আরগুয়েডাস কেন সাহায্য করলেন?

কিন্তু বলিভিয়ার যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী দীর্ঘসময় চে গেভারার সমর্থকদের উপর কঠোর নির্যাতন চালিয়েছেন, তিনি কেন সিআইএ’র বিরুদ্ধে গিয়ে ডায়েরির একটি কপি বামপন্থীদের হাতে তুলে দিলেন?

“তাকে ব্যাখ্যা করা খুবই কঠিন ব্যাপার। কারণ একদিকে দেখা যাচ্ছে যে, তিনি নিজের বামপন্থী প্রবণতাকে অস্বীকার করেছেন না, আবার সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে রাষ্ট্র ক্ষমতা দখলকারী প্রেসিডেন্টকেও সমর্থন দিচ্ছেন,” বিবিসিকে বলেন বলিভিয়ার সাবেক কূটনীতিক ও গবেষক লুইস গনজালেজ কুইন্টানিলা।

আন্তোনিও আরগুয়েডাসের চরিত্রের বিপরীতমুখী বৈশিষ্ট তুলে ধরে মি. কুইন্টানিলা আরও বলেন, “চে গেভারার গেরিলা বাহিনীতে যোগ দিতে পারেন সন্দেহে নিজ দেশের মানুষের উপর যিনি অত্যাচার চালাচ্ছেন বা হত্যা করছেন, সেই একই ব্যক্তি আবার নিজের পরিচিত অন্য বামপন্থী “সাবেক কমরেডদের” কাছে খবর পাঠিয়ে অভিযানের আগেই পালানোর সুযোগ করে দিচ্ছেন।”

বলিভিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের অনেকে মনে করেন, ক্ষমতার লোভে সামরিক সরকারের মন্ত্রিসভায় অংশ নিলেও মি. আরগুয়েডাসের হৃদয়ে হয়তো বামপন্থার প্রতি এক ধরনের দুর্বলতা রয়েই গিয়েছিল।

সেজন্যই তিনি মি. গেভারার ডায়েরি উদ্ধারে বামপন্থীদের সহযোগিতা করেছেন।

তবে কেউ কেউ এটাও মনে করেন যে বামপন্থার প্রতি দুর্বলতা থেকে নয়, বরং সিআইএ’র প্রতি প্রতিশোধ নিতেই মি. আরগুয়েডাস এই কাজ করেছেন।

কারণ ১৯৬৫ সালে প্রকাশিত একটি সাক্ষাৎকারে মি. আরগুয়েডাস বলেছিলেন যে, জিজ্ঞাসাবাদের নামে সিআইএ’র সদস্যরা যে আচরণ করেছে, একদিন তিনি সেটার “প্রতিশোধ” নেবেন।

বিবিসি নিউজ বাংলা