শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩৯ পূর্বাহ্ন

আদিবাসীদের উপর হামলার ঘটনায় ক্ষোভ ও দোষীদের শাস্তি দাবি

  • Update Time : বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী, ২০২৫, ৬.৪৪ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক 

পাঠ্য বই থেকে ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বাদ দেয়া ও প্রতিবাদরত আদিবাসীদের উপর হামলার ঘটনায় দেশের ক্ষুদ্ধ নাগরিক সমাজের পক্ষ থেকে ৪৬ জন নাগরিক নিম্নোক্ত বিবৃতি আজ সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশের জন্য প্রদান করেছেন।

“আমরা গভীরতম ক্ষোভ ও বিস্ময়ের সঙ্গে গতকাল জেনেছি যে, জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) তাদের একটি বই-এর ব্যাক-কভারে বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীদের আঁকা আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি যথাযথ মর্যাদায় ব্যবহার করে আবার তা প্রত্যাহার করার প্রতিবাদে আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর শিক্ষার্থী-নাগারিকদের একটি  দল শান্তিপূর্ণ ভাবে তাদের কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শনকালে তাদের উপর  দেশী অন্ত্রেসজ্জিত একটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠী হিংস্র আক্রমণ চালায়। এই আক্রমণের শিকার হয়েছেন কমপক্ষে ২০ জেেনরও বেশি আদিবাসী শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিক। গুরুতর আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজের জরুরি বিভাগ থেকে অন্তত ১৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। কয়েক জনের  জখম এতই গুরুতর যে তাদের হাতে, পায়ে, নাকে অস্ত্রোপচারের প্রয়োজনে অন্য প্রাইভেট হাসপাতালে স্থানান্তর করতে হয়েছে।

আমরা জেনে আরো বেশি ক্ষুদ্ধ ও বিস্মিত হয়েছি যে, বিভিন্ন সোস্যাল মিডিয়াতে হামলার আগের দিন থেকে হামলাকারীরা তাদের সহিংস আক্রমনের পরিকল্পনার ইঙ্গিত ঘোষণার পরও আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর পক্ষ থেকে শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদী মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের সুরক্ষা দেবার জন্য তেমন কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এমন কি হামলা চলাকালে আইন শৃংখলা বাহিনীর কিছু সদস্যকে দূরে দাড়িয়ে নীরব দর্শকের ভূমিকায় থাকতে দেখা গেছে।

এই অবস্থায় এই বর্বরোচিত হামলার দায় এবং জবাবদিহীতার দায়িত্ব আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী এবং তাদের উপরওয়ালা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মাননীয় উপদেষ্টসহ পদস্থ কর্মকর্তারাও এড়াতে পারেন না। কোন একটি সংগঠনের ব্যানারে একদল সন্ত্রাসী আদিবাসী-বিরোধী বিক্ষোভের মুখে সম্প্রতি নবম-দশম শ্রেণীর দুটি পাঠ্যবইয়ের অনলাইন ভার্সনে থাকা ‘আদিবাসী’ শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরিয়ে নতুন গ্রাফিতির ছবি যুক্ত করে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি) একটি অগ্রহণযোগ্য ও অনৈতিক কাজের দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। ঐ সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর দাবি ছিল যে, সংবিধানে ‘আদিবাসী’ শব্দের ব্যবহার নেই তাই এই শব্দ প্রত্যাহার করতে হবে। তাদের এই অমূলক দাবির পর এনসিটিবি’র মতো রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান কীভাবে এরকম একটি হঠকারী সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলল সেটি আমাদের বোধগম্য নয়। এই ঘটনাটি কোন বিশেষ মহলের দ্বারা প্ররোচিত হয়ে কোন গোষ্ঠীর উদ্দেশ্যমূলক বিক্ষোভের অজুহাতে দায়িত্বশীল সরকারি সিদ্ধান্ত রাতারাতি বদলানোর এমন নিকৃষ্ট দৃষ্টান্তের সাথে জড়িতদের আমরা ধিক্কার জানাই।

