সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নেই, অধিকাংশে ক্লাস শুরু”
পর্যায়ক্রমে উপাচার্য নিয়োগের মাধ্যমে দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অচলাবস্থা কাটতে শুরু করেছে। এ পর্যন্ত অন্তত ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন উপাচার্য (ভিসি) নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
তবে প্রায় অর্ধেক সংখ্যক বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো উপাচার্য নিয়োগ হয়নি। সেগুলোতে নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। তবে বেশির ভাগ বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হয়েছে।
সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো বলছে, যেসব বিশ্ববিদ্যালয়ে এখনো নিয়োগ হয়নি সেগুলোতে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুযায়ী জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মাধ্যমে জরুরি আর্থিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনা হচ্ছে। কোনো কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগ ছাড়াই একাডেমিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে উপাচার্য না থাকায় পুরোদমে কার্যক্রম চালাতে অসুবিধা হচ্ছে।
শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সূত্র বলছে, তাদের পরিকল্পনা হচ্ছে, পুরোনো ও বড় বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে উপাচার্য নিয়োগ দেওয়া। তারপর পর্যায়ক্রমে অন্যগুলোতে উপাচার্য নিয়োগ করা হবে। এ জন্য উপাচার্য নেই এমন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে জ্যেষ্ঠ অধ্যাপকদের মাধ্যমে জরুরি আর্থিক ও একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “মঙ্গলবার মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন ড. ইউনূস”
গত তিন দশকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো রাষ্ট্র বা সরকারপ্রধানের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের সঙ্গে কোনো বৈঠকের নজির নেই। কিন্তু এবার ড. ইউনূসের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্টের বৈঠকের খবর নিশ্চিত করেছে অন্তর্বর্তী সরকারের নীতিনির্ধারণী পর্যায়ের একটি সূত্র। সব ঠিক থাকলে নিউ ইয়র্কের স্থানীয় সময় ২৪ সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) দুপুরে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের শীর্ষ নেতারা বৈঠকে বসবেন।
ঢাকা ও নিউ ইয়র্কের উচ্চ পর্যায়ের সূত্রগুলো জানিয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) বিকালে ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনের ফাঁকে ইউনুস-বাইডেন বৈঠকের বিষয়টি চূড়ান্ত করা হয়।
এর পরিপ্রেক্ষিতে ২৪ সেপ্টেম্বরের পরিবর্তে ড. ইউনূস কাল ২৩ সেপ্টেম্বর নিউ ইয়র্কের উদ্দেশে রওনা হচ্ছেন। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলার ফাঁকে কোনো দেশের শীর্ষ নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের দ্বিপক্ষীয় সাক্ষাৎ প্রায় বিরল। গত তিন দশকে জাতিসংঘের অধিবেশনের ফাঁকে বাংলাদেশের কোনো শীর্ষ নেতার সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের কোনো বৈঠক হয়নি।
বাংলাদেশের রাষ্ট্র ও সরকারপ্রধানদের সঙ্গে সব সময় যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনায় দেখা হয়েছে, কথা হয়েছে। জো বাইডেনের সঙ্গে বৈঠকের পাশাপাশি ইউরোপীয় কমিশনের প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডের লিয়েনের সঙ্গেও বৈঠক করবেন ড. ইউনূস।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “কূটনীতির হাইপে যেভাবে দেশে বেড়ে চলেছে ইলিশের দাম”
একসময় সাধারণ মধ্যবিত্তের পাতে ছিল ইলিশের নিত্য আনাগোনা। একেবারে নিম্নবিত্তেরও নাগালের বাইরে ছিল না ইলিশ। ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে বিশ্বের বেশির ভাগ ইলিশ বাংলাদেশেই উৎপাদন হয়। গত এক যুগে মাছটির উৎপাদন বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। কিন্তু অর্থনীতির সাধারণ নিয়মের ধারায় উৎপাদন বৃদ্ধির ধারাবাহিকতায় বাজারে সরবরাহ বেড়ে মূল্য হ্রাস পাওয়ার বিষয়টি ইলিশের ক্ষেত্রে ঘটেনি। বরং একই সময়ে উৎপাদনের মতো দামও বেড়ে হয়েছে কয়েক গুণ। আর সাধারণ মধ্যবিত্তের টেবিল থেকে বিদায় নিয়েছে ইলিশ। মাছটির ওপর একচেটিয়া অধিকার তৈরি হয়েছে অভিজাতবর্গের।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সাম্প্রতিক বছরগুলোয় ইলিশের উৎপাদন প্রবৃদ্ধি কিছুটা শ্লথ হয়ে এসেছে। একই সঙ্গে মাছটি হয়ে উঠেছে প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে কূটনীতির হাতিয়ার। আবার এর প্রজননকালীন ব্যবস্থাপনাও প্রতিবেশী দেশটির সঙ্গে সমন্বিত নয়। দুই দেশেই মাছটির বাজারমূল্যও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। আর মধ্য ও নিম্নবিত্তের পাতে ক্রমেই দুষ্প্রাপ্য হয়ে উঠেছে ইলিশ।
