মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন

কমেছে কৃষি ঋণের পরিমান,কৃষকের ওপর এর প্রভাব কি হবে

  • Update Time : সোমবার, ২৭ জানুয়ারী, ২০২৫, ৩.১৮ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

ব্যাংকগুলোর কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ বিতরণ চলতি অর্থবছর (২০২৪-২৫) এর প্রথম চার মাসে এক-পঞ্চমাংশেরও বেশি কমে গেছে। বিদেশি ও বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ সরবরাহে উল্লেখযোগ্য হ্রাসই এই পতনের প্রধান কারণ বলে জানা গেছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের (বিবি) তথ্য অনুযায়ী, এই অর্থবছরের জুলাই-অক্টোবর সময়কালে ব্যাংকগুলো ৯,৩৯১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। গত অর্থবছরের একই সময়ে এ পরিমাণ ছিল ১১,৯৬০ কোটি টাকা।

বিবি জানিয়েছে, বিদেশি বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ কমে যাওয়ায় এই পতন ঘটেছে।

পরিসংখ্যানে দেখা যায়, তাদের বিতরণ এ বছর ৭৬.৫ শতাংশ কমেছে।

অন্যদিকে, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ ২৯ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে।

রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাংকগুলোর কৃষি ও গ্রামীণ ঋণ বিতরণও কমেছে।

তবে কেবল রাষ্ট্রায়ত্ত বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো কৃষি ও গ্রামীণ অর্থনীতিতে ঋণ সরবরাহ বাড়িয়েছে।

এই ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণ ১২ শতাংশ বেড়েছে বলে বিবি জানিয়েছে। তবে এটি সামগ্রিক পতনের তুলনায় তেমন কোনো প্রভাব ফেলেনি।

বিবি-র তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংকগুলো ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ৩৮,০০০ কোটি টাকার ঋণ বিতরণের লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল। তবে প্রথম চার মাসে এর মাত্র এক-চতুর্থাংশ বিতরণ করা হয়েছে।

বিবি-র প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে বিতরণকৃত কৃষি ঋণের প্রায় ৪৬ শতাংশ ফসল উৎপাদনে ব্যয় হয়েছে।

গত বছর এই খাতে মোট ঋণের ৪৫ শতাংশ বরাদ্দ ছিল।

গবাদি পশু ও পোলট্রি খাতে ঋণের অংশ ২৪ শতাংশ থেকে বেড়ে ২৫ শতাংশে উন্নীত হয়েছে। পাশাপাশি, মৎস্য খাতেও ঋণের অংশ ১৫ শতাংশ থেকে ১৭ শতাংশে বৃদ্ধি পেয়েছে।

অন্যদিকে, দারিদ্র্য বিমোচন প্রকল্পে ঋণের অংশ ৭ শতাংশ থেকে কমে ৪ শতাংশে নেমে এসেছে।

“এই পরিবর্তনগুলো দেখায় যে ফসল, গবাদি পশু ও পোলট্রি, এবং মৎস্য খাতে বেশি মনোযোগ দেওয়া হচ্ছে। অন্যদিকে দারিদ্র্য বিমোচন খাতের গুরুত্ব কমেছে,” বলে জানিয়েছে বিবি তার অক্টোবর মাসের কৃষি ও গ্রামীণ অর্থায়ন প্রতিবেদন।

কৃষক ও কৃষি অর্থনীতি’র সঙ্গে জড়িতদের অনেকের কাছে এ বিষয়ে মতামত চাইলে তারা প্রায় অভিন্ন কথা বলেন, তারা বলছে যে সময়ে আলু সহ অনান্য সবজি’র উৎপাদন খরচ উঠছে না, কৃষি পণ্য মানেজমেন্ট এক ধরনের নিয়ন্ত্রহীন সে সময়ে কৃষি ঋণের সরবরাহ কমায়, মূলত কৃষি উৎপাদন ক্ষতিগ্রস্থ হবে। কৃষক এ মুহূর্তে ঋণ ও প্রনোদনা না ফেলে ক্রমেই কৃষি পণ্য উৎপাদনের বাইরে গিয়ে জীবন বাঁচানোর পথ খুঁজবে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024