প্রদীপ কুমার মজুমদার
এখানে দেখা যাচ্ছে যে একই সংখ্যা কিন্তু নাম সংখ্যার প্রয়োগ দুটি ভিন্ন নামকরণ করা হয়েছে। এবং এতে শ্লোকের মাধুর্য্যের বা অর্থের কোন ক্ষতি হয় নি।কোন কোন তন্ত্রগ্রন্থে যেমন মেরুতন্ত্র প্রভৃতিতে স্থানীয় মান সহকারে নাম সংখ্যার উল্লেখ আছে। যেমন গোত্রী-৩৯, একচতুঃ-৪১, দ্বিচতু-৪২, বেদবেদ- ৪৪, সায়ককৃত ৪৫ প্রভৃতি।
উৎপলভট্ট বৃহজ্জাতকবিবৃতিতে মনিখের গ্রন্থ থেকে যে কয়টি উক্তি তুলে ধরেছিলেন তার মধ্যে কিছু উক্তিতে স্থানীয়মান সহকারে নামসংখ্যার প্রয়োগ দেখতে পাওয়া যায়। যেমন নবরূপা (১৯,) শরযমলা (২৫,) স্তিতয়ো (১৫,) হর্কা (১২,) পঞ্চরূপকাঃ (১৫,) ক্রমশঃরূপযমা (২১) রুতিসংখ্যাঃ সূৰ্য্যাদীনাং স্বতুঙ্গভেষন্দাঃ।
জীবশর্মার কিছু উক্তিও বৃহচ্ছাতকের মধ্যে উৎপলভটু উল্লেখ করেছেন। সেখানেও স্থানীয় মান সহকারে নামসংখ্যার ব্যবহার দেখতে পাওয়া যায়। যেমন সপ্তদশৈ (১৭) কো (১) দ্বিযমৌ (২২) বসবো (১৮) বেদাগ্রয়ো (৭৩৪) গ্রহেন্দ্রানাম।
কখনও কখনও ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে নামসংখ্যা ও শব্দ সংখ্যা একই সঙ্গে উল্লেখিত হতে যায়। যেমন কৃতবসুনবাষ্টনবনবষটত্রিনবাগেন্দবে। ১৭৯৩৬৯৯৮৯৮৪, সপ্তশূন্যং স্বয়ং দ্বয়ং পঞ্চৈকক প্রতিষ্ঠিতম্-১৫২২০৭। ভগ্নাংশকেও অনেক ক্ষেত্রে নাম সংখ্যার সাহায্যে উল্লেখ করা হয়েছে। যেমন শফ, কুষ্ঠ টুই, কলাইন্ড, পাদ-প্রভৃতি।
(চলবে)
Leave a Reply