প্রদীপ কুমার মজুমদার
জৈন গণিতগ্রন্থে অক্ষর সংখ্যা প্রণালীতে দক্ষিণাগতি প্রয়োগ করা হয়েছে সে কথা নেমিচন্দ্র লিখিত ত্রিলোকসারের ৯৮-তম গাথাতে দেখতে পাওয়া যায়। এখানে বলা হয়েছে:
বটলবণরোচগোনগনজরনগংকাসসসঘধপরকধরং
বিগুণণবস্থাসহিদং পল্লস রোমপরিসংখ্যা।
এখানে উল্লিখিত সংখ্যাটি হচ্ছে-৪১৩, ৪৫২, ৬৩০, ৩০৮, ২০৩, ১৭৭, ৭৪৯,৫১২, ১৯২, ০০০, ০০০,০০০,০০০,০০০,০০০
বিভিন্ন উদাহরণ ও উক্তি থেকে আমরা স্পষ্টই দেখতে পেলাম ভারতীয় গণিত- শাস্ত্রে অঙ্কপাত করা হয় বামাগতিতে এবং জৈনরা দক্ষিণাগতিতে অঙ্কপাত বহুক্ষেত্রে করেছে। জৈনদের গ্রন্থের মধ্যে দেখা যায় যে অংকঠান পরাহুতা শব্দটি লেখা আছে। এর অর্থ অঙ্কপাত বিপরীতক্রমে অর্থাৎ বামগতিতে লেখা যায়।
অনেক পণ্ডিত প্রশ্ন তোলেন যে জৈন গণিতশাস্ত্রে যে কয়েকটিক্ষেত্রে ‘বামাগতি’ অনুসৃত হয়েছে সে সব ক্ষেত্রে দক্ষিণাগতি প্রয়োগ করলে ক্ষতি কি? ক্ষতি নিশ্চয়ই আছে। কারণ ঐ সব ক্ষেত্রে ক্ষেত্রে দক্ষিণাগতি ধরে অঙ্কপাত করলে একটি সংশয় ও উদ্ভট সংখ্যার উদ্ভব হয়। যেমন ধরা যাক নেমীচন্দ্র ত্রিলোকসারের একজায়গায় বলেছেন-‘খ বার ইগিদালং’ বামাগতিতে অঙ্কপাত করলে দাড়ায় ৪১১২০ কিন্তু দক্ষিণাগতিতে অঙ্কপাত করলে প্রথমে বসবে।
সুতরাং এক্ষেত্রে দক্ষিণাগতি প্রয়োগ করা চলে না। অবশ্বা নেমিচন্দ্র দক্ষিণাগতিতেও অঙ্কপাত করেছেন যেমন তিনি বলেছেন-সত্তরসাং বাণউদীণভনবসুন্নং’ এটিকে দক্ষিণাগতিতে অঙ্কপাত করলে দাঁড়ায় ১৭৯২০৪০।
(চলবে)
Leave a Reply