে বাস ও অ্যাম্বুলেন্সের সংঘর্ষে গ্যাস সিলিন্ডার বিষ্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চারজন অগ্নিদগ্ধ হয়ে মারা গেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত সাতজন।

বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ২টার দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পুলিশ টাউন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের নাম-পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।

ফায়ার সার্ভিস সূত্র জানায়, একটি অ্যাম্বুলেন্সকে পেছন থেকে দুটি বাস ধাক্কা দেয়। এ সময় অ্যাম্বুলেন্সটির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরিত হয়ে আগুন ধরে যায়। পরে অ্যাম্বুলেন্স ও যাত্রীবাহী দুটি বাসে আগুন ছড়িয়ে পড়ে।

সাভার ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ম্যানেজার মেহেরুল গণমাধ্যমকে বলেন, “রাত ২টা ৫০ মিনিটে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে। অ্যাম্বুলেন্সে থাকা চার জন অগ্নিকাণ্ডে নিহত হয়েছেন। মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024