শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪, ০২:৩৪ অপরাহ্ন

রানা প্লাজা ধসের ১১ বছর; স্মৃতি স্তম্ভে পুষ্পমাল্য অর্পণ বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের

  • Update Time : বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ২.৪৬ পিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক

২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল রানা প্লাজায়  নিহত ও আহত শ্রমিকদের স্মরণে রানা প্লাজা স্মৃতি স্তম্ভের সামনে গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের-সভাপতি-মোশরেফা মিশু ও গার্মেন্টস শ্রমিক ঐক্য ফোরামের-সাধারন সম্পাদক শহীদুল ইসলাম সবুজ পুষ্পমাল্য অর্পণ করে ।

সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন- এড. মাহবুবুর রহমান ইসমাইল-গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন-সমন্বয়কারী।

শ্রমিক নেতা এড.ইসমাইল বলেন, আজ আমরা গভীর শোকাহত। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল, রানা প্লাজা ধসে, ৫ টি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কর্মরত ৩৫৭৭ জন শ্রমিকের মধ্যে ১১৩৯ জন কর্মরত শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে (সরকারি ভাবে ১১৩৭ জন পরে ২ টি কঙ্কাল ও মাথার খুলি উদ্ধার করা হয়েছিল)। ঘটনার পর ৪৪৬ টি মৃতদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছিল, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মৃত্যু হয় ২ জন, ২৯১ টি মৃতদেহ অশনাক্ত অবস্থায় জুরাইন কবরস্থানে দাফন করা হয়।

ধ্বসের পরে

জীবিত উদ্ধারকৃত ২৪৩৮ জন শ্রমিকের মধ্যে ৪৩০ জন মাথায় গুরুতর আঘাতে চিকিৎসাধীন, ৩৬৩ জন শ্রমিকের পায়ে গুরুতর আঘাত পেয়ে পঙ্গু, ২৯৯ জন শ্রমিকের হাত ভেঙ্গে পঙ্গু, ২০৫ জন শ্রমিকের বুকের পাঁজর এবং ১০৪ জন শ্রমিকের মেরুদন্ড ভেঙ্গে গেছে, ২৬৮ জন শ্রমিক মানসিক ভাবে অসুস্থ ও ১৮ জন হাসপাতালে ও নিজ বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। উদ্ধার কাজে নিয়োজিত কর্মী কায়কোবাদের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটেছিল। এই ঘটনা সাড়া বিশ্বে এক কলঙ্কজনক ইতিহাস সংগঠিত হয়েছিল। আজও কর্মস্থলে শ্রমিকের জীবনের নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়নি, যার কারনে টেম্পাকো ফয়েলসে ৩৪ জন, মাল্টিফেবে ১৩ জন, হাশেস ফুড-সেজান জুসে ৫৪ জন শ্রমিকের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে, তাজরীন গার্মেন্টস অগ্নিকান্ডের ১২১ জন শ্রমিক হত্যাকান্ডে দায়ী-দোষীদের মামলা আদালতে ঝুলে আছে, আজও বিচার ও শান্তি হয়নি।

শ্রমিক নেতা এড. ইসমাইল আরও বলেন, বিগত ১১ বছর- প্রায় একযুগ অতিক্রান্ত হলেও রানা প্লাজা ধস সহ বিভিন্ন কল-কারখানায় শ্রমিক হত্যার জন্য দায়ী-দোষীদের বিচার এবং শান্তি না হওয়ায় এটাই প্রমান করে এত বড় অপরাধ হলেও, প্রচলিত আইনে এই শ্রমিক হত্যার বিচার করা সম্ভব নয়। আমারা জানি কোন অপরাধের বিচার বা শান্তি না হলে সমাজে ঐ অপরাধ প্রবণতা আরও বেশি বেড়ে যায় এবং অপরাধীরা উৎসাহিত হয় উঠে। এ কারনে কর্মস্থলে শ্রমিকদের জীবনের নিরাপত্তার জন্য পুরানো আইন সংশোধন করে স্পেশাল এ্যাক্ট (বিশেষ আইন) তৈরি করে স্পেশাল ট্রাইব্যুনাল গঠন করা এখন সভ্যতা ও মানবাধিকররে দাবি। এ লক্ষ্যে আজ দেশের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। রানা প্লাজা ধসের দায়ী-দোষীদের বিচারের শাস্তির দাবিতে সকল শ্রমিক নেতৃবৃন্দ মাননীয় প্রধান বিচারপতির দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

উক্ত আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন –

গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন- সমন্বয়কারী- মো: ইয়াছিন, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন- শবনম হাফিজ/শামিম ইমাম, গার্মেন্টস শ্রমিক অধিকার আন্দোলন-সদস্য সচিব-রাজু আহমেদ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন- সাধারন সম্পাদক-এফ.এম আবু সাঈদ, বাংলাদেশ টেক্সটাইল গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশন- ঢাকা মহানগর- আহবায়ক- মো: রেজাউল করিম, আশুলিয়া থানা কমিটি- সভাপতি- আব্দুল করিম শেখ, আশুলিয়া থানা কমিটি- সাধারন সম্পাদক-মীর তরিকুল ইসলাম সহ সাভার থানা আঞ্চলিক কমিটি নেতৃবৃন্দ- মো: আকমান শেখ, মো: আনোয়ার হোসেন, রবিউল ইসলাম, মদিদুল ইসলাম এবং বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

 

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024