সারাক্ষণ ডেস্ক
‘সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ, গত ১৫ বছরে ২৬ বিলিয়ন আগের ৩৬ বছরে ১৬ বিলিয়ন ডলার’ বণিক বার্তার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, ২০০৮-০৯ থেকে ২০২২-২৩ অর্থবছর পর্যন্ত সরকার বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করেছে ২৬ দশমিক শূন্য ৯ বিলিয়ন (২ হাজার ৬০৯ কোটি) ডলার। স্বাধীনতার পর ১৯৭৩-৭৪ থেকে ২০০৭-০৮ অর্থবছর পর্যন্ত ৩৬ বছরে পরিশোধ করেছে প্রায় ১৬ দশমিক ১ বিলিয়ন (প্রায় ১ হাজার ৬১০ কোটি) ডলার। অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) এ পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত দেড় দশকে সরকারকে বৈদেশিক ঋণের অর্থ পরিশোধ করতে হয়েছে আগের ৩৬ বছরের তুলনায় ৬২ শতাংশ বেশি।
খবরে বলা হচ্ছে, ইআরডির সর্বশেষ প্রকাশিত ‘ফ্লো অব এক্সটারনাল রিসোর্সেস’ প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, গত অর্থবছরে (২০২২-২৩) রেকর্ড সর্বোচ্চ পরিমাণ ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করেছে সরকার। এ সময় শুধু মধ্যম ও দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বাবদ পরিশোধ করতে হয়েছে আড়াই বিলিয়ন ডলারের বেশি, যার পরিমাণ দাঁড়ায় ২৬৭ কোটি ১৭ লাখ ডলারে। আর আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) ও রাষ্ট্রায়ত্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স্বল্পমেয়াদি ঋণ যুক্ত করে তা দাঁড়িয়েছে সাড়ে ৩ বিলিয়ন ডলারের বেশি। সব মিলিয়ে গত অর্থবছরে সরকারকে বৈদেশিক ঋণ ও ঋণের সুদ পরিশোধ করতে হয়েছে ৩৬৬ কোটি ৪৪ লাখ ডলার। বিশেষজ্ঞদের আশঙ্কা, আগামী দুই-তিন বছরের মধ্যে সরকারের বৈদেশিক ঋণ পরিশোধ সাড়ে ৪ থেকে সাড়ে ৫ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যেতে পারে। সেক্ষেত্রে রাজস্ব ও রেমিট্যান্সসহ বৈদেশিক মুদ্রা আহরণ না বাড়াতে পারলে এসব ঋণ সামষ্টিক অর্থনীতিতে বড় ধরনের চাপের কারণ হয়ে উঠতে পারে।
‘ব্রহ্মপুত্রে একদিকে খনন, অন্যদিকে ভরাট ‘ প্রথম আলোর প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, জামালপুর শহরের পুরাতন ফেরিঘাট এলাকায় মধ্যবয়সী এক ব্যক্তি গত শনিবার বেলা দুইটার দিকে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ পার হচ্ছিলেন। নৌকায় নয়, হেঁটে। নদের মাঝখানে হাঁটুপানি। তাই পার হতে তাঁর কোনো অসুবিধাই হচ্ছিল না। অথচ ব্রহ্মপুত্র নদের এই জায়গা গত বছরই খনন করা হয়। সরকারি প্রকল্পে ব্যয় হয় বিপুল অর্থ। কিন্তু খনন করার পর নদটি আবার প্রায় আগের মতো ভরাট হয়ে গেছে। ফেরিঘাটে পাওয়া গেল স্থানীয় বাসিন্দা বিল্লাল হোসেনকে। তিনি প্রথম আলোকে বলেন, খননের নামে বালুর ব্যবসা হয়েছে। পরিকল্পিত খনন হয়নি। নাব্যতা ফিরিয়ে আনতে কাজ হয়নি। তাঁর প্রশ্ন, যদি তা–ই হতো, এক বছরের ব্যবধানে নদের এই অবস্থা কেন?
