শনিবার, ০৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:২৪ পূর্বাহ্ন

ঢাকার রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে রাশ টানার সুপারিশ

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৮.৩৮ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ঢাকার রাস্তায় ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে রাশ টানার সুপারিশ”

রাজধানীর ওপর চাপ কমাতে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহারে রাশ টানার পরামর্শ দিয়েছে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ-সংক্রান্ত সরকারি টাস্কফোর্স। এ জন্য সড়ক ব্যবহারে মাশুল ধার্যের কথা বলা হয়েছে। পাশাপাশি সহজ শর্তে গাড়ি কেনার ঋণ দেওয়ায় নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।

বৈষম্যহীন টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্যে অর্থনৈতিক কৌশল পুনর্নির্ধারণ ও প্রয়োজনীয় সম্পদ আহরণে গত বছরে ১০ সেপ্টেম্বর টাস্কফোর্স গঠন করে অন্তর্বর্তী সরকার। গত ৩০ জানুয়ারি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে টাস্কফোর্সের প্রতিবেদন হস্তান্তর করেন পরিকল্পনা উপদেষ্টা অধ্যাপক ওয়াহিদউদ্দিন মাহমুদ।

বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণাপ্রতিষ্ঠানের (বিআইডিএস) সাবেক মহাপরিচালক কে এ এস মুর্শিদকে টাস্কফোর্স কমিটির প্রধান করে ১২ সদস্যের এই টাস্কফোর্স গঠন করা হয়েছিল। টাস্কফোর্সের প্রতিবেদনের ‘অবকাঠামো ও সংযোগ: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির পথ’ শীর্ষক অংশটি করেন পরিবহনবিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক সামছুল হক।

প্রতিবেদনের এই অংশে ব্যক্তিগত গাড়ি ব্যবহার নিরুৎসাহিত করার সুপারিশ করা হয়। এ জন্য রাজধানীতে কত গাড়ি চলতে পারবে, সেই সংখ্যা নির্ধারণ করে দেওয়ার কথা বলা হয়। গ্যাস ও বিদ্যুৎ ব্যবহারের জন্য যেমন টাকা ব্যয় করতে হয়, তেমনি সড়ক ব্যবহারে গাড়ির জন্য মাশুল ধার্য করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে গাড়ি কেনার ঋণ কমিয়ে আনা এবং গাড়ির অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য জরিমানা বাড়ানোরও প্রস্তাব করা হয়।

প্রকল্পের অধীন যাতে বিলাসবহুল গাড়ি কেনা না হয়, সে পরামর্শ দেওয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। রাইড শেয়ারিং সেবার ওপর নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠার জোর দেওয়া হয়েছে। ব্যাটারিচালিত রিকশা, লেগুনা, দুরন্তর মতো যানের চলাচল বন্ধের পরামর্শ দিয়ে বড় ও দ্বিতল বাস বাড়ানোর কথা বলেছে টাস্কফোর্স কমিটি।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “অবৈধ ৫০ হাজার বিদেশির মধ্যে ১৫ হাজার দেশ ছেড়েছেন”

বাংলাদেশে ৫০ হাজার বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে অবস্থান করছিল। অবৈধ বিদেশি নাগরিকদের গত ডিসেম্বর মাসে আবেদন করে দেশ ছাড়ার নির্দেশ দেয়। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী জানুয়ারি মাস পর্যন্ত ১৫ হাজার ৬১৮ জন নাগরিক বাংলাদেশ ছেড়ে যান। এখনো ৩৩ হাজার ৬৪৮ জন বিদেশি নাগরিক অবৈধভাবে এ দেশে অবস্থান করছে। অবৈধ এই নাগরিকদের বিষয়ে করণীয় নির্ধারণে ১১ সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সুরক্ষা সেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিবকে (নিরাপত্তা ও বহিরাগমন) টাস্কফোর্সের আহ্বায়ক ও বহিরাগমন-২ অধিশাখার যুগ্ম সচিবকে কমিটির সদস্যসচিবের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইমিগ্রেশন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের (ডিআইপি) ভিসা শাখা সূত্র জানায়, গত ৮ ডিসেম্বর বৈধ ভিসা ছাড়া বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশি নাগরিকদের বিদ্যমান নিয়মানুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। সেইসঙ্গে সতর্ক করা হয়, ভিসার মেয়াদ না বাড়ালে বা নবায়ন না করলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত পাসপোর্ট অধিদপ্তরে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে বা নবায়ন করতে ১৫ হাজার আবেদন জমা পড়ে। এর মধ্যে বেশির ভাগই ভারতীয়। এছাড়া চীন ও দক্ষিণ কোরিয়ার নাগরিকও রয়েছেন।

