বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:২০ অপরাহ্ন

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৭)

  • Update Time : রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০২৫, ১০.০০ এএম

প্রদীপ কুমার মজুমদার

সাধারণতঃ জৈন গণিতশাস্ত্রে অঙ্কপাত দক্ষিণাগতিতে করা হয়। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও দেখা যায় যেমন জিনসেন তাঁর নেমীপুরাণে বলেছেন-

একমষ্টোচ চত্বারি চতুঃষট, সপ্তভিশ্চতুঃ।

চতুঃশূনাংচ সপ্তনিসপ্তশূন্যং নবাপি চ।

পঞ্চপঞ্চৈকং যট, চ তথৈকং পঞ্চ তত্ত্বতঃ।

সমস্তশ্রুতবর্ণানাং প্রমাণং পরিকীত্তিতং।

এখানে উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছেঃ ১৮, ৪৪৬, ৭৪৪, ০৭৩, ৭০৯, ৫৫১, ৬১৪, তাছাড়াও জিনভদ্রগণি বৃহৎক্ষেত্রসমাসে লিখেছেন-

দুবীষ চোয়াল সুন্নট,ঠ ২২৪৪,০০০০,০০০০ গ্রীষ্টীয় দশম শতাব্দীতে নেমীচন্দ্র গোম্মটসারের জীবকাণ্ডের ১৫৮ তম গাথায় বলেছেন:

তললীনমধুগাবিমলং ধমুসিল। গাবিচোরভয়মেরূ

তটহরিখঝসা হোংতি হ মানুস পঙ্গুত্ত সংখ্যক।।

অর্থাৎ এক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছে-৭৯, ২২৮, ১৬২, ৫১৪, ২৬৪ ৩৩৭, ৫৯৩,৫৪৩, ৯৫০, ৩৩৬।

লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে নাম সংখ্যা প্রণালী, অক্ষর সংখ্যা প্রণালী ও কটপযাদি প্রণালীতে বামাগতি ও দক্ষিণাগতি উভয় প্রণালীই ব্যবহৃত হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৬)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024