আমার অন্ধ দাদা দ্রুত লয়ে খাটো করিয়া, কখনও ধমকের সুরে, কখনও আবেগমিশ্রিত সুরে, কখনও জোরে জোরে দাপটের সঙ্গে, কখনও ফিসফিস করিয়া মনে মনে কথা বলার মতো করিয়া, কাহিনীর বিষয়বস্তুটিকে তিনি
পিওতর মান্তেইফেল অপ্রত্যাশিত পার্টীগণিত ভালুকের ছানারা যেখানে খেলছিল, সেখানে জুটল একদল দর্শক। ভল্লুক পরিবারের ইতিহাস বলতে গিয়ে গাইড হঠাৎ জিজ্ঞেস করল: ‘পাটীগণিত আপনারা নিশ্চয় জানেন? তাহলে কষুন তো: মানুষের বেলায়
আমার অন্ধ দাদা আমার পিতার এক চাচা ছিলেন। নাম দানু মোল্লা। লোকে তাঁহাকে ধানু মোল্লা বলিয়া ডাকিত। অভি ছোট বয়সে চোখের কি অসুখ হয়। কোন এক বিদেশী গ্রাম্য কবিরাজ লঙ্কাবাটার
পিওতর মান্তেইফেল তোরাঙ্গিকোল হ্রদে ইব্রতীশ নদীর উজান এলাকা পর্যবেক্ষণ করার সময় তোরাঙ্গিকোল হ্রদের উপকূলে ঝোপের মধ্যে শিপুন-জাতের একটা রাজহাঁস পরিবার আমার চোখে পড়ে এবং তাদের লক্ষ্য করতে থাকি। মা-বাপ ছাড়া
পিওতর মান্তেইফেল কাক নদীর বালুময় অগভীর একটা জায়গার ওপর ধাঁরে ধীরে উড়ছিল কাক। প্রায় শেষ শক্তি নিঃশেষ করে সে যেন তার ডানা নাড়ছিল গুরুভার অনিশ্চিত ভঙ্গিতে। নিশ্চয় খিদেয় কাহিল হয়ে
আবু ইসহাক হারেমের ব্যাপার। বাইরে জানাজানি হলে বিপন্ন হবে মান-সম্ভ্রম। তাই আমীর নিজেই তদন্তে বেরিয়েছিলেন। তদন্ত শেষ করে আমীর মুরাদ বেন-হাম্মাদ আল্-জুলফিকার শিশমহলে এসে দোদুল-কেদারায় বসেছেন। চিন্তা-মেঘাচ্ছন্ন চোখে-মুখে থমথমে ভাব।
জীবনকথা চরভদ্রাসনের লোকেরা আমার পিতাকে কেমন ভালোবাসিতেন, একটি দৃষ্টান্ত দিলে বোঝা যাইবে। তখন আমার পিতার মৃত্যু হইয়াছে। গ্রাম্য-গান সংগ্রহ করিতে আমি একবার এই গ্রামে গিয়াছি। মোমিন মোল্লা নামক একটি বৃদ্ধ
পিওতর মান্তেইফেল হাঁসের খাবার কী খায় বুনো হাঁসেরা? মনে হবে তার জবাব এমন আর কঠিন কী। গুলি করে মেরে পেট চিরে দেখলেই হবে কী আছে তাতে। সাধারণত তা করাও হয়।
জীবনকথা মাঝে মাঝে কুড়ি-পঁচিশ জনের অধিক অতিথি সমাগম হইত। এই অতিথিদিগকে আদর যত্ন করিতে আমার পিতা পাগল হইয়া উঠিতেন। ফরিদপুর হইতে সন্দেশ, রসগোল্লা ও নানারকম মিঠাই আনা হইত। তারই সঙ্গে
পিওতর মান্তেইফেল মৃত্যুর মুখে ১৯৩৪ সালের বসন্তে মস্কোর চিড়িয়াখানায় প্রথম বাচ্চা দেয় আবওয়ালা আফ্রিকান বন-শুয়োর। সাতটি বাচ্চা হয় তার, কিন্তু আদৌ তার যেন কোনো মাতৃস্নেহ নেই দেখে অবাক লাগত। লোকেদের