রেজাই রাব্বী
বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে সরিষার ক্ষেত। যেন হালকা বাতাসেই দোল খাচ্ছে সরিষা ফুল। যেদিকেই চোখ যায় হলুদ আর হলুদ। আর সেই সরিষার ক্ষেতে গুনগুন শব্দে মৌমাছির আনাগোনা। আর কয়েক দিনের মধ্যেই উঠবে ফসল। তাই শেষ সময়ে ক্ষেত পরিচর্যায় ব্যস্ত চাষিরা।
বলছিলাম সিরাজগঞ্জের বেলকুচি উপজেলার কথা। সরেজমিনে কৃষকের সাথে কথা বলার যে বলে জানা যায়, বর্তমানে সরিষা চাষ বাড়ছে। আমন ধানের পর ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি মাস পর্যন্ত থাকে সরিষা চাষের প্রস্তুতি। এরপর আবারো মাঠে শুরু হয় ইরি ও বোরো চাষ। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবারও বাম্পার ফলনের আশা । এ বছর আবহাওয়া ভালো হওয়া গত বছরের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে চাষ।
সরেজমিনে সরিষা ফুলের মধু সংগ্রহের জন্যে ক্ষেতের পাশে সরোয়ার নামে এক মৌয়ালের দেখা মেলে। পোষা মৌমাছির শত শত বক্স নিয়ে হাজির সরোয়ার মিয়া। তিনি জানান,এই সরিষা ক্ষেতের পাশে মৌ বক্স স্থাপন করে বিশেষ পদ্ধতিতে মধু চাষ করা বাজার অনেকটাই ভালো দাম ভালো পাচ্ছেন। সাত দিন পর পর তাদের বক্স থেকে বিশেষ কায়দায় মধুর চাকগুলো আহরণ করেন।
বিশেষ করে তাড়াশ, রায়গঞ্জ, কাজিপুর, বেলকুচি, চলনবিল, উল্লাপাড়া এই এলাকাগুলোতে বিপুল পরিমাণ সরিষার আবাদ হয় এবং এই সরিষা ফুল থেকে মৌয়ালেরা মধু আহরণ করে। মৌসুমী এই সরিষা ফুলে মধুর ফলন হয় সপ্তাহে পাঁচ থেকে ছয় মন। চাহিদা বেশি থাকায় মাঠ থেকেই বিক্রি হচ্ছে। প্রত্যেক কেজি মধুর দাম পাঁচশ থেকে সাড়ে পাঁচশ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
Leave a Reply