সকলের মনে রাখতে হবে, জুলাই অভ্যুত্থানে দেড় সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে ছাত্র-জনতার বিজয় অর্জিত হয়েছিল। কাক্সিক্ষত সেই বিজয় আসার পর নতুন উদ্যমে দেশ গঠনে শপথ নিয়েছিল দেশের তরুণ প্রজন্ম। ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে এবং স্বৈরশাসকদের পতনের পরপরই সারা দেশের বিভিন্ন দেয়াল জুড়ে আঁকা হয়েছিল আন্দোলনের গৌরবময় গ্রাফিতি। ছাত্র-জনতার এই আন্দোলন ছিল বাংলাদেশের ইতিহাসের নতুন এক অধ্যায়। একে স্মরণীয় করে রাখতেই শিক্ষার্থীদের এই উদ্যোগ। একটি প্রজন্মের আহবান, প্রত্যাশা ও স্বপ্নের স্বতস্ফ‚র্ত অঙ্গিকারের সাক্ষী এই সকল গ্রাফিতি। গ্রাফিতিতে রয়েছে শহীদদের রক্তের দাগ। দেয়াল জুড়ে বৈষম্যবিরোধী প্রতিবাদ, গণঅভ্যুত্থানের চিত্র, রাষ্ট্র সংস্কারের কথা, দেশপ্রেম, সাম্য ও ভ্রাতৃত্ববোধের বার্তা এবং বদলে যাওয়া বাংলাদেশের গল্প। দুর্নীতি, অত্যাচারের অবসান, মত প্রকাশের স্বাধীনতা, অধিকার প্রতিষ্ঠা, পরবর্তী প্রজন্মের প্রত্যাশাসহ আরো অনেক অনেক কিছু। শিক্ষার্থীদের আঁকা শিল্পকর্ম নজর কেড়েছে সবার, প্রশংসাও কুড়িয়েছে অনেক। আজ পর্যন্ত পৃথিবীর আর কোনো দেশে এত অল্প সময়ে এত গ্রাফিতি আঁকা হয়েছে বলে আমাদের জানা নেই। নতুন একটি দেশের রূপরেখা দেয়ার পাশাপাশি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুখী, সুন্দর ও অসা¤প্রদায়িক একটি রাষ্ট্রের পুনর্জন্ম ঘটানোর অঙ্গীকারের প্রতিফলন এইসব গ্রাফিতি। বাংলাদেশ যে বৈচিত্র্য, বহুত্ববাদ, বহুধর্ম, বহুভাষা, বহুমতের দেশ-  এই বার্তাও অসংখ্য গ্রাফিতিতে ছিল, পাঠ্যবই থেকে যে গ্রাফিতি বাদ দেয়া হয়েছে তাতেও ছিল। এই গ্রাফিতি কারো ব্যক্তিগত সম্পদ নয়, এটি গণ-অভ্যুত্থানের অবিচ্ছেদ্য অংশ। যদি কোনো গোষ্ঠী এর বিরুদ্ধে কথা বলে তাদের মুখোশ জনসমক্ষে উম্মোচন করার জোর দাবি আমরা জানাই।

উল্লেখ্য যে, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস জাতির উদ্দেশে প্রথম ভাষণে আদিবাসীদের আদিবাসী হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। যারা পাঠ্যপুস্তক থেকে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি সরিয়েছেন তারা তার অবস্থান ও অঙ্গীকারকে অসম্মান করেছেন বলে আমরা মনে করি। আমরা বিশ্বাস করতে চাই বৈষম্যবিরোধী এই সরকার বৈষম্য ও বঞ্চনার শিকার আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর প্রতিচ্ছবি হিসেবে আদিবাসী শব্দযুক্ত গ্রাফিতি বহাল রাখবে।
তাই আমরা গতকালের মতিঝিলে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের সামনে শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের জন্য সমবেত আদিবাসী শিক্ষার্থী ও সাধারণ নাগরিকদের উপর দেশী অন্ত্রে সজ্জিত সন্ত্রাসী হামলাকারীদের হিংস্র আক্রমনের তীব্রতম ভাষায় নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানোর সাথে সাথে নিম্নোক্ত দাবিসমূহ দ্ব্যর্থহীন কন্ঠে অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে জানাচ্ছি। এটাও উল্লেখ করা জরুরি যে, এই দেশে কোন ব্যক্তি যত বড় দায়িত্বশীল পদেই থাকুন না কেন, কোন প্রতিষ্ঠান যত প্রভাবশালী হোন না কেন, আইনের উর্ধে নয়, জনগণের কাছে জবাবদিহির বাইরে কারও অবস্থান নেই।

