মেক্সিকোর আর্থিক বাজারের স্থিতিশীলতা নিশ্চিত করতে নতুন পদক্ষেপ
রয়টার্স,
মেক্সিকোর অর্থ মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার ঘোষণা করেছে যে তারা আর্থিক বাজারের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে নতুন পদক্ষেপ গ্রহণ করছে। সাম্প্রতিক সময়ে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মেক্সিকোর রপ্তানির ওপর শুল্ক আরোপের হুমকি দেওয়ায় মেক্সিকোর মুদ্রা ও শেয়ারবাজার ব্যাপক অস্থিরতার মধ্যে পড়েছে।
এই পদক্ষেপের মধ্যে অন্যতম হলো বাজেট রাজস্ব স্থিতিশীলতা তহবিলকে শক্তিশালী করা, যেখানে ১০০ বিলিয়ন পেসোর (৪.৮৭ বিলিয়ন ডলার) বেশি মূলধন যুক্ত করা হয়েছে। সরকার ঋণের পরিপক্কতার সময়সীমা দীর্ঘায়িত করতে এবং স্বল্পমেয়াদী নগদ প্রবাহের চাহিদা কমাতে কার্যকর কৌশল অনুসন্ধান করছে।
৩১ জানুয়ারি, মেক্সিকো সরকার ১৮৫ বিলিয়ন পেসোর ঋণ পুনর্গঠন করে, যার ফলে ঋণের গড় পরিপক্কতার সময়সীমা ২.১৪ বছর বাড়ানো হয়েছে।
এছাড়াও, আর্থিক ঝুঁকি হ্রাস করতে একটি হেজিং প্রোগ্রাম চালু করা হয়েছে, যা ডেরিভেটিভ ফিনান্সিয়াল ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করে বাজারের প্রতিকূল পরিস্থিতি সামলাতে সাহায্য করবে। এই উদ্যোগগুলো পেসো মুদ্রা ও শেয়ারবাজারকে বাহ্যিক চাপ থেকে রক্ষা করার লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে।
সিউল বিমানবন্দরে গত বছর ১১ টন কিমচি জব্দ করা হয়েছে
সিএনএন,
দক্ষিণ কোরিয়ার ইঞ্চন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ২০২৪ সালে মোট ১০.৭ টন কিমচি জব্দ করেছেন, কারণ এটি তরল হিসেবে বিবেচিত হয় এবং হাতব্যাগে বহন নিষিদ্ধ। কিমচি, যা কোরিয়ান খাবারের অবিচ্ছেদ্য অংশ, প্রায়শই তরলযুক্ত সসে সংরক্ষিত হয়, যা ১০০ মিলিলিটারের বেশি হওয়ায় বিমানে বহন করা যায় না।
এছাড়াও, বিমানবন্দর কর্মকর্তারা ১০.৫ টন জ্যাং (বিভিন্ন ধরনের কোরিয়ান ফারমেন্টেড সস ও পেস্ট) জব্দ করেছেন। জব্দ করা কিমচিগুলো সাধারণত নষ্ট করে ফেলা হয়, তবে এবার স্থানীয় এক সমাজকল্যাণ কেন্দ্রে দান করা হয়েছে।
এর আগেও কোরিয়ান কর্তৃপক্ষ খাবারের ক্ষেত্রে কঠোর নিয়ম প্রয়োগ করেছে। ২০২৪ সালে কোরিয়ান এয়ার ঘোষণা করেছিল যে তারা দীর্ঘ দূরত্বের অর্থনীতিশ্রেণির ফ্লাইটে রামিয়ন ইনস্ট্যান্ট নুডল পরিবেশন বন্ধ করবে, কারণ এটি তীব্র ঝাঁকুনির সময় বিপজ্জনক হতে পারে।
এছাড়া, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আনা এভরিথিং বাট দ্য ব্যাগেল নামক জনপ্রিয় সিজনিং মিক্স দক্ষিণ কোরিয়ায় নিষিদ্ধ হয়েছে, কারণ এতে পোস্তদানার উপাদান রয়েছে, যা দেশটিতে অবৈধ।
মেক্সিকো ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির বিরুদ্ধে ১০,০০০ সৈন্য মোতায়েন করেছে
ফার্স্টপোস্ট,
মেক্সিকো মঙ্গলবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সীমান্তে ১০,০০০ সৈন্য মোতায়েন শুরু করেছে। মেক্সিকোর প্রেসিডেন্ট ক্লাউডিয়া শেইনবাউম জানিয়েছেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে একটি চুক্তির আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে, যাতে মেক্সিকোর রপ্তানির ওপর ২৫% শুল্ক আরোপ স্থগিত থাকে।
