শ্রী নিখিলনাথ রায় নবাব জগৎশেঠকে বন্দী করিলে, ভান্সিটার্ট বিরক্ত হইয়া তাঁহাকে এক পত্র লিখিয়া পাঠান। তিনি আমিয়ট সাহেবের নিকট হইতে জগৎশেঠদিগের সংবাদ অবগত হইয়াছিলেন। আমিয়ট তৎকালে কাশীমবাজারে অবস্থিতি করিতেছিলেন।
বিস্তারিত
শ্রী নিখিলনাথ রায় তিনিও জগৎশেঠ ও রায়দুর্লভের নিকট হইতে সাহায্য প্রাপ্ত হইবেন বলিয়া ইংরেজ দিগকে অবগত করান। ইংরেজেরা মীরজাফরের প্রস্তাবই সঙ্গত মনে করেন; কিন্তু ইয়ার লতিবকৈও হস্তচ্যুত করেন নাই।
শ্রী নিখিলনাথ রায় আমার মতে মীরজাফরকে সহায় করিয়া ইংরেজদিগের সহিত যোগ দিয়া সিরাজকে পদচ্যুত করা যাইতে পারে। ইংরেজদিগের সহিত আমার বিলক্ষণ পরিচয় আছে; সুতরাং এবিষয়ে আমি যথাসাধ্য চেষ্টা করিতে পারিব।
শ্রী নিখিলনাথ রায় ২৩ শে নবেম্বর ফল্কা হইতে মেজর কিল্- প্যাট্রিক পুনর্ব্বার জগৎশেঠকে লিখিয়া পাঠান যে, তাঁহারই উপর সমস্ত বিষয় নির্ভর করিতেছে এবং একমাত্র তাঁহারই দ্বারা তাঁহারা নবাবের সহিত বিবাদনিষ্পত্তির
শ্রী নিখিলনাথ রায় কিন্তু জগৎশেঠ তাহার কোন সন্তোষজনক উত্তর প্রদান করিতে পারিলেন না। এই অবহেলার ক্ষতিপূরণের জন্য সিরাজ জগৎশেঠকে বণির্মহাজনদিগের নিকট হইতে তিন কোটি টাকা সংগ্রহ করিবার জন্য আদেশ দিলেন।