সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. কোম্পানি ভিত্তিক লোকসান হচ্ছে ১৭% থেকে ৫০%
২. স্টিল ও সিমেন্ট কোম্পানিগুলোর শেয়ার মূল্যর পতন অব্যাহত
৩. অনেকেই মনে করছেন অদূর ভবিষ্যতে ঘুরে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই
৪. কোম্পানির অনেক নীতি নির্ধারক বলেন, বেশ কিছু প্রকল্পের ওপর নিষেধজ্ঞা ও ইউনিয়ন অবধি নেতৃত্ব শূন্যতা অন্যতম কারণ
নির্মাণ খাতে অনিশ্চয়তার সাথে সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর সরকারি প্রকল্পগুলো ধীরগতিতে চলা ও চলমান জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতি এবং উচ্চ ঋণের খরচ নির্মান শিল্পের কাঁচামাল উত্পদানের খরচ বেড়ে গেছে অস্বাভাবিকভাবে।এর ফলে দৃশ্যত অনেক কোম্পানির আগের সময়ের থেকে বিক্রি টাকার অংকে বাড়লেও মূলত লোকসান গুনছে কোম্পানিগুলো।
শীর্ষ তালিকাভুক্ত স্টিল নির্মাতাদের মধ্যে, বিএসআরএম লিমিটেড ২০২৫ অর্থবছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে আয়ে ৮% বৃদ্ধি রেকর্ড করেছে। তবে, এর নীট মুনাফা বছরওয়ারি ভিত্তিতে ৩৩% হ্রাস পেয়েছে। একইভাবে, শীর্ষস্থানীয় স্টিল নির্মাতার সহযোগী প্রতিষ্ঠান বিএসআরএম স্টিলস আয়ে ১৮% বৃদ্ধি দেখা যাচ্ছে, কিন্তু এর মুনাফা ১৭% কমেছে।আরেক প্রধান প্রতিষ্ঠান, জিপিএইচ ইস্পাত, আয়ে সামান্য বৃদ্ধি রিপোর্ট করেছে, তবে মুনাফায় ২৩% পতন ঘটেছে। সিমেন্ট খাতেও উল্লেখযোগ্য চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয়েছে। ক্রাউন সিমেন্ট প্রায় ১৩% আয় বৃদ্ধি রিপোর্ট করেছে, কিন্তু এর নীট মুনাফা ৫০% হ্রাস পেয়েছে।এদিকে, প্রিমিয়ার সিমেন্টের আয় ও মুনাফা উভয় ক্ষেত্রেই ভয়াবহ পতন ঘটেছে।
শেয়ার বাজারে এই সব কোম্পানিগুলোর শেয়ার এর নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে শেয়ার মূল্য এক বছরের সর্বনিম্ন স্তরের কাছাকাছি পৌঁছেছে। শেয়ারবাজার বিশ্লেষকরা এই পতনকে নির্মাণ খাতের বর্তমান অনিশ্চয়তাকে দায়ী করেছেন, কারণ সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর সরকারি প্রকল্পগুলো ধীরগতিতে চলছে। ছাড়াও, চলমান জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতি এবং উচ্চ ঋণের খরচ শিল্পকে আরও চাপের মধ্যে ফেলেছে।ফলস্বরূপ, বিনিয়োগকারীরা বর্তমান চ্যালেঞ্জের মধ্যে এই শেয়ারগুলো ধরে রাখতে দ্বিধাগ্রস্ত।অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে বিক্রি করে দিচ্ছেন। অনেকেই মনে করছেন অদূর ভবিষ্যতে এই খাত ঘুর দাঁড়ানোর সম্ভাবনা নেই। তাই তারা যা দাম পাচ্ছে সে দামেই লোকসান দিয়ে শেয়ার ছেড়ে দিচ্ছে।
Leave a Reply