রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৫:২৭ পূর্বাহ্ন

দুপুরের মধ্যে ২০ জেলায় বজ্রবৃষ্টিসহ ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা

  • Update Time : শুক্রবার, ১২ জুলাই, ২০২৪, ৯.৩৩ এএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “গ্রামের পাশাপাশি এবার ঢাকায়ও লোডশেডিং, বিভিন্ন এলাকায় জ্বলছে না চুলা”

গ্যাসের সংকট কাটেনি। গ্যাস থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমে গেছে। বকেয়া বিল জটিলতায় তেলচালিত বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলোও পুরোদমে চালানো যাচ্ছে না। কয়লা থেকে উৎপাদন বাড়ানো হয়েছে। তবুও বিদ্যুৎ চাহিদা পূরণ করা যাচ্ছে না। এতে দুই দিন ধরে দেশের বিভিন্ন গ্রামে লোডশেডিং বেড়েছে। রাজধানী ঢাকায়ও গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে লোডশেডিং।

ঢাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ করে ঢাকা পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি (ডিপিডিসি) ও ঢাকা ইলেকট্রিক সাপ্লাই কোম্পানি (ডেসকো)। এ দুটি সংস্থার দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, গতকাল ডিপিডিসি গড়ে ১০০ থেকে ২০০ মেগাওয়াট সরবরাহ কম পেয়েছে। এতে কোনো এলাকায় এক ঘণ্টা আর কোনো এলাকায় দুই ঘণ্টা লোডশেডিং দিতে হয়েছে।

তবে ডিপিডিসির চেয়ে বেশি ঘাটতি পেয়েছে ডেসকো। গতকাল বেলা দুইটায় ডেসকোর চাহিদা ছিল ১ হাজার ৩২৫ মেগাওয়াট। আর সরবরাহ হয়েছে এক হাজার মেগাওয়াট। এতে সব এলাকাতেই লোডশেডিং করতে হচ্ছে। গুলশান এলাকায়ও ৬১ মেগাওয়াট লোডশেডিং করেছে ডেসকো। বারিধারায় লোডশেডিং হয়েছে গতকাল ৫০ মেগাওয়াট।

বিদ্যুৎ বিভাগ, পিডিবি ও পিজিসিবি সূত্রে পাওয়া তথ্য বলছে, দেশে এখন বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা প্রায় ২৬ হাজার মেগাওয়াট। গতকাল দিনের বেলায় সর্বোচ্চ চাহিদা ছিল দুপুর ১২টায় ১৪ হাজার ৭৫০ মেগাওয়াট। ওই সময়ে ১ হাজার ৭৯৫ মেগাওয়াট লোডশেডিং করা হয়েছে। বুধবার থেকে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রতি ঘণ্টায় গড়ে দেড় হাজার মেগাওয়াটের বেশি লোডশেডিং করা হচ্ছে। যদিও গ্রাহকের কাছে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা বিতরণ সংস্থাগুলোর কর্মকর্তারা বলছেন, প্রকৃত লোডশেডিং আরও বেশি।

পিডিবির সদস্য (উৎপাদন) খন্দকার মোকাম্মেল হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য পিডিবির সব বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রস্তুত আছে। জ্বালানির সরবরাহ নিশ্চিত করা যাচ্ছে না। এর ফলে চাহিদামতো উৎপাদন করা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “শাহবাগে ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে পুলিশ: ডিএমপি”

কোটা সংস্কারের দাবিতে পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এ সময় কিছু শিক্ষার্থীকে পুলিশের সাঁজোয়া যানের ওপর উঠে উল্লাস করতেও দেখা যায়। শিক্ষার্থীদের এমন আচরণের পরও পুলিশ ধৈর্যের পরিচয় দিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার ড. খ. মহিদ উদ্দিন।

 

যুগান্তরের একটি শিরোনাম “দুপুরের মধ্যে ২০ জেলায় বজ্রবৃষ্টিসহ ৬০ কিমি বেগে ঝড়ের আশঙ্কা”

দেশের ২০ জেলার ওপর দিয়ে দুপুরের মধ্যে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝোড়ো হাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।

শুক্রবার (১২ জুলাই) ভোর ৫টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের নদীবন্দরগুলোর জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন বলেন, রংপুর, দিনাজপুর, রাজশাহী, পাবনা, বগুড়া, টাঙাইল, ময়মনসিংহ, ঢাকা, খুলনা, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, কুমিল্লা, নোয়াখালী, বরিশাল, পটুয়াখালী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার এবং সিলেট দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বিদায়ী অর্থবছরে প্রতিশ্রুতি শূন্য, নতুন অর্থবছরে প্রত্যাশার তুলনায় খুবই নগণ্য”

