শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:২৮ পূর্বাহ্ন

হিউএনচাঙ (পর্ব-২০)

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৯.০০ পিএম

সত্যেন্দ্রকুমার বসু 

এরা যে ভাষা ব্যবহার করতেন, যে ভাষায় শত শত সংস্কৃত গ্রন্থ এঁরা অনুবাদ করেছেন সে ভাষা এখন মৃত (আধুনিক পণ্ডিতরা তার নাম দিয়েছেন তুষারীয় বা তুথারীয়)। ভাষাবিদ্রা যদিও এ ভাষা এখনো ভালো করে বুঝতে পারেন নি, তবুও যতটুকু বুঝতে পেরেছেন, তাতে মনে হয় যে, প্রাচীন ভারতীয় বা ইরানীয় কোনো ভাষারই সঙ্গে এর তত মিল নেই, যত মিল আছে পুরাতন ইটালিয়ান ও কেল্টিক ভাষার সঙ্গে।

তৃতীয় আশ্চর্যের বিষয় হচ্ছে যে, এদের একদিকে চীন অন্যদিকে (আল্টাইয়ে) তুরুস্ক হলেও এরা নিজেরা চীনাও ছিল না, তুরুস্কও ছিল না।দেওয়াল-পট ইত্যাদিতে অন্বিত মূর্তি থেকে বোঝা যায় যে, এরা আর্যজাতীয়ই ছিল, আর ইটালীয়ান ও কেল্টিক জাতির সঙ্গেই এদের আকৃতির বেশি সাদৃশ্য ছিল।

সপ্তম শতাব্দীতে এরা যে পরিচ্ছদ, আসবাব ব্যবহার করত, তার সঙ্গে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে ফ্রান্স ও জার্মানীর সাজসজ্জা, জীবনযাত্রার অদ্ভুত মিল দেখা যায়।

(চলবে)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৯)

হিউএনচাঙ (পর্ব-১৯)

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024