সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:২৭ অপরাহ্ন

১২২.৫০ টাকায় ডলার পেলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাম

  • Update Time : শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী, ২০২৫, ৭.০৭ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

সরকারি হিসেবে ডলারের দাম বেড়েছে দশমিক ৫০ টাকা

শিল্পপতি ও আমদানীকারকদের বক্তব্য তারা সরকারি দামে ডলার পাচ্ছেন না ব্যাংকে

প্রাইভেট ব্যাংকের কর্মকতার মতে ডেফার এলসি সহ আমদানী সব মিলে ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডলারের দামের প্রতিযোগীতা চলছে

 ব্যাংকগুলোর মধ্যে ডলারের দাম নিয়ে প্রতিযোগীতায় ভিন্ন ভিন্ন উচ্চদামে ডলার বিক্রি হচ্ছে

বিভিন্ন ব্যাংকের কর্মকর্তারা বলেছেন যে গত দুই সপ্তাহে ডলারের দাম কমপক্ষে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে বর্তমানে প্রতি ডলারে ১২২.৫ টাকা হয়েছে। অন্যদিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন জুতো প্রস্তুতকারক ও একজন ওষুধ প্রস্তুতকারক শিল্পপতি জানালেনব্যাংক যদিও বলছে ১২২.৫০ টাকায় তারা ডলার বিক্রি করছে কিন্তু বাস্তবে এলসি খুলতে গেলে তাদেরকে আরো বেশি দামে কিনতে হচ্ছেআর সরকার যে এক বছরের ডেফার এলসি দেবার নির্দেশ দিয়েছে সেটা মানা সম্ভব হচ্ছে না অধিকাংশ ব্যাংকের পক্ষে বলে তাঁরা বলেন

বৈদেশিক মুদ্রা বাজারে স্বল্প সময়ের স্থিতিশীলতার পরঅতিদেয় আমদানি পেমেন্টের কারণে অর্থপ্রেরণের ডলার হার বেড়ে গেছে। বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে

ডলার শক্তিশালী হওয়ায় ২০২৪ সালে টাকা ১২.৭২% মূল্য হ্রাস পায়

এবং এর পরেওবাংলাদেশ ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী ব্যাংকগুলি আনুষ্ঠানিকভাবে ডলারের মূল্য ১২২ টাকায় প্রদর্শন করে যাচ্ছে।

ডিসেম্বরে শেষের দিকেকেন্দ্রীয় ব্যাংক মৌখিকভাবে ব্যাংকগুলিকে অর্থপ্রেরণের ডলারের সর্বাধিক ক্রয় ও বিক্রয় হার ১২২ টাকায় সীমিত করতে নির্দেশ দিয়েছিল। এছাড়াওক্রয় এবং বিক্রয় হারের মধ্যে পার্থক্য ১ টাকা ছাড়িয়ে যাবে না বলে বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছেঅমান্য করলে জরিমানা হতে পারে বলে সতর্কতা দেওয়া হয়েছে। তবে বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন সিনিয়র কর্মকর্তা ও শিল্পপতি এবং আমদানীকারকদের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলে এর ভিন্ন চিত্র পাওয়া যায়। একজন আমদানীকারক বললেনভয়ে আছিকথা বলতে পারি না। নাম প্রকাশ না করলে শুধু এটুকু বলতে পারি১২২.৫০ টাকায় ডলার পেলে নিজেকে ভাগ্যবান মনে করতাম

বাংলাদেশ ব্যাংক বাড়তি ডলার চাহিদার পিছনে কারণ নির্ণয় করেছে

 বার্তা সংস্থা ইউ এন বির তথ্য অনুযায়ী একজন প্রাইভেট ব্যাংকের সিনিয়র কর্মকর্তা ইউএনবিকে জানিয়েছেন যেকেন্দ্রীয় ব্যাংকের নির্দেশনা অনুযায়ী অর্থপ্রেরণের ডলার হার ১২১.৫ টাকা থেকে ১২২ টাকার মধ্যে রয়ে গেছে। তবেঅতিদেয় আমদানি পেমেন্টের ভার বাড়ার সাথে সাথেডলার সুরক্ষিত করার জন্য ব্যাংকগুলির মধ্যে প্রতিযোগিতা তীব্র হয়েছেযার ফলে কিছু ব্যাংক উচ্চ মূল্যে অর্থপ্রেরণের ডলার কিনতে শুরু করেছে।

জানুয়ারি ২৭ তারিখে একটি বৈঠকেকেন্দ্রীয় ব্যাংক ব্যাংকগুলিকে সমস্ত অতিদেয় আমদানি দায়িত্ব এবং ব্যাক-টু-ব্যাক লেটার অফ ক্রেডিট (LC) এর জন্য পেমেন্ট দ্রুততর করার নির্দেশ দিয়েছিল। অথরাইজড ডিলার্স ফোরামের একটি বৈঠকে জারি এই নির্দেশনা ডলার চাহিদা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। এর পরঅর্থপ্রেরণের ডলার হার বেড়ে কমপক্ষে ৫০ বেসিস পয়েন্ট বৃদ্ধি পেয়ে প্রতি ডলারে ১২২.৫ টাকা হয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024