কৃষি বিপণন অধিদপ্তর এবং ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালের ডিসেম্বরেও দেশের বাজারে প্রতি কেজি ইলিশের দাম ছিল আকারভেদে ৫০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তা বেড়ে দাঁড়ায় ৬০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায়। আর গতকালের বাজারে আকারভেদে প্রতি কেজি ইলিশ বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকায়। তবে বাজারের ব্যবসায়ীরা বলছেন, ঢাকার কোনো কোনো স্থানে তা আরো বেশি।
ভারতে ইলিশ রফতানি করা হবে না—দায়িত্ব গ্রহণের পর এমন সিদ্ধান্ত জানিয়েছিলেন অন্তর্বর্তী সরকারের সংশ্লিষ্টরা। মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার দায়িত্ব গ্রহণের তিনদিন পর সচিবালয়ে ১১ আগস্ট সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেছিলেন, ‘আমরা ভারতে কোনো ইলিশ পাঠাতে পারব না। এটি দামি মাছ। আমরা দেখেছি যে আমাদের দেশের মানুষই ইলিশ খেতে পারে না। কারণ সব ভারতে পাঠানো হয়। যেগুলো থাকে, সেগুলো অনেক দাম দিয়ে খেতে হয়।’
মানবজমিনের একটি শিরোনাম“রাঙ্গামাটি খাগড়াছড়ি পরিস্থিতি শান্ত”
পার্বত্য দুই জেলা খাগড়াছড়ি ও রাঙ্গামাটিতে বৃহস্পতি ও শুক্রবার সংঘাতের পর গতকালের পরিস্থিতি অনেকটা শান্ত ছিল। নতুন করে সংঘাত না হলেও পরিবহন ধর্মঘট ও অবরোধে স্থবির ছিল পাহাড়ের জনজীবন। চলাচল করেনি স্বল্প ও দূরপাল্লার কোনো যান। ছাড়েনি পণ্যবাহী কোনো গাড়িও। থমথমে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে দুই উপজেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা ও বিভিন্ন রাজনৈতিক-আঞ্চলিক সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠক করেছেন তিন উপদেষ্টা। পাহাড়ে নতুন করে অশান্তি সৃষ্টির চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লে. জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম। পাহাড়ে অশান্তির পেছনে বাইরে ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন উপদেষ্টা এএফ হাসান আরিফ। এদিকে শুক্রবার দুপুরে রাঙ্গামাটি শহরে পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত ১৪৪ ধারা জারি করে প্রশাসন। রাঙ্গামাটির জেলা প্রশাসক মোশারফ হোসেন খান স্বাক্ষরিত গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।
ওদিকে, রাঙ্গামাটি ও খাগড়াছড়িতে সংঘটিত ঘটনায় প্রশাসনের নির্লিপ্ততার অভিযোগ এনে শনিবার সকাল থেকে পুরো পার্বত্যাঞ্চলে ৭২ ঘণ্টার সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচি পালন করছে ইউপিডিএফ’র নেতৃত্বাধীন পাহাড়িদের একাংশ। অপরদিকে নিজেদের গাড়ি ভাঙচুর ও চালকদের কুপিয়ে রক্তাক্ত করাসহ ব্যাপকহারে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবিতে রাঙ্গামাটি থেকে সবধরনের পণ্য ও যাত্রীবাহী যানবাহন চলাচল সম্পূর্ণরূপে বন্ধ রেখেছে রাঙ্গামাটির মোটরমালিক সমিতির নেতৃত্বাধীন অন্যান্য পরিবহন সংগঠনগুলো।
পূর্বপরিকল্পিতভাবে সামপ্রদায়িক ঘটনা ঘটিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি, তারপর প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি, পাহাড়ি চুক্তিবিরোধী সংগঠনের ৭২ ঘণ্টার অবরোধ, শহরের একমাত্র যানবাহন অটোরিকশাসহ সকল প্রকার যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহন চলাচল বন্ধের ফলে রাঙ্গামাটির জনজীবন দুর্বিষহ উঠে উঠেছে। উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা আর আতঙ্কের মধ্যেই রাঙ্গামাটিবাসী পার করছেন প্রতিটি মুহূর্ত। পরিস্থিতির উত্তরণে অত্রাঞ্চলের অধিবাসীদের মাঝে সৃষ্ট আস্থার সংকট নিরসনে শনিবার দুপুরে রাঙ্গামাটিতে সরজমিন পরিদর্শনে আসেন অন্তর্বর্তী সরকারের অন্যতম তিন উপদেষ্টার নেতৃত্বাধীন সরকারের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
Leave a Reply