আর্শিয়া বাজওয়া
এনএক্সপি সেমিকন্ডাক্টরস (এনএক্সপিআই.ও) আগামী তিন থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে ভারতের বাজার থেকে তাদের মোট আয়ের প্রায় ৮% থেকে ১০% পর্যন্ত অর্জন করতে পারে বলে সোমবার রয়টার্সকে জানিয়েছেন কোম্পানির এক ঊর্ধ্বতন নির্বাহী। ভারতের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প এখনও তুলনামূলকভাবে নবীন হলেও, সেখানে ক্রমবর্ধমান আগ্রহের প্রতিফলন হিসেবেই এই অনুমান করা হচ্ছে।
এনএক্সপি ইন্ডিয়ার প্রধান হিতেশ গার্গ বেঙ্গালুরুতে একটি শিল্প-বিষয়ক অনুষ্ঠানের ফাঁকে বলেন, ভারতের ক্রমবর্ধমান গাড়ি শিল্প এবং শিল্পখাত কোম্পানির বিক্রি বাড়াতে সাহায্য করবে। তিনি উল্লেখ করেন, “পরবর্তী তিন থেকে পাঁচ বছর হল সেই সময়, যখন ভারত এনএক্সপি-র জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বাজারে পরিণত হবে, যেখানে আমরা উল্লেখযোগ্য পরিমাণ রাজস্বও অর্জন করব।”
বর্তমানে এনএক্সপি তাদের রাজস্বে ভারতের অবদান আলাদাভাবে তুলে ধরে না। বেশির ভাগ বড় চিপ নির্মাতাদের কাছেই ভারত এখনো ছোট কিন্তু দ্রুতবর্ধনশীল বাজার।
চীনে স্বয়ংচালিত সেমিকন্ডাক্টরগুলোর ব্যাপক চাহিদা থাকলেও, সেদেশে পুরোনো প্রযুক্তির চিপ উত্পাদন বাড়ানোর জন্য বিশাল বিনিয়োগ এবং ইউরোপে চীনা বৈদ্যুতিক যানবাহনের উপর আরোপিত শুল্ক—সব মিলিয়ে চীনের বাজারে অস্থিরতা তৈরি হয়েছে। ২০২৩ সালে এনএক্সপি-র ১৩.২৮ বিলিয়ন ডলারের মোট বিক্রির প্রায় এক-তৃতীয়াংশ এসেছে চীন থেকে, আর এশিয়া প্যাসিফিক অঞ্চলের অন্যান্য দেশের কাছ থেকে এসেছে আরও প্রায় ৩০% রাজস্ব।
ভারতে প্রসার বাড়ানোর বিষয়টি কি চীনে বিক্রি ঘিরে অনিশ্চয়তাকে সামাল দিতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে গার্গ বলেন, “একটি অঞ্চলে যে সুযোগ হাতছাড়া হবে, তার কিছুটা আমরা এখানে (ভারতে) পুষিয়ে নিতে পারব।”
রাষ্ট্রপতি-নির্বাচিত ডোনাল্ড ট্রাম্প চীনা পণ্যে ৬০% শুল্ক আরোপের অঙ্গীকার করেছেন, যা বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির জন্য বড় ধরনের প্রবৃদ্ধির ঝুঁকি তৈরি করেছে।
ভারত সরকার দেশের সেমিকন্ডাক্টর শিল্প বিকাশে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি প্রণোদনা-ভিত্তিক প্যাকেজ ঘোষণা করেছে। ২০২৬ সালের মধ্যে দেশের সেমিকন্ডাক্টর বাজার ৬৩ বিলিয়ন ডলারে গিয়ে পৌঁছাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে, যদিও এখনো দেশে একটি চিপও উৎপাদন শুরু হয়নি।
গত সেপ্টেম্বর এনএক্সপি জানায়, তারা ভারতে ১ বিলিয়ন ডলারের বেশি বিনিয়োগ করবে, যা গবেষণা ও উন্নয়ন কর্মকাণ্ড দ্বিগুণ করার লক্ষ্যে ব্যবহৃত হবে। এর পাশাপাশি মাইক্রন (এমইউ.ও)-এর মতো অন্যান্য চিপ নির্মাতারাও ভারতে বিনিয়োগ করছে।
Leave a Reply