শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ১২:২২ পূর্বাহ্ন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৫)

  • Update Time : শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০.১০ এএম

প্রদীপ কুমার মজুমদার

দশমিক সংখ্যা লিখন পদ্ধতিতে সংখ্যার মান স্থানগুণের উপর নিণীত হয়, রূপগুণ বা আকৃতিগুণের উপর নির্ভর করে না। দেখা গিয়েছে ১ থেকে ৯ সংখ্যাগুলির রূপগুণ আছে কিন্তু দশ বা ততোধিক সংখ্যাগুলি লিখতে গিয়ে স্থানগুণের উপর নির্ভর করতে হয়।

লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে কি সব্যক্রম লিপিক, কি অসব্যক্রম লিপিক বা কি উর্ধক্রম লিপিক সব জাতিই বড় স্থানের অঙ্কটিকে সর্বাগ্রে উল্লেখ করে এটিকে অপচীয়মান ক্রম বলা হয়। ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে অবশ্য মাঝে মাঝে ছোট সংখ্যা আগে লিখে তারপর বড় সংখ্যা লেখা হয়ে থাকে। এটিকে উপচীয়মান ক্রম বলে। বিখ্যাত ব্যাকরণবিদ পাণিনি এ সম্পর্কে বলেছেন ‘অল্পচ, তরম্’ অর্থাৎ দ্বন্দ সমাস অল্পতর স্বর নিষ্পন্ন শব্দ আগে বসবে।

তার উপর বার্তিকাকার বিশেষ সূত্র করলেন ‘সংখ্যায়া অল্লীয়স্যাঃ। উদাহরণস্বরূপ আমরা বলতে পারি পঞ্চদশ, চতুবিংশ ইত্যাদিংস ঋাসমূহকে। তবে কখনও কখনও দ্বিপদ সংখ্যার নামকরণে ছোট সংখ্যার উল্লেখ প্রথমে করা হয় তারপর বড় সংখ্যার। যেমন অষ্টাশতং শতানি – ১৮০, অষ্টাত্রিংশতং শতম্ – ১৩৮। এ সম্পর্কে পাণিনি বলেছেন-‘তদ্‌ অস্মিন্ন অধিকম্, ইতি দশান্তড়, ডঃ। উদাহরণ স্বরূপ বলা যায় শত সহস্রম্ ১১০০।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৪)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৪)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024