সারাক্ষণ রিপোর্ট
২০২৪-২৫ অর্থ বছরে বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমান বাড়বে এটা আগেই স্থির ছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথমার্ধে,অর্থাৎ জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত, বাংলাদেশের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের পরিমাণ ২৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই বৃদ্ধি হয়েছে ঋণের পরিমাণ বৃদ্ধি ও বৈশ্বিক সুদের হার বৃদ্ধির কারণে।
এই সময়ে দেশটি মূল ঋণ ও সুদ বাবদ ১.৯৮ বিলিয়ন ডলার পরিশোধ করেছে, যা আগের বছরের একই সময়ের ১.৫৭ বিলিয়ন ডলার থেকে বেশি। অর্থ মন্ত্রণালয় প্রকাশিত তথ্য অনুসারে এ তথ্য জানা যায়।
স্থানীয় মুদ্রায় পরিশোধের পরিমাণ ছিল ২৩,৬৭৫ কোটি টাকা, যা আগের বছরের ১৭,২৪০ কোটি টাকা থেকে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেশি। এর ফলে সরকারি অর্থব্যবস্থার উপর চাপ বৃদ্ধি পেয়েছে।
একই সময়ে, বৈদেশিক ঋণের বিতরণ ১৩ শতাংশ হ্রাস পেয়ে ৩.৫৩ বিলিয়ন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এছাড়া, অনুদান ও ঋণের মোট প্রতিশ্রুতি উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়ে আগের বছরের ৬.৯৮ বিলিয়ন ডলার থেকে ৬৭ শতাংশ কমে ২.২৯ বিলিয়ন ডলারে নেমে এসেছে।
বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের এই ধাক্কা কাটানোর জন্যে এবং এর প্রভাব যাতে অর্থনীতিতে না পড়ে এ বিষয়ে কোন পরিকল্পনা থাকা উচিত ছিলো কিনা? এমন প্রশ্ন করলে সাবেক একজন অর্থ সচিব বলে সরকার সব সময়ই এ ধরনের ক্ষেত্রে আগাম পরিকল্পনা রাখে। আর সে পরিকল্পনা সাধারণত রপ্তানি বাড়িয়ে অধিক বৈদেশিক মুদ্রা অর্জন ও বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধির মত কাজগুলোতে জোর দেয়া হয়। আর সেটা চলতে থাকলে এই পরিশোধের বিষয়টি সামনে আসে না বরং স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় থেকে যায়। বর্তমানে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার কারণে বিনিয়োগ ও রপ্তানি থমকে গেছে বলেই এমনটি ঘটছে।
Leave a Reply