প্রদীপ কুমার মজুমদার
সাধারণতঃ জৈন গণিতশাস্ত্রে অঙ্কপাত দক্ষিণাগতিতে করা হয়। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও দেখা যায় যেমন জিনসেন তাঁর নেমীপুরাণে বলেছেন-
একমষ্টোচ চত্বারি চতুঃষট, সপ্তভিশ্চতুঃ।
চতুঃশূনাংচ সপ্তনিসপ্তশূন্যং নবাপি চ।
পঞ্চপঞ্চৈকং যট, চ তথৈকং পঞ্চ তত্ত্বতঃ।
সমস্তশ্রুতবর্ণানাং প্রমাণং পরিকীত্তিতং।
এখানে উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছেঃ ১৮, ৪৪৬, ৭৪৪, ০৭৩, ৭০৯, ৫৫১, ৬১৪, তাছাড়াও জিনভদ্রগণি বৃহৎক্ষেত্রসমাসে লিখেছেন-
দুবীষ চোয়াল সুন্নট,ঠ ২২৪৪,০০০০,০০০০ গ্রীষ্টীয় দশম শতাব্দীতে নেমীচন্দ্র গোম্মটসারের জীবকাণ্ডের ১৫৮ তম গাথায় বলেছেন:
তললীনমধুগাবিমলং ধমুসিল। গাবিচোরভয়মেরূ
তটহরিখঝসা হোংতি হ মানুস পঙ্গুত্ত সংখ্যক।।
অর্থাৎ এক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছে-৭৯, ২২৮, ১৬২, ৫১৪, ২৬৪ ৩৩৭, ৫৯৩,৫৪৩, ৯৫০, ৩৩৬।
লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে নাম সংখ্যা প্রণালী, অক্ষর সংখ্যা প্রণালী ও কটপযাদি প্রণালীতে বামাগতি ও দক্ষিণাগতি উভয় প্রণালীই ব্যবহৃত হয়েছে।
(চলবে)
Leave a Reply