সত্যেন্দ্রকুমার বসু
হামির মরূদ্যানে হিউএনচাঙ একটি সঙ্ঘারামে কিছুদিন যাপন করেন। এই সঙ্ঘারামে তাঁর নিজ গ্রামের এক বৃদ্ধ সন্ন্যাসীকে দেখে ধর্মগুরু আনন্দাশ্রু ত্যাগ করেন।হিউএনচাঙ যখন ভারতবর্ষের অভিমুখে আসেন তখন এ দেশ পশ্চিম তুরুস্ক সাম্রাজ্যের অধীন ছিল, যদিও প্রত্যেক মরূদ্যানে এক এক জন রাজা ছিলেন।
হামির পশ্চিমদিকের নিকটতম মরূদ্যান ছিল কাওচাঙ (আধুনিক তুরফান)। তুরফান আধুনিক লিংকিআং প্রদেশে বারকুলের দক্ষিণে, মরুভূমির মধ্যে অবস্থিত। এর উত্তরে আর দক্ষিণে পর্বতমালা। রাজধানী ছিল আধুনিক তুরফানের পঁচিশ মাইল পূবে কারাখোজায়।
হিউএনচাঙের সময়ে তুরফানের রাজা ছিলেন চীনদেশীয়। তাঁর নাম ছিল কু-ওএন-তাই (রাজ্যকাল ৬২০-৬৪০)। থাইচুঙ চীনের সম্রাট হওয়ার অল্প সময়ের ভিতর ইনি সম্রাটের সঙ্গে উপহার আদান প্রদান দ্বারা সখ্যসূত্রে আবদ্ধ হন। এর স্বভাব অনেকটা রাজসিক প্রকৃতির ছিল।
হিউএনচাঙ হামিতে আছেন শুনে ইনি পঞ্চাশ-ষাট জন কর্মচারীকে সুসজ্জিত ঘোড়ায় চড়িয়ে হিউএনচাঙকে নিমন্ত্রণ করতে পাঠালেন। হিউএনচাঙের যদিও অন্যপথে যাবার ইচ্ছা ছিল তবু তাঁকে একরকম জোর করেই তুরফানে আনা হল। ছ’দিনের পথ অতিক্রম করে তিনি তুরফানে পৌঁছলেন। রাজার প্রেরিত অনুচররা তাঁকে সন্ধ্যার সময়ে পথে বিশ্রাম করতে না দিয়ে রাতদুপুরে তুরফানে পৌঁছে দিল।
(চলবে)
Leave a Reply