শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০৯:০০ পূর্বাহ্ন

রোহিঙ্গা প্রবেশে না, নাভালিনের মৃতু্তে ভারী ছায়া, বাজারে কমে গেছে আমদানী নির্ভর পণ্য

  • Update Time : রবিবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪, ৬.১২ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

রোহিঙ্গাদের আবার আশ্রয়ের প্রস্তাবে বাংলাদেশের না ‘ প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, সীমান্তের ওপারে লড়াইচলছে। মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যে লড়াইয়ের মুখে প্রাণে বাঁচতে রোহিঙ্গারা নিজেদের আদিনিবাস ছেড়ে রাজ্যের নানা জায়গায় ছড়িয়ে পড়ছে। এই পরিস্থিতিতে দুই দেশের সীমান্ত এলাকায় আসা কয়েক শ রোহিঙ্গাকে মানবিক কারণেআশ্রয় দিতে বাংলাদেশকে অনুরোধ করেছে জাতিসংঘ। কিন্তু বাংলাদেশ স্পষ্ট করেই জানিয়েছে, নতুন করে কোনো রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেওয়া সম্ভবনয়।

খবরে বলা হচ্ছে, গত বুধবার ঢাকায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় এমন আলোচনা হয়েছে বলে সরকারি সূত্রেজানা গেছে। পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগ এবং জাতিসংঘের বিভিন্নসংস্থার প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। চলতি মাসের শুরু থেকে মিয়ানমারের রাখাইনে সেনাবাহিনী ও বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির মধ্যেলড়াইয়ের তীব্রতা বাড়তে থাকে। দুই দেশের সীমান্ত এলাকা বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি এবং কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফ থেকে ওপারেরগোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছে। প্রথম আলোর টেকনাফ প্রতিনিধি জানান, টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ ও সেন্ট মার্টিন ইউনিয়নের সীমান্তের ওপারথেকে গত শুক্রবার রাত থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত থেমে থেমে গুলির শব্দ শোনা গেছে। গতকাল বিকেল পাঁচটার দিকে নাফ নদী হয়ে টেকনাফেরশাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে একটি নৌকা ঢুকে পড়ে বলে জানা গেছে। স্থানীয় লোকজন বলছেন, নৌকায় পাঁচজন রোহিঙ্গা আছে। তাদের মধ্যেএকজন গুলিবিদ্ধ। শাহপরীর দ্বীপ জেটিঘাটে গতকাল সন্ধ্যায় দেখা গেছে, প্রবেশপথে লোকজনের ভিড়। বিজিবির সদস্যরা কাউকে ঢুকতে দিচ্ছেননা। নৌকায় করে আসা ব্যক্তিদের বিষয়ে বিজিবির আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। রোহিঙ্গাবিষয়ক জাতীয় টাস্কফোর্সের সভায় সাধারণতবাংলাদেশে আশ্রিত রোহিঙ্গাদের পরিস্থিতি, নীতিকৌশল বাস্তবায়নের পর্যালোচনা ও করণীয় নিয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। অবশ্য গত বুধবারেরসভায় মূলত মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে গৃহযুদ্ধ পরিস্থিতির আলোকে বাংলাদেশে এর প্রভাব ও সামনের দিনগুলোতে কোথায় নজর দেওয়া হবে, সেগুলো গুরুত্ব পেয়েছে।

‘ অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিক, আমদানির নতুন এলসি ৭ শতাংশ বৃদ্ধির প্রক্ষেপণ কেন্দ্রীয় ব্যাংকের’ বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, দেড় বছরের বেশি সময় ধরে আমদানি নিয়ন্ত্রণ করে আসছে বাংলাদেশ ব্যাংক। চলতি অর্থবছরের প্রথমার্ধেও (জুলাই-ডিসেম্বর) আমদানি কমেছে প্রায় ২০ শতাংশ।  এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে তা ১৫ দশমিক ৭৬ শতাংশ কমিয়ে আনা হয়েছিল। তবে এবার আর কমানোনয়, বরং আমদানি প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। দেশের ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি মনে করছে, চলতি অর্থবছরের তৃতীয়প্রান্তিকে (জানুয়ারি-মার্চ) আমদানির নতুন ঋণপত্র (এলসি) ৭ দশমিক ৩৩ শতাংশ বাড়বে। এটি।

খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যঅনুযায়ী, গত অর্থবছরের তৃতীয় প্রান্তিকে ১ হাজার ২৮২ কোটি বা ১২ দশমিক ৮২ বিলিয়ন ডলার মূল্যের আমদানি এলসি খোলা হয়েছিল।চলতি অর্থবছরের একই প্রান্তিকে ১৩ দশমিক ৭৬ বিলিয়ন ডলারের এলসি খোলার সম্ভাবনা রয়েছে। সেটি হলে চলতি প্রান্তিকে ৯৪ কোটিডলারের এলসি বেশি খোলা হবে। এর মাধ্যমে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে দীর্ঘদিন পর আমদানির এলসি খোলার প্রবৃদ্ধির প্রক্ষেপণ এল। এটি। খবরেবলা হচ্ছে, সংশ্লিষ্টরা বলছেন, ব্যবসায়ীদের পক্ষ থেকে এলসি খোলার দাবি জোরালো হচ্ছে। অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ধরে রাখতেও আমদানি বাড়ানোজরুরি। বাজারে আমদানিনির্ভর পণ্যের সরবরাহ অনেক কমে গেছে। এ কারণে সেসব পণ্যের দাম বেড়ে যাচ্ছে। আবার মূলধনি যন্ত্রপাতি ওশিল্পের কাঁচামাল আমদানি কমে যাওয়ার প্রভাবে রফতানি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। সব মিলিয়ে অর্থনীতির চাহিদার নিরিখেই আমদানি বাড়ানোরপূর্বাভাস দেয়া হয়েছে।

