শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৩৪ পূর্বাহ্ন

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৩৩)

  • Update Time : সোমবার, ২০ জানুয়ারী, ২০২৫, ৮.০০ পিএম

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

‘বাজে কথা বকিস না! তুই যে একটা মাওজার, সব সময়ে সঙ্গে রাখিস, আমি তা জানি না ভেবেছিস? ওই তো তোর ডান পকেটে ওটা রয়েছে। ভালোয়-ভালোয় নিজে থেকে ওটা দিয়ে দে, নয়তো আমরা রক্ষী-বাহিনীকে ডাকতে বাধ্য হব। দে দেখি, বের কর!’ নেবার জন্যে ও হাত বাড়িয়ে দিল।
‘মাওজার?’
‘হ্যাঁ।’
হঠাৎ বুড়ো আঙুল তুলে কাঁচকলা দেখিয়ে চেচিয়ে উঠলুম আমি, ‘নিবি? এই নে! তোরা কি আমায় দিয়েছিলি ওটা? বল, দিয়েছিলি? তবে? যা, ভাগ। নইলে ঘুসি মেরে মুখ পালটে দেব!’
চট করে মাথা ঘুরিয়ে দেখলুম জনা চারেক ছেলে পেছনে এসে দাঁড়িয়েছে, আমার ঘাড়ে ঝাঁপিয়ে পড়বে বলে। তখন বাধা ঠেলে দরজা দিয়ে বেরিয়ে যাওয়ার উদ্দেশ্য নিয়ে সামনে ঝাঁপিয়ে পড়লুম। ফেক্কা আমার কাঁধ চেপে ধরল। সঙ্গে সঙ্গে এক ঘুসি কষালুম ওকে। তখন অনেকে মিলে আমার কাঁধ চেপে ধরল,
অনেকে জাপটে ধরল আমায়। কে একজন পকেট থেকে আমার হাতটা টেনে বের করে দেবার চেষ্টা করল। তখন আরও জোরে পকেটের মধ্যে পিস্তলটাকে চেপে ধরে রইলুম।
‘ওরা পিস্তলটা কেড়ে নেবে.. মিনিটখানেকের মধ্যে পিস্তলটা কেড়ে নেবে আমার’ তারপর ফাঁদে-পড়া জন্তুর মতো বিকট চিৎকার করে উঠে সেই ফাঁকে ঝট করে মাওজারটা বের করে আনলুম। আর বুড়ো আঙুলটা দিয়ে সেফটি ক্যাচ ঠেলে তুলে ট্রিগার দিলুম টেনে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024