খবরে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা ব্যয়ে ব্রহ্মপুত্র নদের খননকাজ করছে। গাইবান্ধা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ—এই পাঁচ জেলায় নদের ২২৭ কিলোমিটার অংশ খনন করার কথা। কোনো কোনো এলাকায় খনন শেষ, কোনো কোনো এলাকায় কাজ চলছে, কোনো কোনো এলাকায় কাজ শুরু হয়নি। তবে গত কয়েক বছরে যেসব এলাকায় খনন হয়েছে, সেসব এলাকার মানুষ হতাশ। তাঁরা বলছেন, খনন করে কোনো লাভ হয়নি। অনেক ক্ষেত্রে খননের পর বালু ফেলা হয়েছে নদের চরে অথবা তীরে। বর্ষায় সেই বালু আবার নদীতে মিশে নদটি ভরাট হয়েছে। কোনো কোনো এলাকায় বিপুল পরিমাণ বালু নদের তীরে রাখা আছে। আগামী বর্ষায় পানি এলে তার একাংশ নদে গিয়ে ভরাট হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা আছে। সব মিলিয়ে বিপুল অর্থ ব্যয়ের সুফল পাওয়া যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। এ কারণে তৈরি হয়েছে ক্ষোভ। গত বছরের মে মাসে ময়মনসিংহে তরুণেরা খনন হওয়া ব্রহ্মপুত্র নদের হাঁটুপানিতে দাঁড়িয়ে ‘মৃতের চিৎকার’ শিরোনামে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করেন। প্রতিবাদ জানানোই ছিল এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য।
খবরে বলা হচ্ছে, পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের বাস্তবায়ন, পরিবীক্ষণ ও মূল্যায়ন বিভাগের (আইএমইডি) একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদের দৈর্ঘ্য প্রায় ২৮৩ কিলোমিটার। প্রস্থ ২০০ মিটার। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদটি গাইবান্ধা, জামালপুর, ময়মনসিংহ, শেরপুর ও কিশোরগঞ্জ জেলা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এককালের প্রমত্ত ব্রহ্মপুত্র এখন স্রোত ও নাব্যতাহীন। এ কারণে ২০১৮ সালে ধরলা, তুলাই ও পুনর্ভবা নদীর সঙ্গে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদটি খননের জন্য ৪ হাজার ৩৭১ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি প্রকল্প নেয় বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। এর বড় অংশ ব্যয় (২ হাজার ৭৬৩ কোটি টাকা) হবে পুরাতন ব্রহ্মপুত্র খননে। বিআইডব্লিউটিএর প্রকল্পে বলা হয়েছে, পুরাতন ব্রহ্মপুত্র নদ খননের উদ্দেশ্য হলো নাব্যতা ফিরিয়ে এনে সারা বছর যাত্রীবাহী ও পণ্যবাহী নৌযান চলাচল নিশ্চিত করা, যেন শুকনো মৌসুমেও ৯০ মিটার প্রস্থে ৮ থেকে ১০ ফুট গভীর পানি থাকে। ফলে এটি দ্বিতীয় শ্রেণির নৌপথে উন্নীত হবে। কৃষিকাজে পানি সরবরাহ করাও এই প্রকল্পের উদ্দেশ্য। উল্লেখ্য, ১২ ফুট গভীরতার নৌপথকে প্রথম শ্রেণি ও ৮ থেকে ১০ ফুট গভীরতার নৌপথকে দ্বিতীয় শ্রেণির নৌপথ বলে। পুরাতন ব্রহ্মপুত্র খনন শুরু হয় ২০১৯ সালের জুন থেকে। প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা আগামী জুনে। বিআইডব্লিউটিএ সূত্র জানিয়েছে, কাজ তেমন একটা এগোয়নি (গত জুন পর্যন্ত ৩৫ শতাংশ)। এ কারণে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানোর সিদ্ধান্ত হয়েছে।
