জানুয়ারি ২২, সিএমজি বাংলা ডেস্ক: চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিনপিং বলেছেন, তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে কাজ করতে ইচ্ছুক যাতে নতুন বছরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়।
রুশ প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মঙ্গলবার এক ভিডিও বৈঠকে চীনের প্রেসিডেন্ট একথা বলেন। বৈঠকে সি চীন-রাশিয়া সম্পর্কের স্থিতিশীলতা এবং স্থিতিস্থাপকতার সাথে বাহ্যিক পরিবেশের অনিশ্চয়তা মোকাবেলা করার, যৌথভাবে দুই দেশের উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবন এগিয়ে নেওয়া এবং আন্তর্জাতিক ন্যায্যতা ও ন্যায়বিচার সমুন্নত রাখার আহ্বান জানান।
দুই রাষ্ট্রপ্রধান আসন্ন চীনা চান্দ্র নববর্ষের জন্য উৎসবের শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।
সি গত বছর পুতিনের সাথে তার তিনটি বৈঠকের কথা স্মরণ করেন, যার ফলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ সাধারণ বোঝাপড়া হয়েছিল। তিনি আরও বলেন, গত বছর চীন-রাশিয়ার কূটনৈতিক সম্পর্কের ৭৫তম বার্ষিকী পালন করা হয়েছে, যা স্থায়ী ভালো-প্রতিবেশীসুলভ বন্ধুত্ব, ব্যাপক কৌশলগত সমন্বয় এবং পারস্পরিক উপকারী সহযোগিতার বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত।
সি উল্লেখ করেছেন এই বছরটি জাপানি আগ্রাসনের বিরুদ্ধে চীনা জনগণের প্রতিরোধ যুদ্ধ, সোভিয়েত ইউনিয়নের মহান দেশপ্রেমিক যুদ্ধ এবং বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধের বিজয়ের ৮০ তম বার্ষিকী এবং সেইসাথে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠার ৮০ তম বার্ষিকী ।
সি জোর দিয়ে বলেন, চীন ও রাশিয়ার উচিত এটিকে যৌথভাবে জাতিসংঘ-কেন্দ্রিক আন্তর্জাতিক ব্যবস্থা এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে বিজয়ের ফলাফলকে রক্ষা করার সুযোগ হিসেবে গ্রহণ করা, জাতিসংঘ সনদের উদ্দেশ্য ও নীতির প্রতি সকল দেশের আনুগত্যকে উন্নীত করা, সর্বজনীনভাবে স্বীকৃত মৌলিক নিয়মগুলোকে সমুন্নত রাখা এবং আন্তর্জাতিক সম্পর্ক ও সত্যিকারের বহুপাক্ষিকতার অনুশীলনকে এগিয়ে নেয়া।
এক চীন নীতির প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে পুতিন বলেছেন রাশিয়া এবং চীন সবসময় একে অপরকে বিশ্বাস ও সমর্থন দিয়ে এসেছে , একে অপরকে সমান বলে আচরণ করেছে, দুই পক্ষের মধ্যে সহযোগিতা দুই জনগণের স্বার্থে এবং আন্তর্জাতিক দৃশ্যপটের পরিবর্তন দ্বারা প্রভাবিত হয়নি।
তিনি উল্লেখ করেছেন ৮০ বছর আগে, রাশিয়ান এবং চীনা জনগণ তাদের জাতীয় সার্বভৌমত্ব এবং মর্যাদা রক্ষা করে তাদের রক্ত ও জীবন দিয়ে আক্রমণকারীদের প্রতিহত করেছিল। তিনি বলেন, এ বছর দুই পক্ষ যৌথভাবে বিশ্ব ফ্যাসিবাদবিরোধী যুদ্ধের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উদযাপন করবে এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ফলাফল রক্ষা করবে।
পুতিন আরও বলেন, রাশিয়া চীনের সাথে বহুপাক্ষিক বিষয়ে সহযোগিতা জোরদার করতে এবং বিশ্ব শান্তি ও উন্নয়নে ইতিবাচক ভূমিকা পালন করতে উচ্ছুক।
দুই রাষ্ট্রপ্রধান অভিন্ন উদ্বেগের আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক ইস্যুতে গভীরভাবে আলোচনা করেন এবং নতুন বছরে কৌশলগত যোগাযোগ বজায় রাখতে সম্মত হন।
শান্তা/মিম
Leave a Reply