ভারত ও চীনের কাছ থেকে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে নতুন কোনো অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি পায়নি বাংলাদেশ। নতুন অর্থবছরের শুরুতেও আঞ্চলিক প্রতিবেশী ও বন্ধু হিসেবে বিবেচিত দেশগুলোর কাছ থেকে তেমন কিছু মেলেনি। যদিও সরকার এখন ডলার সংকট কাটাতে বৈদেশিক ঋণে ব্যাপক মাত্রায় গুরুত্ব দিচ্ছে। নতুন সরকার গঠনের  পরই প্রধান দুই প্রতিবেশী দেশ ভারত ও চীনে প্রথম দুই দ্বিপক্ষীয় সফর করেছেন সরকারপ্রধান। বর্তমান সরকারের অন্যতম রাজনৈতিক সমর্থক দেশ দুটি থেকে অর্থনীতির চলমান দুঃসময়ে বড় ধরনের আর্থিক সহায়তার প্রত্যাশাও ছিল। কিন্তু অর্জনের ঝুড়িতে যোগ হয়েছে খুবই নগন্য। শুধু চীন থেকে এসেছে কেবল ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) রেনমিনবি বা ইউয়ান (১ হাজার ৬১৫ কোটি টাকার সমপরিমাণ) সহায়তার প্রতিশ্রুতি। যদিও সফরের আগে শুধু চীন থেকেই প্রায় ২০ বিলিয়ন ডলারের অর্থ সহায়তার ঘোষণার প্রত্যাশা ছিল বলে বিভিন্ন উৎসে জানা গেছে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর, একটি পর্যালোচনা”

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বহুল আলোচিত চীন সফর শেষ হয়েছে। কিন্তু সফরটিকে ঘিরে সৃষ্ট আলোচনা এবং পর্যবেক্ষণ থামেনি। বরং সেটি আরও বিস্তৃত হয়েছে। দেশি-বিদেশি বোদ্ধারা এখন সফরটির আউটকাম বিশ্লেষণ করছেন। রিজার্ভ সংকটসহ বাংলাদেশের নানামুখি চ্যালেঞ্জের এই কঠিন সময়ে উন্নয়নবন্ধু চীনের ব্যাপক অর্থনৈতিক সাপোর্ট প্রত্যাশা করেছিল ঢাকা। অবশ্য সেই প্রত্যাশার পারদ তুঙ্গে তুলেছিল চীনই। বেইজিং প্রধানমন্ত্রীর সফরকে সম্পর্কের ‘গেমচেঞ্জার’ বলে আগাম মন্তব্য করেছিল। তাছাড়া গত ফেব্রুয়ারিতে বিশ্ববাণিজ্য সংস্থার মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকের সাইড লাইনে আচমকা চীনা প্রতিনিধি বাণিজ্য সহায়তা হিসাবে বাংলাদেশকে ৫ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ চীনা মুদ্রা প্রদানের প্রস্তাব করেন। যা নিয়ে গত চার মাস ধরে নেগোসিয়েশনে কাটায় দুই দেশ। পররাষ্ট্র সচিবের বেইজিং সফরে এবং ইআরডি’র সঙ্গে সিরিজ বৈঠকে এ নিয়ে আনুষ্ঠানিক আলোচনা হয়।

