প্রদীপ কুমার মজুমদার
শুধুমাত্র ভারতীয় শাস্ত্র ও পাণ্ডুলিপিতেই নাম সংখ্যার উল্লেখ নেই। ভারতে ও ভারতীয় উপনিবেশগুলিতে বিভিন্ন শিলালেখ ও তাম্রলেখতেও নাম সংখ্যার ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়।
যেমন কম্বোজ রাজ্যের রাজধানী বায়ৎ নগরীতে ৬০৪ ও ৬২৫ খ্রীষ্টাব্দে লিখিত দুটি, শিলালেখে রশাখিবাণ- ৫২৬ এবং ঋতুসমূজেন্দ্রিয় =৫৪৬ ধরা হয়েছে।
৬৩৪ খ্রীষ্টাব্দে গুজরাটের চালুক্য বংশীয় রাজা দ্বিতীয় পুলকেশীর সময় কবি রবি-কীত্তি শিলাফলকের জন্য যে শ্লোকটি লিখেছিলেন তাতে নামসংখ্যার ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। শিলালেখে বলা হয়েছে:
ত্রিংশৎসু ত্রিসহস্রেযু ভারতাদাহ বাদিতঃ।
সপ্তাব্দ শত যুক্তেযু গতেস্বব্দেমু পঞ্চস্থ ॥
পঞ্চাশৎসু কলৌ কালে ঘট সু পঞ্চশতাসু চ।
সমাজ সমতীতাস্থ শকানামপি ভুজজাম্।
এর মূল অর্থ হচ্ছে কুরুপাণ্ডবের যুদ্ধ হতে ৩৭৩৫ বছর কেটে যাবার পর এবং ৫৫৬ শকাব্দের পর এই শিলাফলক উৎকীর্ণ হল।
(চলবে)
Leave a Reply