শনিবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:৩১ পূর্বাহ্ন

কমানো হয়েছে প্রাকৃতিক গ্যাসের সরবরাহ

  • Update Time : বুধবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২৫, ৪.৫৭ পিএম

সারাক্ষণ রিপোর্ট

সারাংশ

  • ১১ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি CNG সরবরাহ বন্ধ করে দেয়
  • শিল্প মালিকদের ইন্ট্রাকোর গ্যাস সরকার নির্ধারিত প্রতি ঘনমিটারে ৪৭.৬০ টাকা দরে কিনতে হয়
  • সরকার ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস বরাদ্দ পাঁচ ভাগের এক ভাগে কমিয়েছে
  • আরও প্রায় ডজনখানেক কোম্পানি কম খরচে প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী ছিল

সরকার ইন্ট্রাকো রিফুয়েলিং স্টেশনের জন্য প্রাকৃতিক গ্যাস বরাদ্দ পাঁচ ভাগের এক ভাগে কমিয়েছেকারণ প্রতিষ্ঠানটি ভোলা থেকে প্রতিশ্রুত কমপ্রেসড ন্যাচারাল গ্যাস (CNG) সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে।

ফলস্বরূপপ্রতিষ্ঠানটি বর্তমানে রাষ্ট্রায়ত্ত সুন্দরবন গ্যাস কোম্পানি লিমিটেড (SGCL)-এর সাথে বিদ্যমান চুক্তির অধীনে প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫.০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংকোচন করতে পারবে।

ইন্ট্রাকো ২০২৩ সালের মে মাসে এসজিসিএলএর সাথে ১০ বছরের একটি চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলযার মাধ্যমে ভোলা থেকে গ্যাস সংকটাপন্ন ঢাকাসহ আশপাশের শিল্প এলাকায় গ্যাস সরবরাহের প্রতিশ্রুতি ছিল।

চুক্তি অনুসারে২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটি প্রতিদিন সর্বোচ্চ ২৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সংকোচন করে ট্রাকের মাধ্যমে ক্যাসকেড সিলিন্ডার ব্যবহার করে সরবরাহ করবে।

এটি ছিল দেশের প্রথম চুক্তিযেখানে বেসরকারি খাতের সহায়তায় সংকুচিত প্রাকৃতিক গ্যাস ব্যবহারকারীদের সরবরাহ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল।

গাজীপুর ও আশপাশের এলাকায় যেখানে পাইপলাইনের গ্যাস চাপ কমসেখানে গ্যাস সংকটাপন্ন কারখানাগুলোর জন্য প্রতিদিন প্রায় ৫.০ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের কথা ছিল ইন্ট্রাকোর।

প্রতিষ্ঠানটি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরের শেষের দিকে গ্যাস সরবরাহ শুরু করেছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের আগস্ট থেকে অক্টোবর পর্যন্ত মাত্র ১.০-১.৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস সরবরাহের পর তা বন্ধ করে দেয়।

অক্টোবর ২১ তারিখে প্রতিষ্ঠানটি পুনরায় কার্যক্রম শুরু করলেও সরবরাহকৃত CNG চুক্তির প্রতিশ্রুতির তুলনায় অনেক কম ছিল বলে সূত্র জানিয়েছে।

তারা আরও জানায়২০২৪ সালের ১৮ আগস্টের মধ্যে প্রায় ১১ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করতে ব্যর্থ হওয়ার কারণে প্রতিষ্ঠানটি CNG সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। তবেকার্যক্রম পুনরায় শুরুর আগে প্রতিষ্ঠানটি ব্যাংক গ্যারান্টি প্রদান করেছিল।

প্রতিষ্ঠানটি চুক্তিতে প্রতিশ্রুত পরিমাণ গ্যাস সরবরাহের জন্য পর্যাপ্ত বিনিয়োগ করেনি বলেও অভিযোগ রয়েছে।

ইন্ট্রাকোটেন্ডার প্রক্রিয়া এড়িয়ে২০১০ সালের বিতর্কিত এবং পরবর্তীতে ২০২১ সালে সংশোধিত বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বিশেষ বিধান আইনের আওতায় ভোলা থেকে গ্যাস সরবরাহের চুক্তি লাভ করেছিল।

সূত্র জানায়রাষ্ট্রায়ত্ত পেট্রোবাংলা শুধুমাত্র ইন্ট্রাকোকে এই দায়িত্ব প্রদান করেছিলযদিও আরও প্রায় ডজনখানেক কোম্পানি কম খরচে প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী ছিল।

শিল্প মালিকদের ইন্ট্রাকোর গ্যাস সরকার নির্ধারিত প্রতি ঘনমিটারে ৪৭.৬০ টাকা দরে কিনতে হয়যা শিল্প গ্রাহকদের জন্য সাধারণ হার ৩০ টাকা থেকে ৫৮.৬৬ শতাংশ বেশি।

ইন্ট্রাকো প্রতি ঘনমিটারে ৩০.৫০ টাকা লাভ করেকারণ প্রতিষ্ঠানটি ভোলার গ্যাস সরকার থেকে প্রতি ঘনমিটারে ১৭ টাকা দরে পায়।

তবেপ্রতিষ্ঠানটি গ্যাস সংকোচন ও পরিবহনের সমস্ত ব্যয় বহন করে।

ইন্ট্রাকো রাষ্ট্রায়ত্ত তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশনের ফ্র্যাঞ্চাইজি এলাকাগুলো থেকে স্বতন্ত্রভাবে গ্রাহক নির্বাচন এবং গ্যাস সরবরাহ ও বিল সংগ্রহের ক্ষমতা রাখে।

ভোলার শাহবাজপুরভোলা ও ইলিশা গ্যাস ক্ষেত্রগুলোর সম্মিলিত উৎপাদন ক্ষমতা প্রায় ২০০ ঘনফুট

তবেএলাকায় চাহিদার নিম্নগতির কারণে উৎপাদন মাত্র ৮০ ঘনফুট সীমিত রাখা হয়েছেফলে প্রায় ১২০ ঘনফুট গ্যাস অব্যবহৃত থেকে যাচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024