সোমবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০২ অপরাহ্ন

এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবসর ও কল্যাণ–সুবিধার টাকা পেতে অপেক্ষা বাড়ছে

  • Update Time : শনিবার, ১ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৮.৩৯ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “এমপিওভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অবসর ও কল্যাণ–সুবিধার টাকা পেতে অপেক্ষা বাড়ছে”

অর্থসংকটের কারণে আগে থেকেই বেসরকারি এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ–সুবিধার টাকা পেতে লম্বা সময় অপেক্ষা করতে হতো। এখন এই অর্থের সংকট আরও বেড়েছে। পাশাপাশি প্রায় ছয় মাস ধরে অবসর ও কল্যাণ–সুবিধা বোর্ড অকার্যকর হয়ে আছে। এই দুই কারণে এখন শিক্ষক-কর্মচারীদের অবসর ও কল্যাণ–সুবিধা পেতে অপেক্ষাও দীর্ঘ হচ্ছে। অবসর ও কল্যাণ–সুবিধা মিলিয়ে ৭৪ হাজারের বেশি শিক্ষক-কর্মচারীর আবেদন অনিষ্পন্ন হয়ে জমা পড়ে আছে।

অবসরের পরপরই অবসর ও কল্যাণ–সুবিধা পাওয়ার প্রত্যাশা থাকলেও বাস্তবতা হলো শিক্ষক-কর্মচারীদের এসব সুবিধা পেতে এখন তিন থেকে চার বছর পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়। প্রায় ছয় মাস ধরে বোর্ড সভা না হওয়ায় এবং বোর্ডের নিয়মিত সচিব না থাকায় নতুন করে টাকা দেওয়ার অনুমোদন হচ্ছে না। ফলে শিক্ষক-কর্মচারীদের হাহাকারও বাড়ছে।

অবসর ও কল্যাণ–সুবিধা বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, শিক্ষকদের এই অসহায়ত্ব দেখে তাঁরাও কিছু করতে পারছেন না। তাঁরাও চান, সরকার দ্রুত এই সমস্যার সমাধান করুক।

সারা দেশে এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারী আছেন পাঁচ লাখের বেশি। এসব শিক্ষক-কর্মচারীর অবসর ও কল্যাণ–সুবিধা দেওয়া হয় দুটি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে। এর মধ্যে কল্যাণ–সুবিধার টাকা দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে। আর অবসর–সুবিধার টাকা দেওয়া হয় বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর–সুবিধা বোর্ডের মাধ্যমে।

রাজধানীর পলাশী-নীলক্ষেত এলাকায় বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য ও পরিসংখ্যান ব্যুরো (ব্যানবেইস) ভবনে কল্যাণ ট্রাস্ট ও বোর্ডের কার্যালয়। বৃহস্পতিবার দুপুরে এই ভবনে গেলে দেখা যায়, বেশ কিছুসংখ্যক শিক্ষক-কর্মচারী এবং তাঁদের স্বজনেরা এসেছিলেন অবসর ও কল্যাণ–সুবিধার টাকা পাওয়ার খবর নিতে। কর্মকর্তারা তাঁদের বোঝাচ্ছিলেন। কিন্তু বাস্তবে সবাইকে নিরাশ হয়ে ফিরতে হয়েছে।

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “ছাত্রদের নতুন দল: নেতৃত্বে থাকছেন নাহিদ!”

এ মাসের প্রথমার্ধেই আসছে জুলাই আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের রাজনৈতিক দল। দলের নাম এখনো চূড়ান্ত না হলেও, দলের নেতৃত্বে কারা আসছেন তা নিয়ে আলোচনা চলছে রাজনৈতিক অঙ্গনে। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম এ রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক হচ্ছেন বলে একাধিক সূত্র আভাস দিয়েছে। সদস্যসচিব এবং অন্যান্য শীর্ষ পদে কারা থাকবেন তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে সদস্যসচিবসহ শীর্ষ পদগুলোতে আসার ক্ষেত্রে আলোচনায় আছেন নেতৃস্থানীয় আরো অন্তত তিন জন। জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে কথা বলে এ বিষয়ে জানা গেছে।

জানতে চাইলে জাতীয় নাগরিক কমিটির সদস্যসচিব আখতার হোসেন ইত্তেফাককে বলেন, আমাদের নতুন দলের আত্মপ্রকাশের জন্য দেশের মানুষেরা মুখিয়ে আছেন। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টাদের মধ্যে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদের গ্রহণযোগ্যতা ও জনপ্রিয়তার কারণে নীতিনির্ধারণী নেতারা চাচ্ছেন উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে কেউ একজন দলের হাল ধরুক। এক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট সবার মতামত হলো তথ্য উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম যেন নতুন দলের আহ্বায়ক হন। তবে এ বিষয়ে এখনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি।

