তিন দিন আগে মহারাষ্ট্রের মুম্বাইয়ে নিজ বাসায় হামলার শিকার হন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেতা সাইফ আলি খান। আর তখন থেকেই শুরু হয়েছে হামলাকারীকে ধরতে পুলিশের অভিযান।
কথা উঠেছে, মুম্বাইয়ের বান্দ্রার মতো নিশ্ছিদ্র নিরাপদ এলাকাতে মাঝরাতে কে এই নবাবের প্রাসাদে ঢুকে হামলা চালালো? এ নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশের সাতটি দল। শুরুতে একজনকে গ্রেফতার করলেও পরবর্তীতে বলা হয়—সে হামলাকারী না।-খবর হিন্দুস্থান টাইমস বাংলা।
এবার দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসাবে মহারাষ্ট্র থানা আটক করেছে মোহাম্মাদ শরিফুল ইসলাম শাহজাদকে। আর এই শরিফুল ইসলামকে নিয়েই শুরু হয়েছে জল ঘোলা হওয়া।
মহারাষ্ট্র পুলিশ জানিয়েছে, সন্দেহভাজন শরিফুল একজন বাংলাদেশি। তার ভারতীয় বৈধ কোনো কাগজপত্র নেই। তার বিভিন্ন জিনিসপত্র ঘেটে প্রাথমিকভাবে তাকে বাংলাদেশি বলেই মনে করছে ভারতের পুলিশ।
এরইমধ্যে শরিফুলের বিরুদ্ধে এজাহার দাখিল করেছে পুলিশ। এতে তার বয়স ৩০ উল্লেখ করা হয়েছে।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, শরিফুল ৫-৬ মাস আগে মুম্বাইতে এসেছিলেন। এরপর ভারতের বিভিন্ন এলাকায় ঘোরাঘুরি করে আবার দিন পনেরো আগে বান্দ্রা এলাকায় আসেন তিনি। এখানে তিনি বিজয় দাস নামে নিজের পরিচয় দিয়েছিলেন। তার নামবদল থেকে শুরু করে অন্যান্য কাগজপত্র কোনোটাই বৈধ না বলে দাবি ভারতীয় পুলিশের।
এর আগে ১৬ জানুয়ারি মাঝরাতে সাইফের অ্যাপার্টমেন্টে হামলা করে একজন। সাইফ তাকে থামাতে গেলে দুজনার মধ্যে ধস্তাধস্তি হয় এবং এক পর্যায়ে হামলাকারী সাইফের পাঁচ জায়গায় ছুরিকাঘাত করে। বর্তমানে বলিউডের এ নায়ক লীলাবতী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
ইউএনবি নিউজ
Leave a Reply