সেই আলোচনার সূত্র ধরেই বাংলাদেশ চীনের কাছ থেকে ৫০০ কোটি ডলারের সমপরিমাণ ইউয়ান সহায়তা পাচ্ছে বলে গত ৩রা জুলাই ব্লুমবার্গকে জানান বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আবদুর রউফ তালুকদার। সেইসঙ্গে বাজেট সাপোর্ট হিসাবে বাংলাদেশ চীন থেকে আরও ২ বিলিয়ন ডলারের সমপরিমাণ ইউয়ান আশা করছে বলে জানায় সেগুনবাগিচা। ধারণা দেয়া হয়, সরকার প্রধানের সফরে এসবের বিষয়ে ঘোষণা আসবে। কিন্তু না, দু’টি প্রস্তাবের বিষয়েই অস্পষ্টতা থেকে গেছে। অবশ্য চীনের তরফে ১০০ কোটি ইউয়ান সহায়তার একটি স্বতন্ত্র ঘোষণা এসেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বাজেট সহায়তায় ২০০ কোটি ডলার পাওয়ার প্রস্তাবটি দিয়েছিল ঢাকা। সেটি না পাওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। কারণ চীন কাউকেই এখন পর্যন্ত কোনো ধরনের বাজেট সহায়তা দেয়নি। তবে যে ৫০০ কোটি ডলারের বাণিজ্য সহায়তার প্রস্তাব চীন দিয়েছে সেটির নেগোসিয়েশন এখনো বাকি। অর্থাৎ শর্ত কাটছাঁট করে এটি পাওয়ার সুযোগ আছে। প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের অর্জন বিশ্লেষণ করেছে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত মিডিয়া গ্লোবাল টাইমস। তারা হাই প্রোফাইল ওই সফর নিয়ে একাধিক প্রতিবেদন করেছে। তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে চীনের সহযোগিতা পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ কঠিন পরিস্থিতি মোকাবিলা করছে বলে উল্লেখ করা হয়। এক্ষেত্রে তীব্র ভূ-রাজনৈতিক ‘গেম’ এর বিষয়টি সামনে আনা হয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে বিশ্লেষকদের উদ্ধৃত করে বলা হয়, বাংলাদেশ যদি দ্রুত অর্থনৈতিক ও সামাজিক উন্নতি করতে চায় তাহলে অবশ্যই চীনের সহযোগিতা প্রয়োজন। কিন্তু তীব্র ভূ-রাজনীতির খেলার মধ্যে পড়ে গেছে বাংলাদেশসহ দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশ। ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের নাম উল্লেখ করে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, চীনের কাছ থেকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা পেতে ঘনিষ্ঠ হওয়া দেশগুলোর ওপর অপরিহার্যভাবে ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলো রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা চাপ বাড়াচ্ছে। সাংহাই একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সের ইনস্টিটিউট অব ইন্টারন্যাশনাল রিলেশনের রিসার্চ ফেলো হু ঝিয়োং বলেন, যখনই দক্ষিণ এশিয়ান কোনো নেতা চীন সফরে আসেন, তখন সবসময়ই নানা অজুহাতে বাধা সৃষ্টি এবং প্রচারণা শুরু করে ভারত। কিন্তু নয়াদিল্লির অতিমাত্রায় উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত নয় যে, চীনের সঙ্গে অন্য দেশের যোগাযোগ বা ঘনিষ্ঠতার কারণে ভারতের সঙ্গে তাদের সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চীন সফরের ফলে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের উন্নয়ন হবে দক্ষিণ এশিয়ার সার্বিক শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য সহায়ক। বুধবার চীনের প্রধানমন্ত্রী লি কিয়াং বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। সেখানে তিনি বলেন, তৃতীয় কোনো পক্ষকে টার্গেট করবে না চীন-বাংলাদেশের মধ্যকার সম্পর্কের উন্নয়ন। লি কিয়াং বলেন, চীন সবসময়ই ‘জিরো-সাম’ গেমের বিরোধী এবং চীনের অবস্থান হলো পারস্পরিক সুবিধা ও সহযোগিতার পক্ষে। তিনি আরও বলেন, জটিল ভূ-রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশের কৌশলগত পছন্দকে সম্মান করে চীন। অন্য দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও সহযোগিতামূলক সম্পর্কে বেইজিংয়ের যে আপত্তি নেই তা-ও খোলাসা করেন তিনি। চীনের আন্তর্জাতিক সম্প্রচারমাধ্যম সিজিটিএনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, দুই দেশ তাদের সম্পর্ককে একটি ‘বিস্তৃত কৌশলগত সহযোগিতামূলক অংশীদারিত্বে’ উন্নীত করেছে। চীনের প্রেসিডেন্টের বক্তব্যকে প্রাধান্য দিয়েই প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়। বাংলাদেশের সরকার প্রধানের সঙ্গে বৈঠকে শি বলেন, ১৯৭৫ সালে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রতিষ্ঠার পর থেকে দুই দেশ সব সময় পারস্পরিক শ্রদ্ধা বজায় রেখেছে ও পরস্পরকে সমর্থন দিয়েছে। একে অপরের সঙ্গে সমতাপূর্ণ আচরণ করেছে ও সমলাভের ভিত্তিতে সহযোগিতামূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছে। বৈশ্বিক দক্ষিণের (গ্লোবাল সাউথ) দেশগুলোর মধ্যে চীন-বাংলাদেশের সম্পর্ক বন্ধুত্বপূর্ণ যোগাযোগ ও পারস্পরিক উপকারী অংশীদারিত্বের একটি উজ্জ্বল উদাহরণ বলে উল্লেখ করেন শি। সিজিটিএন’র প্রতিবেদনে বলা হয়, আগামী বছর ‘জনগণের সঙ্গে জনগণের সম্পর্কের বর্ষকে (ইয়ার অব পিপল-টু-পিপল এক্সচেঞ্জস)’ সামনে রেখে দুই দেশকে সংস্কৃতি, পর্যটন, সংবাদমাধ্যম ও খেলাধুলার মতো খাতে বিনিময় এবং সহযোগিতা বাড়াতে চেষ্টা চালানোর আহ্বান জানিয়েছেন শি। পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে এবং জাতিসংঘ ও অন্যান্য বহুপক্ষীয় কাঠামোর মধ্যে সমন্বয় ও সহযোগিতা জোরদার করতে চীন প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024