নাগরিক কমিটির অন্য নেতাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে কেউ দলে যোগ দিতে হলে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগ করতে হবে। তবে নাগরিক কমিটির একটা বিশেষ সূত্র জানিয়েছে, রাজনৈতিক দলের আহ্বায়ক কমিটির প্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিতে শুধু নাহিদ ইসলাম সরকার থেকে পদত্যাগ করবেন। এক্ষেত্রে আহ্বায়ক পদে নাহিদ ইসলামকে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়া সব মত ও পক্ষ একমত হয়েছে। এছাড়া নাহিদ ইসলাম পদত্যাগ করলে ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে নাগরিক কমিটি থেকে আলী আহসান জুনায়েদ কিংবা আখতার হোসেন উপদেষ্টা পদে যোগ দিতে পারেন বলেও আভাস পাওয়া গেছে।

এদিকে উপদেষ্টা পদ থেকে পদত্যাগের বিষয়টি আলোচনায় আসার পর গত বৃহস্পতিবার নাহিদ ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, রাজনৈতিক দলে অংশ নিতে অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পদ ছাড়ার কোনো সিদ্ধান্ত এখনো নেননি। তিনি বলেন, এ ধরনের কোনো সিদ্ধান্ত যদি হয়, রাজনৈতিক দলে অংশগ্রহণ করার মতো পরিস্থিতি হলে, সেটা আনুষ্ঠানিকভাবে জানাবেন।

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”জিডিপির আকার ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিরঞ্জিত হতে পারে”

বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) সর্বশেষ হিসাবে, দেশের জিডিপির আকার ৪৫৯ বিলিয়ন ডলার। যদিও দেশী-বিদেশী বিভিন্ন নথিতে পাওয়া তথ্য এবং অর্থনীতিবিদ ও বিশেষজ্ঞদের ভাষ্যমতে, বাংলাদেশের জিডিপির প্রকৃত আকার ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে হতে পারে। এলডিসি থেকে উত্তরণ ও উন্নয়নকে অতিরঞ্জিত করে দেখাতে গিয়ে বিগত সরকার দেশের জিডিপি পরিসংখ্যানকে ফুলিয়ে-ফাঁপিয়ে দেখিয়েছে। সরকারিভাবে এ তথ্যকে প্রকৃত পরিমাণের চেয়ে অন্তত ১০০ বিলিয়ন ডলার অতিরঞ্জিত করে দেখানো হয়েছে, যাতে করে সরকার বিদেশ থেকে বেশি ঋণ নিতে পারে এবং জিডিপির তুলনায় ঋণের অনুপাত অনেক নিচে থাকে।

গত দেড় দশকের সরকারি পরিসংখ্যান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে অনেক। দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি নিয়ে সরকারের বক্তব্যের সঙ্গে একমত হতে পারেননি দেশী-বিদেশী অর্থনীতিবিদ ও পর্যবেক্ষকরা। এ অবস্থায় দেশের জিডিপির প্রকৃত পরিমাণ জানতে অর্থনীতিবিদ, বেসরকারি সংস্থা ও পরিসংখ্যান বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলেছে বণিক বার্তা। বাংলাদেশের জিডিপির আকার নিয়ে সরকারের দাবিকৃত ৪৫৯ বিলিয়ন ডলারের তথ্যটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তাদের সবাই। দেশের অর্থনীতির প্রকৃত আকার নিয়ে তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে নানারকম অভিমত। তবে তা কোনোভাবেই ৩০০ থেকে ৩৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি না বলে মনে করছেন তারা।

বিশ্লেষকরা বলছেন, বিগত সরকার জিডিপির আকার ও প্রবৃদ্ধি বাড়িয়ে দেখালেও মূল্যস্ফীতি কমিয়ে দেখিয়েছে। প্রশ্নবিদ্ধ এ পরিসংখ্যান ঠিক করতে একটি ডাটা কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেয়া হয়েছিল, যা এখনো বাস্তবায়ন হয়নি। ফলে সঠিক তথ্যের অভাবে চাহিদা ও বাজার নিয়ন্ত্রণসহ অর্থনীতির ব্যবস্থাপনাগত সব ক্ষেত্রেই বড় ধরনের ত্রুটি রয়ে গেছে। এ অবস্থায় বর্তমান প্রয়োজন অনুযায়ী জিডিপির প্রকৃত আকার নিরূপণে সরকারি পদক্ষেপ গ্রহণ অপরিহার্য হয়ে পড়েছে। একই সঙ্গে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) তথ্য-উপাত্তের স্বচ্ছতা ও সঠিকতা নিশ্চিতেও আরো কঠোর অবস্থান নিতে হবে।

