সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. ১০৯টি বড় প্রতিষ্ঠানে ভ্যাট সংগ্রহ আগের বছরের তুলনায় ৪০২ কোটি টাকা কমেছে
২. বাংলাদেশ সিমেন্ট ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের এক কর্মকতার মতে , “গত দুই বছরে প্রবৃদ্ধি ধীর ছিল, কিন্তু গত ছয় মাসে তা অস্বাভাবিকভাবে কমে গেছে।”
৩. আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কারণে পশ্চিমা দেশগুলোর ভ্রমন সর্তকতা অব্যহত থাকায় ফাইভস্টার হোটেলগুলো লোকসানের মুখে
৪. ভ্যাট সংগ্রহের এই নিম্নগতি শিল্প ও অর্থনীতির দুর্বলতাকে ইঙ্গিত ।
দেশের বড় প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে সংগৃহীত মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ২৪-২৫ অর্থ বছরের প্রথমার্ধে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে কমেছে। এনবিআর কর্মকর্তাদের মতে এই প্রবণতা , অন্তত এক দশকের মধ্যে দেখা যায়নি। আর এই ভ্যাট সংগ্রহের হারের এই অস্বাভাবিক পতন প্রমান করছে বর্তমানে এ সব খাতে চাহিদা কম, বিক্রি বা মূল খাতগুলো লোকসানের না হয় খুবই সংকটের মধ্য দিয়ে চলছে যা মূলত অর্থনৈতিক মন্দার লক্ষণ।
তবে, ব্যাংক, বীমা, পানীয় এবং মোবাইল ফোন খাতে ভ্যাট সংগ্রহ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা শিল্প সংশ্লিষ্টরা গত বাজেটে উচ্চ কর হার প্রবর্তনের কারণে হয়েছে বলে মনে করছেন।
এনবিআর তথ্য অনুসারে: ২৫ অর্থ বছরের-এর প্রথমার্ধে বড় করদাতাদের ইউনিটের আওতাধীন ১০৯টি বড় প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সংগ্রহ আগের বছরের তুলনায় ৪০২ কোটি টাকা কমে ৩১,৫৭৮ কোটি টাকা হয়েছে। ফলস্বরূপ, এনবিআরের মোট ভ্যাট রাজস্ব ৫.৪% কমে ৫৫,১৭৭ কোটি টাকা হয়েছে।
শিল্প ও ব্যবসায় ভ্যাট সংগ্রহের প্রভাব
সিমেন্ট খাত:
তামাক খাত:
হোটেল খাত:
দ্রুত বিক্রিত ভোগ্যপণ্য খাত:
ব্যাংক, বীমা, পানীয় ও মোবাইল ফোন খাতের অবস্থা:
রবি আজিয়াটা লিমিটেডের রেগুলেটরি বডির এক কর্মকর্তার মতে, “মোবাইল কোম্পানির ভ্যাট বৃদ্ধির মূল কারণ যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম আমদানি বৃদ্ধি, কথা বলা বা ডাটা বিক্রয় বৃদ্ধির কারণে নয়।”
সামগ্রিকভাবে, ২৫ অর্থ বছরের প্রথমার্ধে বড় প্রতিষ্ঠানের ভ্যাট সংগ্রহের এই নিম্নগতি শিল্প ও অর্থনীতির দুর্বলতাকে ইঙ্গিত দেয়। তবে কিছু খাতে ইতিবাচক প্রবৃদ্ধি থাকলেও, শিল্প সংশ্লিষ্টরা ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক দৃষ্টি রাখার পরামর্শ দিচ্ছেন।
Leave a Reply