সমকাল পত্রিকার শিরোনাম ‘ মহাসড়কে টাকায় ঘোরে অবৈধ যানের চাকা’। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলাচলের অনুমোদন না থাকলেও মহাসড়কে চাঁদায় চলছে অটোরিকশা, ইজিবাইক, ব্যাটারিচালিত রিকশা, নছিমন, করিমনের মতো যানবাহন। ধীরগতির এসব গাড়ি দুর্ঘটনার অন্যতম কারণ হলেও বিকল্প না থাকায় যাত্রীরা এসব যানবাহনের ওপর নির্ভরশীল। এ সুযোগ কাজে লাগিয়ে পুলিশ, নেতারা টাকা নিয়ে মহাসড়কে অবৈধ যানবাহন চলতে দেন। লাখ লাখ চালক-শ্রমিকের জীবিকার প্রশ্নে সরকারও এসব যান বন্ধে কঠোর হয় না। সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সারাদেশে নিবন্ধিত অটোরিকশার সংখ্যা ৩ লাখ ২২ হাজার ৫৮৯। অনিবন্ধিত অটোরিকশার সংখ্যা কারও জানা নেই। সংসদে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর দেওয়া হিসাবে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকের সংখ্যা ৪০ লাখ। হাইকোর্টের রায়ে নিষিদ্ধ শ্যালো মেশিনে স্থানীয়ভাবে তৈরি নছিমন, করিমন, ভটভটি, পাখি, আলম সাধুর সংখ্যা কত, তা-ও অজানা। সিএনজি ও ডিজেলচালিত অটোরিকশা নিবন্ধন পেলেও ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইকসহ অন্য অবৈধ যানবাহনের জন্য এ সুযোগ নেই।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৫ সালের ১ আগস্ট ২৭ জাতীয় মহাসড়কে অটোরিকশাসহ সব ধরনের ধীরগতির যান চলাচল নিষিদ্ধ করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ। জাতীয় ও আঞ্চলিক মহাসড়ক বাদে অন্যত্র চলাচলের অনুমতি দিতে ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইকের জন্য নীতিমালার খসড়া করা হয়েছে। নিবন্ধন ও চলাচলের অনুমোদন না থাকার সুযোগে এসব গাড়ি থেকে চলছে দেদার চাঁদাবাজি। আইন অনুযায়ী, অযান্ত্রিক রিকশা-ভ্যানের নিবন্ধন দেয় সিটি করপোরেশন, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদ। তবে স্থানীয় সরকারের এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান, ইজিবাইকেরও নিবন্ধন দিচ্ছে শহরের অভ্যন্তরীণ এবং গ্রামীণ সড়কে চলতে। তবে এগুলো মহাসড়কে চলাচল করতে হলে দিতে হয় চাঁদা। টাকা পাওয়ায় আটকায় না আইন প্রয়োগকারী সংস্থা। ফলে মহাসড়কে ট্রাফিক নিয়মের ধার ধারে না এসব যান। নেই চালকের লাইসেন্স। চলে উল্টোপথে। ঘটছে দুর্ঘটনা। প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও প্রাণহানি হচ্ছে। ধীরগতির যানবাহন চলাচলে যেসব এলাকায় সরকার হাজার কোটি টাকা খরচ করে আলাদা লেন করেছে, সেগুলো দখল হয়ে গেছে। ইজিবাইক, অটোরিকশা বাস-ট্রাকের সঙ্গে চলছে মহাসড়কে; মরছে মানুষ।
