রাঙাছুটুর বাপের বাড়ি এ-পথ গিয়াছে কোনখানে। এখানে দুইধারে শুধু তেঁতুল গাছের সারি-তারপর বহেড়া গাছের জঙ্গল। শীতল ছায়া ধরিয়া পথিকের প্রাণ জুড়াইতেছে। শাখায় শাখায় পাখির গান ভরিয়া পথিকের মন জুড়াইতেছে। এ-পথ
মণীশ রায় আন্দোলন মানেই তৃষার কাছে বুকের ভেতর দাউ-দাউ এক উত্তেজনার নাম। নিরন্তর মিছিল, মিটিং, শ্লোগানের সম্মোহন আর রক্তগরম জ্বালাময়ী বক্তৃতার ক্রমাগত অগ্ন্যুৎপাত। বন্ধুরা, ভাইয়েরা, বিপ্লবী জনতা, সংগ্রামী সাথীরা কতোরকম
আর্কাদি গাইদার দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ আমাদের ইশকুলের ধর্মযাজক ফাদার গেন্নাদির বয়েস সত্তর বছরের কাছাকাছি। ঘন দাড়ি আর ভুরুতে মুখটা ভরা, এক ইঞ্চি ফাঁকও চোখে পড়ত না। ফাদার ছিলেন দিব্যি মোটাসোটা। ঘাড়
রাঙাছুটুর বাপের বাড়ি আমার নানাবাড়ি ছিল আমাদের বাড়ি গোবিন্দপুর হইতে আট মাইল দূরে তাম্বুলখানা গ্রামে। এত দূরের গ্রাম হইতে নববধূটি হইয়া কি করিয়া মা আমাদের বাড়ি আসিয়াছিলেন, কে সেই নববধূটিকে
আর্কাদি গাইদার দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ আমরা অনেকেই ভাল্ল্কার গোপন প্ল্যানের খবর জানি একথা হেডমাস্টার- মশাই কী করে ভাবলেন জানি না। কিন্তু তিনি ভুল ভেবেছিলেন। আসলে আমরা কেউই এর কিছু জানতুম না।
আর্কাদি গাইদার দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ ‘কী হল রে?’ ‘বলছি-বলছি। ক্লাসে বসে আছি আমরা, বুঝলি। আর প্রথমেই ছিল ফরাসির ক্লাস। বুড়ি ডাইনী আমাদের ক্রিয়াপদ না-শিখিয়ে ছাড়বে না: আলে (যাওয়া) আরিভে (পৌঁছনো), আঁত্রে
স্বদেশ রায় বড় জ্যাঠামহাশয় এই বৈশাখে নিরানব্বই পূর্ণ করিয়া শতবর্ষে পা রাখিবেন। তাই এবারের ফাল্গুনের বাসন্তী পূঁজার অনান্য বারের থেকে সামান্য হইলেও একটু বাড়তি বিশেষত্ব আছে। অনির্বানের ছোট বেলায় দেখা সেই
মায়ের সংসার মাত্র কয়েকখানা ছেঁড়া নেকড়া, পুরাতন কাঁথা ছাড়া প্রসূতিরা আগে কিছুই সংগ্রহ করিয়া রাখিত না। সন্তান হইলে একজন দৌড় পাড়িত, বাঁশের ঝাড় হইতে ‘নেইল’ (বাঁশের ধারালো ছাল) কাটিয়া আনিবার,
আর্কাদি গাইদার দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ একথা বলতেই হবে যে, খাঁজে খুঁজে যুতসই উদাহরণ বের করার ব্যাপারে ফাদার গোয়াদি ছিলেন একেবারে ঝানু ওস্তাদ। আমার মনে হয়, যদি তিনি জানতে পারতেন যে ওই
মায়ের সংসার আমার কোনো ভাই হওয়ার আগে মা গোপনে কিছু চিড়া কুটিয়া ঘরের মাচার মধ্যে লুকাইয়া রাখিয়াছিলেন। মা যখন এদিক-ওদিক কাজে থাকিতেন আমি তখন সেই মাচায় উঠিয়া এটা-ওটা খাইবার জিনিস