প্রদীপ কুমার মজুমদার
শূন্য, (বিন্দু) জলবিন্দু যেমন অতিক্ষুদ্র এবং নিরবয়ব। এতই ক্ষুদ্র যে শূন্য মনে হয়। হয়তো এ থেকেই শূন্য অর্থ বিন্দু ধরা হয়ে থাকে। শূন্যের পরিবর্তে দিব, আকাশ, অভাব, খ, অভ্র, নভঃ, ব্যোম, অম্বর, পুষ্কর, অনন্ত, জলধরপথ, গগন, বিয়ৎ, বিষ্ণুপদ, অন্তরীক্ষ, মরুৎপথ, প্রভৃতি নাম সংখ্যা ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
প্রসঙ্গক্রমে বলা প্রয়োজন যে শূন্য ও বিন্দু কথাটির মধ্যে শূন্য কথাটিই প্রাচীন। কারণ শূন্য কথাটি পিঙ্গল ছন্দঃ সূত্রে, বাখশালীর পাণ্ডুলিপিতে, পঞ্চসিদ্ধান্তিকা প্রভৃতি গ্রন্থে দেখতে পাওয়া যায়।
খ. শব্দটি অগ্নি পুরাণে পাওয়া যায়। অবশ্য বরাহের বৃহজাতকে খ- ১০ ধরা হয়েছে। গর্গ মুনি খ-১০ ধরেছেন। শূন্যকে পূর্ণ বলেও লেখা হয়েছে অনেক জায়গায়। হয়তো আকাশ পূর্ণতার প্রতীক বলে শূক্তকে পূর্ণ বলা হয়েছে। এই প্রসদে শুরু যজুর্বেদের একটি শ্লোক ধরছি:
“ও পূর্ণমদঃ পূর্ণমিদং পূর্ণাৎ পূর্ণমুদচ্যতে
পূর্ণস্থ্য পূর্ণমাদায় পূর্ণমেবাবশিষ্যতে।
অমর সিংহ এবং হেমচন্দ্রের মতে শূন্যের নাম তুচ্ছ। অবশ্য ঋগ্বেদের এক জায়গায় বলা হয়েছে “তুচ্ছেনাভ, পিহিতং”।
(চলবে)
Leave a Reply