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “পাঁচ মাসে ১২টি দলের আত্মপ্রকাশ”

আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর দেশে ১২টি ‘দল’ আত্মপ্রকাশ করেছে। পরিবর্তনের প্রত্যাশা নিয়ে রাজনীতির মাঠে আসা এসব দলের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য যদিও এখন পর্যন্ত পরিষ্কার নয়। এমনকি মাঠেও চোখে পড়ার মতো কোনো কার্যক্রম নেই। লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য নিয়ে সুনির্দিষ্ট ব্যাখ্যাও নেই এসব দলের। এ কারণে এসব দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে সন্দিহান রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।

গণ-অভ্যুত্থানের পরে আত্মপ্রকাশ হওয়া এসব দল রাজনৈতিক অঙ্গনে তেমন প্রভাব ফেলতে পারবে না বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. ফরিদ উদ্দীন আহমেদ। এ বিষয়ে তিনি মানবজমিনকে বলেন, সংসদীয় নির্বাচনের ক্ষেত্রে সাংগঠনিক ভিত্তি তৈরি করা খুব একটা সহজ হবে না। তবে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেয়াদের মধ্য থেকে যদি কোনো রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে তখন তার প্রেক্ষাপট ভিন্ন হবে। ৫ই আগস্টে যে বিপ্লব হয়েছে, তরুণ প্রজন্মের বড় একটা অংশ এতে অংশগ্রহণ করেছে। ফলে হয়তো গণ-অভ্যুত্থানের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট যেসব নেতৃবৃন্দ আছেন, তাদের দল গঠনের বিষয়ে শোনা যাচ্ছে। তারা বলেছে- যদি তারা নির্বাচন করে তাহলে সরকার থেকে পদত্যাগ করে নিবে। এটার প্রেক্ষাপট একটু ভিন্ন। একটা সংগঠনের জনভিত্তি তৈরি করতে যে সময় লাগে সেটা তো তারা পায়নি। নাগরিক কমিটি যেটা করবে তাতে হয়তো সংসদ নির্বাচনে কিছু পকেটে তারা উঠে আসতে পারবে।

বিএনপি কিংবা আওয়ামী লীগের যেমন রাজনৈতিক ভিত্তি আছে, অন্যান্য দলের জন্য সেই জনভিত্তি অর্জন করা কঠিন হবে বলে জানান এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী।
এদিকে রাজনীতির সুষ্ঠু ব্যাখ্যা ছাড়া একটা দল কীভাবে দাঁড়াবে বলে প্রশ্ন তুলেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, অভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে রাজনীতিতে নতুন কোনো ন্যারেটিভ তৈরি হয়নি। তাদের কেবল ভারত আর আওয়ামী বিরোধী ছাড়া আর কিছু করতে পারেনি। এই দেশের অর্থনীতি, সমাজ, কালচার মিলিয়ে কি অর্জন করতে চাই সেটা বলতে হবে। সেরকম কিছু করেনি তারা। একটা ন্যারেটিভ ছাড়া তো পার্টি দাঁড়াতে পারবে না।

যেসব রাজনৈতিক দল আত্মপ্রকাশ করলো: দলের নাম পরিবর্তনের মাধ্যমে নতুন পরিচয়ে আত্মপ্রকাশ করেছে গণঅধিকার পরিষদের মশিউজ্জামান ও ফারুকের নেতৃত্বাধীন অংশ। পরিবর্তিত নাম হয়েছে ‘আমজনতার দল’। ভুল বোঝাবুঝি ও দ্বন্দ্ব এড়াতে এমন পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে দলটি। ২৮শে জানুয়ারি পুরানা পল্টনে নিজেদের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে দলের নতুন নাম ঘোষণা করেন এই অংশের আহ্বায়ক কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামান। ২০২১ সালের ২৬শে অক্টোবর ড. রেজা কিবরিয়া ও নুরুল হক নুরের নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের আত্মপ্রকাশ ঘটে। পরে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বে দলটি বিভক্ত হয়ে যায়।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024