পুলিশের বিশেষ শাখা (এসবি) সূত্র জানায়, বাংলাদেশে অবস্থানরত ভারতীয়দের মধ্যে ২৭ হাজার নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে। মেয়াদোত্তীর্ণ ভিসা নিয়ে বাংলাদেশে বসবাসকারী বিদেশিদের মধ্যে চীনের নাগরিকরা দ্বিতীয় স্থানে ছিল। প্রায় ১০ হাজার চীনা নাগরিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হতে চায় জিপিএইচ ইস্পাত”

ব্যবসা সম্প্রসারণের জন্য প্রয়োজনীয় মূলধন সংগ্রহে হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত হওয়ার পরিকল্পনা করছে দেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় স্টিল উৎপাদক জিপিএইচ ইস্পাত লিমিটেড। সম্প্রতি কোম্পানিটির পরিচালনা পর্ষদের সভায় হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির বিষয়টি পর্যালোচনা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রাইসওয়াটারহাউজকুপারস প্রাইভেট লিমিটেড, হংকং প্রাইসওয়াটারহাউজ অ্যান্ড কোং চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্টস এলএলপি, ইন্ডিয়াকে পরামর্শক সেবা প্রদানের জন্য নিয়োগ দিয়েছে। কোম্পানি সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্যানুসারে, হংকং স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্তির বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে ৪-৬ ফেব্রুয়ারি জিপিএইচ ইস্পাতের একটি প্রতিনিধি দল হংকং সফর করবে। প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম। এ দলে অন্যদের মধ্যে গ্রুপটির স্ট্র্যাটেজি ও ট্রান্সফরমেশন বিভাগের ডিরেক্টর সালেহীন মুসফিক সাদাফ, গ্রুপ সিএফও এইচএম আশরাফ-উজ-জামান ও ফাইন্যান্স অ্যান্ড বিজনেস ডেভেলপমেন্ট বিভাগের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর কামরুল ইসলাম রয়েছেন। সফরকালে তারা স্টক এক্সচেঞ্জ অব হংকং লিমিটেড, আল্টাস ক্যাপিটাল লিমিটেড (মার্চেন্ট ব্যাংক/ইস্যু ম্যানেজার ফর ক্যাপিটাল রাইজিং) ও লেগো করপোরেট ফাইন্যান্স লিমিটেডসহ (আন্ডাররাইটার) গুরুত্বপূর্ণ অংশীজনদের সঙ্গে দ্বিপক্সীয় বৈঠক করবেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জিপিএইচ গ্রুপের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম বণিক বার্তাকে বলেন, ‘আমাদের বর্তমান উৎপাদন সক্ষমতা ১০ লাখ টন। এটিকে আমরা আরো পাঁচ লাখ টন বাড়াতে চাইছি। এজন্য নতুন ইউনিট নির্মাণে ১৮ কোটি ৫০ লাখ ডলারের মূলধন প্রয়োজন হবে। এ অর্থ আমরা স্থানীয় কিংবা বিদেশ ব্যাংকের কাছ থেকে নিতে চাইছি না। কারণ ব্যাংক ঋণ পরিশোধের জন্য সময় কম থাকে। পাশাপাশি সুদ বাবদ ব্যয়ও বেশি হবে। অন্যদিকে পুঁজিবাজার থেকে ইকুইটি নেয়া হলে সেক্ষেত্রে খরচ কম হবে। প্রাথমিক পরিকল্পনা অনুসারে আমরা হংকং স্টক এক্সচেঞ্জ থেকে ১৫ কোটি ডলারের মূলধন তোলতে চাই। বাকি সাড়ে ৩ কোটি ডলার কোম্পানির সংরক্ষিত আয় (রিটেইন্ড আর্নিংস) থেকে জোগান দেয়া হবে। হংকং স্টক এক্সচেঞ্জসহ অন্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হবে।’

