শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২২ পূর্বাহ্ন

প্লাস্টিক ছাড়া কি বর্তমান জীবন কল্পনা করা সম্ভব?

  • Update Time : শনিবার, ১৮ জানুয়ারী, ২০২৫, ১২.১০ এএম

কেলি ওকস

প্লাস্টিক আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে প্রবেশ করেছে। আমরা কি এটি ছাড়া বাঁচতে পারি?

কিন্তু যদি আমরা একটি জাদুর কাঠির সাহায্যে আমাদের জীবন থেকে সব প্লাস্টিক সরিয়ে ফেলতে পারিপরিবেশের জন্য এটি একটি আকর্ষণীয় ভাবনা হবেকিন্তু আমরা শীঘ্রই বুঝতে পারব প্লাস্টিক কীভাবে আমাদের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ঢুকে পড়েছে। প্লাস্টিক ছাড়া কি বর্তমান জীবনের কল্পনা সম্ভব?

আজকের দিনেপ্যাকেজিং শিল্প কাঁচা প্লাস্টিক ব্যবহারের সবচেয়ে বড় ক্ষেত্র। তবে আমরা এটি আরও দীর্ঘমেয়াদি ব্যবহারে ব্যবহার করি: এটি আমাদের ভবনপরিবহন ব্যবস্থাগুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোআসবাবগৃহস্থালির জিনিসপত্রটিভিমোবাইল ফোনকাপড় এবং অসংখ্য দৈনন্দিন জিনিসপত্রে রয়েছে।

এগুলো বিবেচনা করলে দেখা যায়সম্পূর্ণ প্লাস্টিকবিহীন একটি পৃথিবী বাস্তবসম্মত নয়। তবে যদি আমরা হঠাৎ প্লাস্টিকের অ্যাক্সেস হারিয়ে ফেলিতা আমাদের জীবনকে কেমন প্রভাবিত করবে তা কল্পনা করাপ্লাস্টিকের সাথে আরও টেকসই সম্পর্ক গড়ে তোলার পথে সাহায্য করতে পারে।

হাসপাতালে প্লাস্টিকের অভাব মারাত্মক প্রভাব ফেলবে।

হাসপাতালে প্লাস্টিকের ব্যবহার বন্ধ হয়ে গেলেএটি ধ্বংসাত্মক হবে। যেমন, “প্লাস্টিক ছাড়া ডায়ালাইসিস ইউনিট পরিচালনা কল্পনা করা যায় না,” বলেন যুক্তরাজ্যের কীল ইউনিভার্সিটির পরিবেশগত স্থায়িত্ব এবং সবুজ প্রযুক্তি বিষয়ে সিনিয়র লেকচারার শ্যারন জর্জ।

আমাদের খাদ্য ব্যবস্থাও দ্রুত ভেঙে পড়বে। আমরা খাবার প্যাকেজিং ব্যবহার করি যাতে তা পরিবহনের সময় ক্ষতিগ্রস্ত না হয় এবং সুপারমার্কেটের তাক পর্যন্ত পৌঁছানোর সময় পর্যন্ত তাজা থাকে।

প্লাস্টিকবিহীন জীবনধারার চ্যালেঞ্জ ও প্রভাব

প্লাস্টিক ছাড়া আমাদের খাদ্য সংরক্ষণ ও সরবরাহ চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়াবে। যদিও প্যাকেজিং পরিবর্তনের মাধ্যমে কিছু ক্ষেত্রে পরিবেশগত প্রভাব কমানো সম্ভবতবে সব ক্ষেত্রে তা কার্যকর হবে না। এছাড়াপোশাক শিল্পে প্লাস্টিক ছাড়া প্রচুর পরিবর্তন প্রয়োজন হবে।

স্বাস্থ্যগত সুবিধা ও পরিবেশগত চিন্তা

প্লাস্টিকবিহীন জীবনে আমাদের স্বাস্থ্যগত ক্ষতিকারক প্রভাবগুলো থেকে মুক্তি মিলবে। তেল ও গ্যাস থেকে প্লাস্টিক উৎপাদনের সময় নির্গত বিষাক্ত গ্যাস স্থানীয় পরিবেশে দূষণ সৃষ্টি করে।

উপসংহার

প্লাস্টিক ছাড়া পৃথিবী কল্পনা করা কঠিনতবে এটি সম্ভব। তবে এর জন্য আমাদের জীবনযাত্রার পদ্ধতি ও প্রবণতায় পরিবর্তন আনতে হবে। স্থায়িত্বের প্রতি মনোযোগ দিয়ে ভবিষ্যতের জন্য একটি পরিবেশবান্ধব সমাধান বের করা সম্ভব।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024