যুগান্তর পত্রিকার প্রধান শিরোনাম ‘ অভিযোগের কাঠগড়ায় সওজের ৬১ ঠিকাদার, নজিরবিহীন জালিয়াতি ‘। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তরের (সওজ) দরপত্র প্রতিযোগিতায় রীতিমতো জালিয়াতির হাট বসেছে। দরপত্রে অংশ নিয়ে অভিজ্ঞতার জাল সনদ ইজিপিতে আপলোড করে কাজ বাগিয়ে নেওয়ার নজিরবিহীন প্রমাণ মিলেছে। গুরুতর এমন জালিয়াতির সঙ্গে বেশিরভাগ প্রভাবশালী ঠিকাদার জড়িত। প্রায় ৬১ প্রভাবশালী ঠিকাদার এই কাজে ধরা পড়েছেন। দুঃসাহসিক এই জালিয়াতির ঘটনাকে সওজ সরাসরি প্রতারণার সঙ্গে তুলনা করেছে। যাদের বিরুদ্ধে গুরুতর এমন অভিযোগ তাদের হাতেই আছে হাজার হাজার কোটি টাকার কাজ। ব্যয়বহুল সব কাজের ঠিকাদারি নিয়ন্ত্রণও করে এ চক্র। সওজের অভ্যন্তরীণ তদন্তে এমন ভয়াবহ চিত্র উঠে এসেছে। অথচ তাদের অধিকাংশকেই কালো তালিকাভুক্ত করা হয়নি।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, তথ্যানুসন্ধানে জানা গেছে, অভিযুক্ত ৬১ ঠিকাদারের হাতেই রয়েছে ৩ হাজার ৭শ কাজ। যা সওজের টোটাল কাজের অর্ধেক। এই কাজ করতে ব্যয় হচ্ছে ১৭ হাজার কোটি টাকা। সওজের কাজ বাগিয়ে নিতে এ ধরনের জালিয়াতির বিষয়ে মন্তব্য জানতে চাইলে সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী রোববার যুগান্তরকে বলেন, এ জালিয়াতির সঙ্গে যেসব ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে প্রমাণিত অভিযোগ রয়েছে তাদের ব্যাপারে আইনানুগ কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
অনেক আইনকানুন ও নিয়ম মেনে কাজ করতে হয়। যেহেতু অসুস্থ এই প্রতিযোগিতা ঠেকাতে কাজ শুরু হয়েছে তাই সবাই আসবে। এর আওতায় যারাই আসবে সবাইকে চিহ্নিত করা হবে। চুলচেরা বিশ্লেষণ করে এই কাজের সঙ্গে সংশ্লিষ্টদের চিহ্নিত করতে নির্দেশ দিয়েছি। আশা করছি, সহসা সবকিছু একটা সিস্টেমের মধ্যে আসবে।
মানবজমিন পত্রিকার শিরোনাম ‘ ধারণক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ, বন্দিতে গিজগিজ’। এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সারা দেশের কারাগারগুলো বন্দিতে ঠাসা। কারাগারের প্রতিটা কক্ষ বন্দিতে গিজগিজ করছে। বেশির ভাগ কারাগারেই ধারণ ক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দি। খাবার, থাকার জায়গা, শৌচাগার, গোসল, চিকিৎসা সবকিছুতেই দুর্ভোগ পোহাচ্ছেন বন্দিরা। দ্বিগুণ বন্দি হওয়ার কারণে ন্যায্য সুযোগ-সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন তারা। রাজনৈতিক অস্থির পরিস্থিতি বিরাজ করলে আরও বেহাল দশার সৃষ্টি হয়। দীর্ঘদিন ধরে কারাগারগুলোতে এই অবস্থা বিরাজ করলেও এ নিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। কারা সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বন্দি বেশি হলেও বড় ধরনের কোনো সমস্যা হচ্ছে না। ৯০ হাজারের মতো বন্দি রাখার মতো ব্যবস্থা আছে। কিন্তু মানবাধিকার সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, কারাগারেও মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। কারণ কারাগার রাষ্ট্রীয় হেফাজত। সেখানে কেউ থাকলে তার দায়িত্বও রাষ্ট্রকে নিতে হবে। এ ছাড়া বিনা কারণে যাতে কাউকে কারাগারে যেতে না হয় সেজন্য থানা পুলিশকে সতর্ক থাকতে হবে।
এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কারাসূত্রগুলো বলছে, ১৩টি কেন্দ্রীয় ও ৫৫টি জেলা কারাগার নিয়ে দেশে ৬৮টি কারাগার আছে। এসব কারাগারে বন্দি ধারণক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৮৮। কিন্তু এখন বন্দি আছে প্রায় ৭৪ হাজার ১০৩। ঢাকা বিভাগে বন্দি ধারণক্ষমতা ১৩ হাজার ৪২১। চট্টগ্রাম বিভাগে ৬ হাজার ৯৫০, রাজশাহী বিভাগে ৪ হাজার ১৭৯, খুলনা বিভাগে ৫ হাজার ৬৯, বরিশাল বিভাগে ১ হাজার ৯১৩, সিলেট বিভাগে ৪ হাজার ৪৬১, রংপুরে ৫ হাজার ১৭৯ ও ময়মনসিংহে ১ হাজার ৮০৩ জন। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার কেরানীগঞ্জে বন্দি ধারণক্ষমতা ৪ হাজার ৫৯০ জন। গতকাল পর্যন্ত সেখানে বন্দি ছিল ৮ হাজার ৫৮২ জন। সিনিয়র জেল সুপার সুভাষ কুমার ঘোষ বলেন, বন্দি বেশি হলেও সমস্যা হচ্ছে না। এখনো অনেক বন্দি রাখার ব্যবস্থা আছে। কাশিমপুর হাই সিকিউরিটি কারাগারে ধারণ ক্ষমতা ১ হাজার জন। সেখানেও প্রায় দ্বিগুণ বন্দি রয়েছে। কাশিমপুর মহিলা কারাগারে ধারণক্ষমতা ২০০ হলেও সেখানেও প্রায় তিনগুণ বন্দি।
‘ Migrant Workers: Record 4,552 returned home dead last year ‘ ডেইলি স্টার পত্রিকার প্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার একজন প্রবাসী শ্রমিক হাবিব খালাসী তার দরিদ্র পরিবারের ভাগ্যের চাকা ঘুরাতে ২০১৯ সালে সৌদি আরব গিয়েছিলেন। কিন্তু গত বছর কফিনে বাড়ি ফেরেন তিনি। একজনের ৩৩ বছর বয়সী পিতা রিয়াদে একজন ধাতব স্ক্র্যাপ শ্রমিক ছিলেন যতক্ষণ না ৩ মে কিংডমের রাজধানীর বাইরে একটি মরুভূমিতে একটি পুরানো উটের শেডে কাজ করার সময় একটি বড় ধাতুর টুকরো তার মাথায় পড়ে গিয়ে তার জীবন কেটে যায়। . “সে যখন সৌদি আরবে চলে গেল, তখন আমাদের পরিবার কষ্টের সম্মুখীন হয়েছিল। তিনি যখন বাড়িতে টাকা পাঠাতে শুরু করেছিলেন, আমরা ভেবেছিলাম আমাদের কষ্ট শেষ হয়েছে,” তার ছোট ভাই মাহবুব খালাসি, একজন স্নাতক ছাত্র, ফোনে ডেইলি স্টারকে বলেছেন। হাবিব এখন মারা যাওয়ায়, তার বৃদ্ধ বাবা-মা এবং নাবালক ছেলে অনিশ্চিত ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে।