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “১৩ জেলায় বিএনপিতে নতুন কমিটি, আরও পরিবর্তন আসছে”

তৃণমূলকে শক্তিশালী ও সংগঠিত করতে বিএনপি’র জেলা কমিটির নেতৃত্বে বড় ধরনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। নেতৃত্ব দেয়া হচ্ছে তরুণ নেতাদের হাতে। সামনে আরও পরিবর্তন আনা হবে। এরই অংশ হিসেবে সারা দেশে কর্মিসভা ও বর্ধিত সভা করছে দলটি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড জোরদার করতে ৩১ দফাকে ঘিরে বিভিন্ন কর্মসূচি দেয়া হচ্ছে। নতুন করে ঢেলে সাজানো হচ্ছে সংগঠন। দল পুনর্গঠনের প্রক্রিয়ায় ২রা ফেব্রুয়ারি মেহেরপুর জেলার পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং চট্টগ্রাম দক্ষিণ, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জসহ ১৩টি জেলার নতুন আহ্বায়ক কমিটি করেছে বিএনপি। একই সঙ্গে সিরাজগঞ্জ জেলার সম্মেলন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতি কমিটি অনুমোদন করেছে দলটি। এর আগে গত ৪ঠা নভেম্বর ১০টি জেলা ও মহানগরে পূর্ণাঙ্গ এবং আহ্বায়ক কমিটি গঠন করেছে বিএনপি। ওদিকে কেন্দ্রের কঠোর বার্তা ও অবস্থানের পরও তৃণমূল বিএনপি’র দ্বন্দ্ব-সংঘাত এড়ানো যাচ্ছে না। বরং বিভিন্ন এলাকায় একের পর এক ঘটনা ঘটেই চলেছে। তৃণমূলের দ্বন্দ্ব- সংঘাত দূর করতে গলদঘর্ম অবস্থায় পড়েছেন দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতারা।

সূত্র মতে, গত রোববার যে ১৩টি জেলায় নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে, এরমধ্যে কয়েকটি মেয়াদোত্তীর্ণ, নিষ্ক্রিয় ও দুর্বল কমিটি ছিল। অভিযোগ ছিল, সম্মেলন করার নির্দেশনা দেয়ার পরেও তারা সম্মেলন করতে ব্যর্থ হয়েছে। এছাড়া ক্ষমতাচ্যুত শেখ হাসিনার সরকারের বিরুদ্ধে তাদের পারফরম্যান্স ভালো না থাকার অভিযোগেও নতুন আহ্বায়ক কমিটি দেয়া হয়েছে। অন্য জেলা কমিটিগুলোও বিএনপি’র হাইকমান্ড পর্যালোচনা করছেন। পর্যালোচনা অনুযায়ী সামনে আরও নতুন কমিটি আসবে এবং এসব কমিটিতেও পরিবর্তন আসবে।

বিএনপি’র সদস্য নবায়ন কর্মসূচিতে দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, দলকে পুনর্গঠন ও শক্তিশালী করতে মেধাবী ও ভালো মানুষদের সামনে আনতে হবে। ভালো মানুষ দরকার। এই রাষ্ট্রকে পালিয়ে যাওয়া স্বৈরাচার ধ্বংস করে দিয়েছে, অনেক পেছনে নিয়ে গেছে। কাজেই দলকে যদি পুনর্গঠিত করতে হয়, সে রকম মানুষ দরকার। সে রকম মানুষকে বের করে নিয়ে আসতে হবে।

দল পুনর্গঠনে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য, ভাইস চেয়ারম্যান, উপদেষ্টা এবং যুগ্ম মহাসচিবদের দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে যেসব জেলায় আংশিক কমিটি হয়েছিল, সেসব পূর্ণাঙ্গ কমিটি করা হচ্ছে এবং যেসব জেলা কমিটির মেয়াদোত্তীর্ণ হয়েছে, সেসব জেলায় নতুন কমিটি করা হচ্ছে। এছাড়া যেসব কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, সেসব কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি করা হচ্ছে।

বিএনপি’র সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী মানবজমিনকে বলেন, কমিটিগুলো মেয়াদোত্তীর্ণ, দুর্বল ও নিষ্ক্রিয় ছিল। সেজন্য জোরালোভাবে এই পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। আর বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান মনে করলে সামনে আরও পরিবর্তন আসবে।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024