আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স ( এ আই) পৃথিবীকে প্রতি মুহূর্তে বদলে দিচ্ছে। পৃথিবীর এ পরিবর্তন অপরিহার্য। এর ফলে শুধুমাত্র পৃথিবীর শিক্ষা, বানিজ্য, প্রতিরক্ষার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর উন্নতি ঘটছে তা নয়, মানুষের মেধারও উন্নতি ঘটছে। কারণ, একটি মানুষকে যখন প্রায় তার সমকক্ষ আরেকটি প্রযুক্তির সঙ্গে কাজ করতে হয় তখন স্বাভাবিকই তার মেধার উন্নতি ঘটে। আর এ শুধু এ আই এর ক্ষেত্রে নয় -পৃথিবীর সব প্রযুক্তিই মানুষের মেধার উন্নয়ন ঘটিয়েছে।
পৃথিবীর এই প্রযুক্তি উন্নয়নের পাশাপাশি একটি অন্ধকারের জগত সব সময়ই ছিলো। তবে গত কয়েক দশক ধরে পৃথিবীতে যে টেরোরিস্ট গ্রুপ জম্ম নিয়েছে তা সত্যি অর্থে ভয়াবহ। এরা শুধু মাত্র রাষ্টের মধ্যে বসে নয়, কখনও কখনও কোন কোন রাষ্ট্রের কাঠামোকে দুর্বল করে তারা রাষ্ট্র দখল করছে- আর সংঘাতময় রাষ্ট্রগুলোতে তারা তাদের ভিন্ন ধরনের এক অবাধ ক্ষেত্র তৈরি করছে।
এই টেরোরিস্টদের সত্যি অর্থে কোন বাউন্ডারি নেই। এরা গোটা পৃথিবীর জন্য হুমকি। কারণ, এরা মূলত কোন ব্যক্তি বা গোষ্টি নয়- এরা এক ধরনের অন্ধকারের ব্যবসার ও অর্থ রোজগারের স্বার্থে ব্যবহার হয়। বড় বড় রাষ্ট্রগুলোও সম্পদ লুঠ এর আধুনিক সুবিধায় এদের কাজে লাগায়। তারা যে কোন রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে অস্থিতিশীল করে দিলে- সেখান থেকে সম্পদ লুঠ করা বা অনান্য সুযোগ নেয়া সহজ হয়। সহজ হয় ভূ- রাজনৈতকি গেমের কোন না কোন প্রতিযোগীর।
পৃথিবীতে অনেক টেরোরিস্ট নিয়ন্ত্রিত রাষ্টের হাতে নিউক্লিয়ার পাওয়ার চলে এসেছে। কোন না কোন বড় রাষ্ট্র বা যে কোন ভূ- রাজনৈতিক স্বার্থ বা অর্থনীতির স্বার্থে এমনকি অবৈধভাবে সম্পদ আহরনের স্বার্থে এ কাজ ঘটেছে।
কিন্তু এ মুহূর্তে পৃথিবীকে গুরুত্বের সঙ্গে নিতে হবে, এই আই নিউক্লিয়ার পাওয়ারের থেকেও শক্তিশালী হবে ভবিষ্যতে। তাই এ মুহূর্তে পৃথিবীকে সম্মিলিতভাবে চেষ্টা করা প্রয়োজন, এ আই এর গুরুত্বপূর্ণ বিষয় যেন টেরোরিস্টদের হাতে না যায়। আর অন্তত এই একটি বিষয়ে আমেরিকা ও চায়নার নেতৃত্বকে যে কোন মূল্যে এক হওয়া প্রয়োজন। আমেরিকার বর্তমান নেতৃত্ব টেরোরিস্ট বিষয়ে অতীতের যে কোন সময়ের থেকে সচেতন হবে বলে ইতোমধ্যে ঈংগিত পাওয়া গেছে। চায়না শুধু অর্থনীতির বড় শক্তি নয় বর্তমান সময় এ আই এরও তারা অনেক বড় শক্তি -তাই তাদেরকেও বিষয়টিতে পৃথিবীকে ঐকমত্যে আনার নেতৃত্ব’র অন্যতম হতে হবে। অন্যথায় পৃথিবীর যে কোন সাজানো গোছানো অঙ্গকে যে কোন মুহূর্তে ধ্বংস করে দিতে পারে টেরোরিস্টরা। যার উদাহরণ ইতোমধ্যে বহু সৃষ্টি হয়েছে, ভিন্ন প্রযুক্তি টেরোরিস্টদের হাতে পড়ার ফলে।
Leave a Reply