আমাদের দাবিগুলি হচ্ছে নিম্নরূপ:

১. জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক (এনসিটিবি) কার্যালয়ের কাছে শান্তিপূর্ণ উপায়ে প্রতিবাদরত আদিবাসী জাতিগোষ্ঠীর নাগরিক ও শিক্ষার্থীদের উপর বর্বরোচিত আক্রমনের দ্রæত উচ্চ পর্যায়ের নিরপেক্ষ তদন্ত করে এই হামলার সঙ্গে যুক্ত সকল সন্ত্রাসীকে অবিলম্বে গ্রেফতার করে আইন অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দিতে হবে।

২. গত কালের হামলায় আহত সকল আদিবাসী শিক্ষার্থী ও নাগরিকদের সুচিকিৎসার দায়িত্ব রাষ্ট্রকে সুনিশ্চিত করতে হবে।

৩. হামলার জন্য দায়ী সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর পেছনে কোন বিশেষ মদদদাতা গোষ্ঠী সক্রিয় ছিল কিনা তাও দ্রুত শনাক্ত  করে তাদের জবাবদিহিতা নিশ্চিতসহ জড়িতদের আইন অনুযায়ী শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।

৪. পাঠ্যপুস্তকে আদিবাসীদের যথাযথ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি সম্পর্কিত অধ্যায় যুক্ত করতে হবে।

৫. আদিবাসী শব্দযুক্ত যে প্রাফিতি প্রত্যাহার করে ছাত্র-জনতার জুলাই অদ্ভুত্থানকে কার্যত অসম্মানিত করার প্রচেষ্টা চালানো হয়েছে তার জন্য জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অভুত্থানের মূল নায়ক ছাত্র-জনতার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করতে হবে এং প্রত্যাহৃত গ্রাফিতি যথাস্থানে যথা মর্যাদায় পুন:স্থাপন করতে হবে।

৬. স্বঘোষিত হামলাকারীদের পূর্বপরিকল্পিত হামলা প্রতিরোধে আইন শৃংখলার দায়িত্বপ্রাপ্ত বাহিনীর সদস্যরা কেন নীরব ছিলেন বা ব্যর্থ হলেন তার সুস্পষ্ট ও সন্তোষজনক ব্যাখ্যাও দেশবাসীকে সরকারের যথাযথ কর্তৃপক্ষেকে জানাতে হবে।

