সারাক্ষণ রিপোর্ট
সারাংশ
১. চায়নার নিয়ন্ত্রন দ্রুত মুক্ত না করলে আমেরিকা তার অধিকার প্রয়োগ করবে পানামা খালের ওপর
২. খালের দুই প্রান্তের বন্দরই এখন চায়নার নিয়ন্ত্রনে
৩. আমেরিকার অর্থায়নে এ খাল খনন করা হয়
৪. ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি পানামা খালে অধিকার প্রতিষ্ঠা
পানাম খাল অঞ্চলে চায়নার যে নিয়ন্ত্রন রয়েছে অবলিম্বে পানামা তার পরিবর্তন না ঘটালে আমেরিকা তার অধিকার রক্ষার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবে। পানামার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন পররাষ্ট্র সচিবের সাক্ষাতের পর মার্কিন স্টেট ডিপার্টমেন্টের মূখপত্র তার নিয়মিত প্রেস ব্রিফিং এ কথা জানায়।
মার্কিন পররাষ্ট্র সচিব মার্কো রুবিও ২ ফেব্রুয়ারি পানামা সিটিতে পানামার প্রেসিডেন্ট হোসে রাউল মুলিনো এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রী হাভিয়ের মার্টিনেজ-আচার সাথে সাক্ষাৎ করেছেন, যেখানে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক গুরুত্বপূর্ণ চ্যালেঞ্জগুলোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।সেক্রেটারি রুবিও প্রেসিডেন্ট মুলিনো এবং মন্ত্রী মার্টিনেজ-আচাকে অবহিত করেছেন যে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প প্রাথমিকভাবে নির্ধারণ করেছেন যে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির বর্তমানে পানামা খালের অঞ্চলে প্রভাব ও নিয়ন্ত্রণ একটি হুমকি এবং এটি পানামা খালের স্থায়ী নিরপেক্ষতা ও পরিচালনা সংক্রান্ত চুক্তির লঙ্ঘন। সেক্রেটারি রুবিও স্পষ্ট করেছেন যে বর্তমান পরিস্থিতি গ্রহণযোগ্য নয় এবং যদি অবিলম্বে পরিবর্তন না আসে, তাহলে চুক্তির অধীনে যুক্তরাষ্ট্রের অধিকার রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে হবে।
উল্লেখ্য, পানামা খাল মার্কিন অর্থায়নে খনন করা হয়েছিলো। কিন্তু এর দুই প্রান্তের দুই বন্দরের নিয়ন্ত্রন ইতোমধ্যে চায়নার হাতে। পানামা সরকারও চায়নার কাছে বড় ধরনের ঋণগ্রস্থ। অন্যদিকে পররাষ্ট্র সচিব হয়েই মার্কো রুবিও তার প্রথম প্রেস সাক্ষাতে বলেছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কোন মতেই তাদের অর্থায়নে তৈরি এ খাল এবং সামরিক ও বানিজ্যিকভাবে যা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ তার নিয়ন্ত্রন কোন মতেই অন্য’র হাতে দিতে পারে না। সেখানে তিনি একথাও বলেন, ট্রাম্প প্রশাসনের সঙ্গে ও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সঙ্গে মার্কিন অতীত অনেক প্রশাসন ও প্রেসিডেন্টের পার্থক্য হলো, ট্রাম্প দ্রুত সিদ্ধান্ত নেন এবং যা বলেন তা দ্রুতই বাস্তবায়ন করেন। পানামা খালের অধিকার পুন প্রতিষ্ঠা ও তার পূর্ণ নিয়ন্ত্রন নেয়া ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি।
এবং ওই প্রেস সাক্ষাতে তিনি এও বলেছিলেন, মার্কিন নীতি হচ্ছে, প্রথমে কূটনীতির মাধ্যমে তার নিজস্ব অধিকার রক্ষা করা। তা না হলে তখন আরো কঠোর পথে যেতে হবে। তবে আমেরিকার স্বার্থে পানামা খালের অধিকার পুরুদ্ধার করা হবে এবং চায়ানার স্ট্রাটেজিক অবস্থান নেয়াও বন্ধ করা হবে।
সেক্রেটারি রুবিও আরও জোর দিয়েছেন যে, পশ্চিম গোলার্ধের অবৈধ অভিবাসন সংকট নিরসনের জন্য যৌথ প্রচেষ্টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি প্রেসিডেন্ট মুলিনোকে দরিয়েন গ্যাপ দিয়ে অবৈধ অভিবাসন হ্রাসে সাহায্যকারী একটি যৌথ প্রত্যাবাসন কর্মসূচির জন্য তার সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানান। সচিব মার্কিন কোম্পানিগুলোর জন্য ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ নিশ্চিত করার মাধ্যমে বিনিয়োগবান্ধব পরিবেশ তৈরির প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এছাড়াও, তিনি একটি গণতান্ত্রিক ও মুক্ত ভেনেজুয়েলার জন্য প্রেসিডেন্ট মুলিনোর আঞ্চলিক নেতৃত্বের প্রশংসা করেন।
সেক্রেটারি রুবিও ফলপ্রসূ আলোচনা পরিচালনার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং উভয় দেশকে আরও নিরাপদ, শক্তিশালী ও সমৃদ্ধ করার জন্য যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেন। তিনি উল্লেখ করেন যে এই বৈঠক যুক্তরাষ্ট্র ও পানামার মধ্যে কৌশলগত সম্পর্ক পুনরুজ্জীবিত করার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ, যা প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
Leave a Reply