চালের দাম বাড়িয়াছে, ডালের দাম বাড়িয়াছে, তেলের দাম বাড়িয়াছে। মাছ স্বর্গের খাদ্য। মুরগীর দাম খাসির দামকে ছাড়াইয়া বেশ বুক ঝাড়া দিয়া চলিতেছে। খাসি ও গরু কি আর মুরগীকে পাত্তা দেয়? তাহারা ডাবল রেসে নামিয়াছেন।
কেন এমন দাম বাড়ার ঘোড়াটি উর্ধ মুখে দৌঁড়াইতেছে তাহা অবশ্য এ সময়ে কোন দেশপ্রেমিক মানুষের প্রশ্ন করা ভুল হইবে- কারণ যখন দেশপ্রেম রাষ্ট্র সংস্কারের মতো বড় কাজে ব্যস্ত হইয়া পড়ে সেই সময়ে মূর্খ ছাড়া আর কেউ কি দ্রব্য মূল্যের এই ঘোড়াকে খুঁজিতে যাইবে? এতটা দেশপ্রেমহীন মানুষদের এ দেশে বাস করাই উচিত নহে -যাহারা এসবের কারণ খোঁজা খুঁজি করিয়া থাকে। বরং তাহাদের উচিত হইবে কম খাওয়া। আর কম খাওয়ায় অনেক উপকার রহিয়াছে। শুধু মাত্র যে মেদ কমিবে তাহা নহে, মাথা অনেকক্ষণ ঝিম মারিয়া থাকিবে ক্ষুধাতে- তাহার ফলে অনেক কুচিন্তা মাথায় আসিবে না। শুধু তাহাই নহে স্বল্প আহারীরা অনেক দিন বাঁচিয়াও থাকে, তাহারা দীর্ঘায়ু হয়।
ইহা ছাড়া গত তিন দশকে প্রযুক্তির কারণে অনেক খাদ্য উৎপাদন বাড়িয়া গিয়াছে। যাহার ফলে মানুষ অনেক বেশি খাইতেছে- যাহা ওবেসিটির মত মহামারির কারণ হইতেছে। তাই পৃথিবীর সর্বোচ্চ শিক্ষিত রাষ্ট্র পরিচালকদের উচিত হইবে মানুষ যাহাতে কম খাইতে পারে সেই সর্বোত্তম বন্দোবস্তটা করা। ইহাই ভবিষ্যতে অতি উত্তম রাষ্ট্র পরিচালনা বলিয়া ইতিহাসে লেখা হইবে। বর্তমানে মূর্খরা অনেক কিছু বলিতে পারে কিন্তু মনে রাখিতে হয় জ্ঞানীকে মানুষ বুঝিতে পারে শতবর্ষ থেকে হাজারবর্ষ পরে।
এখন সমস্যা হইতেছে এই সব দ্রব্যের সঙ্গে সঙ্গে ওষুধের দামও বাড়িয়া যাইতেছে। যাহারা যৌবনে আছেন তাহারা ওষুধ কম খাইয়া বা না খাইয়াও হয়তো টিকিয়া যাইবেন। শিশু ও বৃদ্ধরা সমস্যায় পড়িতে পারেন। তবে তাহাও কিন্তু জ্ঞানের ভেতর পড়িবেক। কারণ, ম্যালথাস বলিয়া গিয়াছিলেন প্রাকৃতিক নিয়মে মানুষের সংখ্যা কমিয়া যায়। জ্ঞানও মানুষের মাথায় প্রাকৃতিক নিয়মেই আসে। তাই তাহারা ম্যালথাসের সংঙাকে একটু রিভাইজ করিয়া সেখানে কিছু সংযোগ ঘটাইলে- ইহা নিয়মের মধ্যে পড়িয়া যাইবে।
Leave a Reply