বিবৃতিতে যারা স্বাক্ষর করেছেন-

১. সুলতানা কামাল, মানবাধিকার কর্মী ও প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন
২. খুশী কবির, মানবাধিকার কর্মী ও নিজেরা করি’র সমন্বয়কারী
৩. ড. ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআই-বি
৪. রাশেদা কে. চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, গণস্বাক্ষরতা অভিযান ও তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা
৫. ড. মেঘনা গুহঠাকুরতা, নির্বাহী পরিচালক, রীব
৬. অ্যাডভোকেট জেড আই খান পান্না, সিনিয়র অ্যাডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
৭. ড. শহিদুল আলম, আলোকচিত্রী ও লেখক
৮. তাসলিমা ইসলাম, প্রধান নির্বাহী (ভারপ্রাপ্ত), বেলা
৯. সৈয়দ আবু নাসের বখতিয়ার আহমেদ, চেয়ারম্যান, অগ্রণী ব্যাংক পিএলসি
১০. সুব্রত চৌধুরী, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
১১. রোবায়েত ফেরদৌস, অধ্যাপক, গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
১২. ড. নোভা আহমেদ, অধ্যাপক, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, নর্থ সাউথ  বিশ্ববিদ্যালয়
১৩. তবারক হোসেইন, সিনিয়র আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
১৪. অ্যাডভোকেট সালমা আলী, নির্বাহী পরিচালক, বাংলাদেশ উইমেন্স লইয়ার্স এসোসিয়েশন (বিএনডব্লিউএলএ)
১৫. ড. সুমাইয়া খায়ের, অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়
১৬. ড. খাইরুল চৌধুরী, অধ্যাপক, ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়
১৭. ড. ফিরদৌস আজীম, অধ্যাপক, ইংরেজি ও মানবিক বিভাগ, ব্রাক  বিশ্ববিদ্যালয়
১৮. ড. নাসরিন খন্দকার, নৃবিজ্ঞানী ও গবেষক
১৯. ড. জোবাইদা নাসরীন, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
২০. মির্জা তাসলিমা সুলতানা, অধ্যাপক, নৃবিজ্ঞান বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর  বিশ্ববিদ্যালয়
২১. শামসুল হুদা, মানবাধিকার কর্মী ও নির্বাহী পরিচালক, এএলআরডি
২২. ড. স্বপন আদনান, ভিজিটিং প্রফেসর, লন্ডন স্কুল অব ইকোনোমিক্স এন্ড পলিটিক্যাল সায়েন্স
২৩. কাজল দেবনাথ, প্রেসিডিয়াম সদস্য, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
২৪. রেজাউল করিম চৌধুরী, নির্বাহী পরিচালক, কোস্ট ট্রাস্ট
২৫. শাহ-ই-মবিন জিন্নাহ, পরিচালক, সিডিএ, দিনাজপুর
২৬. জাকির হোসেন, প্রধান নির্বাহী, নাগরিক উদ্যোগ
২৭. পাভেল পার্থ, পরিচালক, বারসিক
২৮. সঞ্জীব দ্রং, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম
২৯. পল্লব চাকমা, নির্বাহী পরিচালক, কাপেং ফাউন্ডেশন
৩০. রেহনুমা আহমেদ, লেখক ও গবেষক
৩১. সায়দিয়া গুলরুখ, সাংবাদিক ও গবেষক
৩২. মনীন্দ্র কুমার নাথ, যুগ্ম সম্পাদক, বাংলাদেশ হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদ
৩৩. তাসনীম সিরাজ মাহমুব, সহযোগী অধ্যাপক, ইংরেজি বিভাগ, ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়
৩৪. রেজাউর রহমান লেনিন, গবেষক ও মানবাধিকার কর্মী
৩৫. ড. ফস্টিনা পেরেইরা, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
৩৬. অ্যাডভোকেট সাইদুর রহমান, নির্বাহী পরিচালক, মানবাধিকার সংস্কৃতি ফাউন্ডেশন
৩৭. মিনহাজুল হক চৌধুরী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
৩৮. ব্যারিস্টার আশরাফ আলী, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
৩৯. ব্যারিস্টার শাহাদত আলম, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট
৪০. অ্যড. রেজাউল হক, আইনজীবী, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট
৪১. সাঈদ আহমেদ, মানবাধিকার কর্মী
৪২. রোজীনা বেগম, গবেষক ও অধিকারকর্মী
৪৩. মাইদুল ইসলাম, সহযোগী অধ্যাপক, সমাজতত্ত¡ বিভাগ, চট্টগ্রাম  বিশ্ববিদ্যালয়
৪৪. দীপায়ন খীসা, কেন্দ্রিয় সদস্য, বাংলাদেশ আদিবাসী ফোরাম
৪৫. হানা শামস আহমেদ, গবেষক ও আদিবাসী অধিকার কর্মী
৪৬. মুক্তাশ্রী চাকমা, কোর গ্রুপের সদস্য, সাংগাত ও প্রতিষ্ঠাতা নির্বাহী পরিচালক, স্পার্ক

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024