এই চুক্তির আওতায়, মেক্সিকো অবৈধ অভিবাসন ও মাদক পাচার, বিশেষ করে ফেন্টানিলের প্রবাহ নিয়ন্ত্রণে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ট্রাম্প আগে থেকেই হুমকি দিচ্ছিলেন যে, কানাডা ও মেক্সিকো যদি তাদের সীমান্তে মাদক ও অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ না করে, তাহলে তাদের ওপর উচ্চহারে শুল্ক আরোপ করা হবে। এর ফলে বাণিজ্য চুক্তি লঙ্ঘিত হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সোমবার ট্রাম্পের শুল্ক হুমকির কারণে বৈশ্বিক বাজারে মন্দাভাব দেখা দেয়, যা বাণিজ্য যুদ্ধের শঙ্কা বাড়িয়েছে।
ট্রাম্পের গাজা পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে সমালোচিত
বিবিসি,
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গাজা সম্পর্কিত সাম্প্রতিক পরিকল্পনা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে, যা আন্তর্জাতিক আইনের পরিপন্থী বলে মনে করা হচ্ছে।
ট্রাম্প গাজাকে একটি “ধ্বংসপ্রাপ্ত এলাকা” বলে অভিহিত করে ফিলিস্তিনিদের স্থায়ীভাবে অন্যত্র পুনর্বাসনের প্রস্তাব দিয়েছেন। তার প্রশাসন এটিকে মানবিক পদক্ষেপ বলে প্রচার করছে, তবে আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী জোরপূর্বক জনসংখ্যা স্থানান্তর সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
সৌদি আরব, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতার এবং আরব লীগসহ একাধিক দেশ এই পরিকল্পনার বিরোধিতা করেছে এবং বলেছে যে এটি মধ্যপ্রাচ্যের স্থিতিশীলতা বিপন্ন করতে পারে।
ট্রাম্পের এই প্রস্তাব উগ্র জাতীয়তাবাদী ইসরায়েলি গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্য বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিতে পারে, যারা দীর্ঘদিন ধরে ফিলিস্তিনিদের গাজা থেকে উচ্ছেদের পক্ষে ছিল।
হাইতিতে জাতিসংঘ মিশনের জন্য মার্কিন অর্থায়ন স্থগিত
এপি নিউজ,
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র জাতিসংঘ সমর্থিত হাইতির নিরাপত্তা মিশনের জন্য বরাদ্দ করা ১৩.৩ মিলিয়ন ডলার তহবিল স্থগিত করেছে, যা দেশটির ক্রমবর্ধমান গ্যাং সহিংসতা দমনে বাধা সৃষ্টি করতে পারে।
এই মিশনটি কেনিয়ার পুলিশের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছে এবং অর্থ ও জনবলের অভাবে ইতোমধ্যে সমস্যায় পড়েছে। জাতিসংঘের মুখপাত্র জানিয়েছেন, তহবিল বন্ধ হওয়ায় মিশন কার্যক্রমের ওপর তাৎক্ষণিক প্রভাব পড়বে।
হাইতির রাজধানী পোর্ট-অ-প্রিন্সের ৮৫% এলাকা এখন গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে। ২০২৪ সালে সহিংসতায় ৫,৬০০-এর বেশি মানুষ নিহত হয়েছে এবং ১০ লাখের বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তর সম্প্রতি ৪১ মিলিয়ন ডলারের জন্য একটি সহায়তা ছাড়পত্র অনুমোদন করলেও আরও তহবিল স্থগিত রয়েছে।
বিশ্লেষকরা মনে করছেন, আন্তর্জাতিক সহায়তা ছাড়া হাইতির নিরাপত্তা পরিস্থিতির আরও অবনতি হতে পারে এবং সরকারকে বিকল্প উপায় খুঁজে বের করতে হবে।
Leave a Reply