 সমকাল পত্রিকার শিরোনাম ‘ কোনোভাবেই বশে আনা যাচ্ছে না ছাত্রলীগকে’ এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি– এইমূলনীতি থেকে অনেকটাই পথভ্রষ্ট ছাত্রলীগ। দেশের সবচেয়ে প্রাচীন ও ঐতিহ্যবাহী ছাত্র সংগঠনটির সমালোচনা আর বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ছে না।চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, সিট বাণিজ্য ও ক্ষমতার দাপট দেখাতে গিয়ে আবারও আলোচনার খাতা খুলেছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের ছাত্রসংগঠনটি। সাম্প্রতিক সময়ে প্রভাব বিস্তার নিয়ে ক্যাম্পাসে-ক্যাম্পাসে সংঘাতে জড়াচ্ছেন নেতাকর্মীরা। সর্বশেষ তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এক গ্রুপআরেক গ্রুপের ওপর অস্ত্রশস্ত্রসহ ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখা গেছে। ফলে অশান্ত হয়ে উঠেছে অন্তত তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।

এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর মধ্যে সবচেয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি)। সেখানে চায়ের দোকানে বসা নিয়ে ছাত্রলীগের তিন গ্রুপেরনেতাকর্মীরা টানা তিন দিন সংঘর্ষে জড়িয়েছেন। আহত হয়েছেন পুলিশসহ ৭০-৮০ নেতাকর্মী। গতকাল শনিবার পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত ছিল।চবি ছাত্রলীগের সংঘর্ষের ঘটনায় কঠোর ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল।এ পরিপ্রেক্ষিতে সংঘাত-সংঘর্ষ নিয়ন্ত্রণে আজ রোববার বৈঠক করবে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এদিকে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে(ঢাবি) সরস্বতী পূজার কনসার্ট ঘিরে ছাত্রলীগের দুই শীর্ষ নেতার অনুসারীর মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। আহত হন ১৫ নেতাকর্মী, যাদেরমধ্যে গুরুতর আহত একজনকে হাসপাতালের আইসিইউতে রেখে চিকিৎসা দিতে হচ্ছে। একই কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়েও (জবি) ছাত্রলীগেরদুই গ্রুপের বিরোধে সৃষ্ট সহিংসতায় বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়েছেন।

 ‘Rage and Despair as Russia’s Exiled Opposition Mourns Navalny’ দ্য মস্কো টাইমস  পত্রিকার প্রধান শিরোনাম  এটি। 

খবরে বলাহচ্ছে, ভিলনিয়াস, লিথুয়ানিয়া — ক্রেমলিনের প্রয়াত সমালোচক আলেক্সি নাভালনির শোক প্রকাশের জন্য শত শত রাশিয়ান অভিবাসী মধ্যভিলনিয়াসে জড়ো হয়েছিল, অনেকে রাগ, দুঃখ এবং অসহায়ত্বের মিশ্রণ প্রকাশ করেছিল। লিথুয়ানিয়ার রাজধানীতে, নির্বাসিত রাশিয়ান কর্মীদেরএকটি কেন্দ্র, কারাগারে রাশিয়ার সবচেয়ে বিশিষ্ট বিরোধী ব্যক্তিত্বের মৃত্যু একটি ভারী ছায়া ফেলেছে।লিথুয়ানিয়ার জাতীয় সম্প্রচারকারী এলআরটি অনুসারে, প্রায় ৫০০ রাশিয়ান নাভালনির মৃত্যুতে শোক জানাতে শহরের প্রধান ধমনী গেডিমিনাস এভিনিউতে সোভিয়েত দখলেরশিকারদের স্মৃতিস্তম্ভে জড়ো হয়েছিল।

শুক্রবার নাভালনির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার সাথে সাথেই স্মৃতিসৌধে ফুল দিতে আসতে শুরু করেশোকার্তরা। দিন বাড়ার সাথে সাথে এই ফুলগুলি ধীরে ধীরে দখলদার স্মৃতিস্তম্ভের গোড়াকে গ্রাস করতে শুরু করে। শোককারীদের মধ্যে ছিলেনমস্কো সিটি কাউন্সিলের প্রাক্তন সদস্য ইয়েলেনা কোতেনোচকিনা। “আমি বিশ্বাস করতে পারিনি যে এটি ঘটেছে,” কোতেনোচকিনা বলেছিলেন, যিনি ২০২৩ সালের শরত্কালে আয়োজিত “রাশিয়ান প্রতিরোধের মুখ” প্রদর্শনী থেকে একটি শিল্পকর্ম নিয়ে এসেছিলেন। আমিও বিশ্বাস করতেপারছিলাম না।”

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024