সত্যেন্দ্রকুমার বসু
ধর্মগুরু হিউএনচাঙ যখন যাত্রা করেন তখন তাঁর বয়স ছিল আঠাশ বৎসর। তিনি সুশ্রী, দীর্ঘকায় ছিলেন। তাঁর চোখ উজ্জ্বল, চলন ধীর গম্ভীর, মুখশ্রী মনোহর ও বুদ্ধিমণ্ডিত ছিল। তাঁর স্বভাবে যে পৌরুষ ও নম্রতার সমাবেশ ছিল তা তাঁর পর্যটনের নানা ঘটনা থেকে প্রকাশ পায়। তাঁর কণ্ঠস্বর পরিষ্কার ও বহুদূরপ্রসারী ছিল।
কথাবার্তাও মহিমাব্যঞ্জক ও মধুর, সুতরাং শ্রোতাদের চিত্তাকর্ষক ছিল। পাতলা সুতার ঢিলা পোশাক ও কোমরে চওড়া কটিবন্ধ ধারণ করায় তাঁকে পণ্ডিতের মতই দেখাত। কনফুসীয়সুলভ সাধারণ বুদ্ধি, বিজ্ঞতা, প্রাত্যহিক জীবনের উপযোগী সাবধানতা ও স্থির মতির সঙ্গে বৌদ্ধ সদয়ভাবের সংমিশ্রণ তাঁর স্বভাবে ছিল।
যার-তার সঙ্গে বন্ধুতা করতেন না, কিন্তু বন্ধুতা রক্ষা করবার জন্যে যে সাবধানতা প্রয়োজন তা তাঁর যথেষ্ট ছিল। স্থৈর্য, মানসিক সাম্যভাব আর করুণা তাঁর স্বভাবে প্রকাশ পেত। ক্রমশ তিনি চীনের পর্বতসংকুল পশ্চিমপ্রান্তে (আধুনিক কানসু প্রদেশে) লিআং চাউ সহরে উপনীত হলেন।
চলবে
Leave a Reply