খবরে বলা হচ্ছে, ওয়েজ আর্নার্স ওয়েলফেয়ার বোর্ড (ডব্লিউইডব্লিউবি) পরিসংখ্যান দেখায়, হাবিব ছিলেন রেকর্ড ৪,৫৫২ জন দুর্ভাগা অভিবাসী শ্রমিকদের একজন যারা গত বছর মৃতদেহ হিসেবে বাড়ি ফিরেছিলেন। এক বছর আগে, ৩,৯০৪ অভিবাসী লাশ হয়ে ফিরেছিল। প্রতি বছর, বিপুল সংখ্যক অভিবাসী শ্রমিক স্বপ্ন নিয়ে বিদেশে যায় কিন্তু তাদের মধ্যে অনেকেই উপসাগরীয় অঞ্চলে, বাংলাদেশী অভিবাসী শ্রমিকদের প্রধান গন্তব্য এবং বিশ্বের বিভিন্ন অংশে ভয়াবহ পরিস্থিতির মুখোমুখি হওয়ার পর কফিনে ঘরে ফিরে যায়। WEWB ১৯৯৩ সালের প্রথম দিকের তথ্য প্রকাশ করেছে। তারপর থেকে, বাংলাদেশ ৫১,৯৫৬ অভিবাসী শ্রমিকদের মৃতদেহ পেয়েছে এবং গত ১০ বছরে তাদের মধ্যে ৩৪,৩২৩ টি এসেছে।
‘Farmers Protest | Talks positive, focused on crop diversification, aid via NAFED: Govt’ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস পত্রিকারপ্রধান শিরোনাম এটি। খবরে বলা হচ্ছে, কৃষকদের প্রতিবাদ: বহুমুখীকরণ, যাকে প্রায়শই পাঞ্জাবের কৃষি সঙ্কটের প্যানেসিয়া বলা হয়, রবিবার কৃষক নেতা, তিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান-এর মধ্যে চতুর্থ দফার আলোচনার সময় কেন্দ্র-মঞ্চে নিয়েছিল।কেন্দ্রীয় মন্ত্রীরা ডাল, তুলা এবং ভুট্টায় বৈচিত্র্যের জন্য একটি প্রস্তাব পেশ করেন, কৃষকদের কোন পরিমাণ সীমাবদ্ধতা ছাড়াই ন্যূনতমসমর্থন মূল্যের আশ্বাস দেন।
খবরে বলা হচ্ছে, রাত ৮.৪০ টায় শুরু হওয়া চার ঘন্টারও বেশি দীর্ঘ আলোচনা থেকে বেরিয়ে এসে কেন্দ্রীয় বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষগোয়েল আলোচনাকে “ইতিবাচক” বলেছেন। তিনি যোগ করেছেন যে কৃষকরা সোমবার তার প্রস্তাবে সরকারের কাছে ফিরে আসবে। তিনিবলেন, কৃষক নেতারা বৈঠকে বিভিন্ন উদ্বেগ উত্থাপন করেছেন, যা কিছু বাইরের চিন্তাভাবনাকে প্ররোচিত করেছে। “তারা পানির উত্স শুকিয়েযাওয়ার কারণে পাঞ্জাবের ক্রমবর্ধমান মরুকরণের দিকে ইঙ্গিত করেছে, যার ফলে বৈচিত্র্যের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আলোচনাকরেছি কিভাবে ডাল চাষ আমদানি কমাতে পারে, পাঞ্জাবের জল সংরক্ষণ করতে পারে এবং কৃষকদের আয় বাড়াতে পারে,” গোয়ালবলেছেন। তিনি বলেন, পাঞ্জাবের কৃষকরা ভুট্টা চাষে আগ্রহ প্রকাশ করেছে কিন্তু দাম MSP-এর নিচে নেমে গেলে সম্ভাব্য ক্ষতির বিষয়ে উদ্বেগপ্রকাশ করেছে। “আমরা NAFED-এর মতো সমবায় সমিতিগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করে একটি সমাধানের প্রস্তাব দিয়েছিলাম, যাতে কৃষকদেরসাথে পাঁচ বছরের চুক্তি করা হয়, পরিমাণের সীমাবদ্ধতা ছাড়াই MSP-তে কেনাকাটা নিশ্চিত করা যায়। এই পদ্ধতিটি পাঞ্জাবের জলসম্পদও সংরক্ষণ করবে এবং এর মাটিকে রক্ষা করবে।”
Leave a Reply