মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৪ অপরাহ্ন

সরকারের ঋণ ২০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে

  • Update Time : সোমবার, ১৩ জানুয়ারী, ২০২৫, ৯.১১ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “রমজানে পণ্য আমদানির উদ্যোগ বেশি, চিন্তা কারসাজি ও ডলার নিয়ে”

পবিত্র রমজান মাস সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি বাড়ছে। ব্যবসায়ীরা ঋণপত্র খোলা বাড়িয়েছেন। বিগত ছয় মাসের হিসাবে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমদানি বেড়েছে। সব মিলিয়ে সরবরাহ নিয়ে কোনো সমস্যা হবে না।

বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন (বিটিটিসি) নিত্যপণ্যের চাহিদা, আমদানি ও আমদানির ঋণপত্র খোলা এবং স্থানীয় উৎপাদন পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়কে দেওয়া এক প্রতিবেদনে এ কথা বলেছে। ব্যবসায়ীরাও বলছেন, সরবরাহ নিয়ে সমস্যা হবে না। বিশ্ববাজারে অস্থিতিশীলতা নেই। চিন্তার বিষয় হলো মার্কিন ডলারের দাম। ডলারের দাম বাড়লে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কা থাকে।

বাজার বিশ্লেষকেরা বলছেন, আমদানি ও সরবরাহ পরিস্থিতি ঠিক থাকলেও স্থানীয় বাজারে কারসাজির কারণে অনেক সময় পণ্যের দাম বেড়ে যায়। তাই প্রতিটি পর্যায়ে নজরদারি দরকার। অতীতে দেখা গেছে, যান্ত্রিক ত্রুটি বা অন্য কোনো কারণ দেখিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়। তখন কোনো নির্দিষ্ট পণ্যের সরবরাহে ঘাটতি তৈরি হয়। বাজারে দাম বেড়ে যায়।

সরকার ভোজ্যতেল, চিনিসহ কয়েকটি পণ্যে যে শুল্কছাড় দিয়েছে, তা যেন সাধারণ মানুষ পান, সেটা নিশ্চিত করার তাগিদও দিয়েছেন বিশ্লেষকেরা।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ঢাকা-দিল্লি সম্পর্ক কি ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের পথে?”

দক্ষিণ এশিয়ার কূটনীতিতে একসময় ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচনা করা হতো। কিন্তু সাম্প্রতিক রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও অভ্যন্তরীণ সমস্যার কারণে এ সম্পর্ক এখন টানাপোড়েনের মুখে। বিশ্লেষকেরা বলছেন, সময়মতো উদ্যোগ না নিলে দুই দেশের মধ্যে দূরত্ব আরও বাড়তে পারে।

বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ছাত্র আন্দোলনের চাপের মুখে গত ৫ আগস্ট ক্ষমতা ছাড়েন এবং পরে ভারতে আশ্রয় নেন। ভারতের দীর্ঘদিনের সমর্থনে তার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ আগে থেকেই ছিল। শেখ হাসিনাকে আশ্রয় দেওয়ায় বাংলাদেশের রাজনীতিতে ভারতের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বিশ্লেষনে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক শাফি মো. মোস্তফা মনে করেন, ‘ভারতের উচিত বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রতি সম্মান দেখানো এবং সরাসরি রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ থেকে বিরত থাকা।’ তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশের উচিত সংখ্যালঘুদের সমস্যা সমাধান করে বাইরের চাপের হাত থেকে মুক্ত থাকা।’

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”সরকারের ঋণ ২০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে”

সরকারের ঋণের পরিমাণ গত বছরের সেপ্টেম্বর শেষে ২০ লাখ কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। এর মধ্যে বিদেশী ঋণের পরিমাণ ছিল ৮ হাজার ৪৪৪ কোটি ৫৪ লাখ ডলার। প্রতি ডলার ১২০ টাকা (ওই সময়ের বিনিময় মূল্য) হিসাবে এর পরিমাণ দাঁড়ায় ১০ লাখ ১৩ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকায়। বাকিটা অভ্যন্তরীণ ঋণ। রাজস্ব আহরণ ও বৈদেশিক আয়ের তুলনায় এ ঋণের পরিমাণ বর্তমানে শঙ্কার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। তাদের ভাষ্য, কার্যকর ঋণ ব্যবস্থাপনা কৌশলের মাধ্যমে পরিস্থিতি সামাল দিতে না পারলে ভবিষ্যতে কঠিন সংকটের মধ্যে পড়তে হতে পারে।

মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) তুলনায় রাজস্ব আদায়ের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বের সর্বনিম্ন দেশগুলোর একটি। রফতানি ও রেমিট্যান্সের ক্ষেত্রেও আয় আসছে না কাঙ্ক্ষিত মাত্রায়। অথচ প্রতি বছরই বাড়ছে ব্যয়ের পরিমাণ। এ অবস্থায় ব্যয় মেটাতে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশী উৎস থেকে ক্রমাগত ঋণ করেছে পতিত শেখ হাসিনা সরকার। আবার এ ঋণের অর্থ থেকে দুর্নীতি ও অর্থ পাচারও হয়েছে। তাই গত আগস্টে গণ-অভ্যুত্থানের পর দায়িত্ব নেয়া অন্তর্বর্তী সরকারের কাঁধে বিশাল ঋণের বোঝা।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, আওয়ামী লীগ সরকার বিদায় নেয়ার আগে ২০২৩-২৪ অর্থবছর শেষে জাতির কাঁধে রেখে যায় ১৮ লাখ ৩২ হাজার ২৮২ কোটি টাকার ঋণের বোঝা। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ ঋণ ছিল ১০ লাখ ২০ হাজার ২০৫ কোটি ও বিদেশী ঋণ ৮ লাখ ১২ হাজার ৭৭ কোটি টাকা।

শেখ হাসিনার দেড় দশকের শাসনামলে দেশের বাজেটের আকার যতটা বেড়েছে, তার চেয়ে অনেক বেশি স্ফীত হয়েছে সরকারের ব্যাংক ঋণ। অর্থ মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০০৯-১০ অর্থবছরে দেশী-বিদেশী উৎস থেকে সরকারের মোট ঋণ ছিল ২ লাখ ৭৬ হাজার ৮৩০ কোটি টাকা। এর মধ্যে বিদেশী উৎস থেকে নেয়া হয়েছিল ১ লাখ ৬১ হাজার ২০ কোটি টাকার ঋণ। বাকি ১ লাখ ১৫ হাজার ৮১০ কোটি টাকা নেয়া হয় অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে। ব্যাংক খাতের পাশাপাশি সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য খাত থেকে নেয়া হয় এ ঋণ।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “স্পষ্ট ডাকাতি অন্য কিছু নয়, টিউলিপ প্রসঙ্গে ড. ইউনূস”

লন্ডনে ফ্ল্যাটের খবর প্রকাশিত হওয়ার পর ক্রমাগত পদত্যাগের চাপে রয়েছে বাংলাদেশের পতিত সরকারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাগ্নি এবং বৃটেনের ক্ষমতাসীন দলের এমপি টিউলিপ সিদ্দিক। তার বিষয়ে গণমাধ্যমের সঙ্গে প্রথমবারের মতো কথা বলেছেন বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। টিউলিপ সিদ্দিকের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। বৃটেনের পত্রিকা সানডে টাইমসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে এ কথা বলেন ড. ইউনূস। তিনি বলেন, বৃটেনের ট্রেজারি মন্ত্রী টিউলিপ সিদ্দিকের ব্যবহৃত লন্ডনের সম্পত্তির বিষয়ে তদন্ত করা উচিত। যদি এটা প্রমাণিত হয় যে, তিনি ‘স্পষ্ট ডাকাতির’ মাধ্যমে তা অর্জন করেছেন তাহলে তা ফেরত দেয়া উচিত।

টিউলিপের বিরুদ্ধে আত্মসাতের অভিযোগের তদন্তের জোরালো আবেদন জানিয়েছেন শান্তিতে নোবেলজয়ী ওই অর্থনীতিবিদ। বলেছেন, টিউলিপের মালিকানাধীন সকল বাড়ির তদন্ত করা হোক। টিউলিপকে ক্ষমা চাওয়ারও আহ্বান জানিয়েছেন ড. ইউনূস। এদিকে প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ের স্টারমারের কাছে টিউলিপকে বরখাস্ত করার আবেদন জানিয়েছেন বৃটেনের অন্যতম বিরোধী দল কনজারভেটিভ দলের নেতা কেমি ব্যাডেনোচ। বলেছেন, টিউলিপের নিজের তদন্তের আহ্বানকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করছেন স্টারমার। নিজ মন্ত্রীর ওপর স্টারমারের দুর্বলতা রয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন কেমি। তিনি বলেন, টিউলিপের দুর্বল নেতৃত্ব থেকে বোঝা যায় তিনি সততার বিষয়ে ততটা চিন্তিত নন, যতটা তিনি দাবি করছেন।

ড. ইউনূসের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে কোনো মন্তব্য করেনি দশ নং ডাউনিং স্ট্রিট। এ বিষয়ে কথা বলতে অনিচ্ছা প্রকাশ করছেন লেবার পার্টির এমপিরা। কেন এ বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে এত সময় নিলেন স্টারমার- এমন প্রশ্নও তুলছেন কেউ কেউ। সমালোচকরা সাবেক পরিবহনমন্ত্রী লুইস হাইয়ের সঙ্গে একটি বৈপরীত্য তুলে ধরেন। যিনি খুব সামান্য দোষী সাব্যস্ত হয়েও তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত হয়েছিলেন। স্টারমার এবং টিউলিপ একে-অপরের বন্ধু। তাদের নির্বাচনী এলাকা একদম পাশাপাশি। সমপ্রতি ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগের বৃটেন শাখার সঙ্গে ঘনিষ্ঠতার জন্য বেশ সমালোচিত হয়েছেন স্টারমার।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024