কানাডার জাস্টিন ট্রুডোকে পদত্যাগ করতে হয়েছে। এই পদত্যাগের পেছনে তিনি দেশের ভেতর যেমন কিছুটা তাঁর জনপ্রিয়তা হারিয়েছিলেন। নিজদলকে নষ্ট করেছিলেন। এগুলো যেমন অনেক বড় কারণ,তার থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো, তিনি ক্রমেই আর্ন্তজাতিকভাবে বন্ধুশুণ্য হয়ে উঠেছিলেন। আর এই বন্ধু শূন্যতার মধ্যে তার সব থেকে বড় ক্রটি ছিলো তিনি ক্ষমতায় থাকার জন্যে একটি সন্ত্রাসী গ্রুপকে সহায়তা করছিলেন। আর সর্বশেষ ডোনাল্ড ট্রাম্প এর সঙ্গে তার নীতিগত সম্পর্ক হারিয়ে ফেলেছিলেন।যার ভেতর দিয়ে তিনি বৃহৎ প্রতিবেশির সঙ্গে সম্পর্ক হারিয়ে ফেলেন।
পৃথিবীর সবকালের ইতিহাসে যে কোন রাষ্ট্র’র সরকার প্রধানের ক্ষমতায় থাকার বিষয়টির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র হলো, ওই দেশ কত বেশি দেশের সঙ্গে নিজের বানিজ্যিক ও নৈতিক সম্পর্কে ভারসাম্য রাখতে পারে। এবং নিকটতম বড় বড় দেশগুলোকে কতটা বন্ধুত্বপূর্ণ আবরনে রাখতে পারে।
অতীতেও যেমন বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ ছিলো বর্তমানে তা আরো বেশি । তথ্য প্রযুক্তির মাধ্যমে অবাধ বাণিজ্য, বাজেট এয়ারের মাধ্যমে অবাধ ও বেশি সংখ্যক চলাচল। আন্তঃমহাদেশীয় রোড কানেকটিভিটির ফলে পারস্পারিক বানিজ্য বৃদ্ধি।সর্বোপরি মানুষের জীবনের আধুনিক চাহিদা মেটাতে রাষ্ট্রর কাছে চাহিদা বৃদ্ধি। এর ফলে এখন আর কথার ফানুস ও রাষ্ট্র শক্তির জোর দিয়ে ক্ষমতায় টিকে থাকা যায় না।
যদিও একান্ত টিকে থাকা যায় তা মূলত মিয়ানমার বা আফগানিস্তানের মতো। অর্থাত পৃথিবী থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করে, নিজের দেশ ও মানুষকে ধ্বংস, নিপীড়ন, হত্যা ও জুলুমের মাধ্যমে একটি পৃথিবী বিচ্ছিন্ন বর্বর শক্তি হিসেবে। এখানে কোন একজন কারো গলা জড়িয়ে ধরলে তাতে উচ্চসিত হবার কোন কারণ থাকে না।
এ কারণে বর্তমান বিশ্বে একটি দেশ যত বন্ধু শূন্য পড়ে ততই ওই দেশের ওই সরকারের সময় সীমা কমে আসতে থাকে। আর যখন একেবারে বন্ধু শূন্য হয়ে পড়ে, তখন বলা যেতে সেটা তার জন্যে “টাইম টু গো”।
Leave a Reply