প্রদীপ কুমার মজুমদার
মহাভারতের শান্তিপর্বের কোন এক জায়গায় নাম সংখ্যার প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যায়। এই শান্তিপর্বে বলা হয়েছে:
“পঞ্চাশতং যট, চ কুরুপ্রবীর
শেষং দিনানাং তব জীবিতক্ষ
ততঃ শুভৈঃ কৰ্ম্মফলোদয়ৈস্বং
সমেয়াসে ভীষ্ম বিমুচ্য দেহম্।
এখানে “পঞ্চাশতং ঘট, চ” এর অর্থে নীলকণ্ঠ সুরী বলেছেন, ৩০।
মহাভারতের একটি জায়গায় মহযি বৈশস্পায়ণ জন্মেজয়কে বলেছেন’:
পাওবানামিহাযুক্তং শৃণু কৌরবনন্দন।
জগাম হাস্তিনপুরং ষোড়শাব্দো যুধিষ্ঠিরঃ
ভীমসেনঃ পঞ্চদশো বীভৎসুর্বৈ চতুর্দ্দশঃ
ত্রয়োদশাব্দৌ চ যমৌ জন্মতুনাগসাহ্বয়ম্।
তত্র ত্রয়োদশাজানি ধার্তরাষ্ট্রেঃ সহোযিতাঃ
যন্মাসান্ জাতুষগৃহাম্মুক্তা জাতো ঘটোৎকচঃ
যন্মাসানেবচক্রায়াং বর্ষং পাঞ্চালকে গৃহে।
ধার্তরাষ্ট্রেঃ সহোষিত্ব। পঞ্চ বর্ষাণি ভারত!
ইন্দ্রগ্রন্থে বসন্তস্তে ত্রীণি বর্ষাণি বিংশতিম্।
দ্বাদশাব্দানথৈকঞ্চ বন্ধুবুদ্যুতনিজিতাঃ
ভুত্ত্বা ষট্ত্রিংশতং রাজন! সাগরাস্তাং বহুন্ধরাম্।
মাসৈঃ ষড় ভিৰ্ম্মহাত্মানঃ সর্বে কৃষ্ণ পরায়ণাঃ।
রাজ্যে পরীক্ষিতং স্থাপ্য দিষ্টাং গতিমবাপ্পবন্।
এবং যুধিষ্ঠিরস্কাসীদায়ূরষ্টোত্তরং শতম্।
মর্মার্থ হচ্ছে-যুধিষ্ঠিরের ১৬, বৎসর ভীমের ১৫ বৎসর অর্জুনের ১৪ বৎসর এবং নকুল ও সহদেবের ১৩ বৎসর সময়ে তাঁরা শতশৃঙ্গ পাহাড় থেকে হস্তিনাতে গেলেন।
(চলবে)
Leave a Reply