বুধবার, ২২ মে ২০২৪, ০১:৫৯ পূর্বাহ্ন
শিরোনাম :
অহিংসায় অবনত মস্তক মুর্শিদাবাদ-কাহিনী (পর্ব-৬২) নেদারল্যান্ডসে ঝিনুক রেনেসাঁ: সুস্বাদু খাবার থেকে জলবায়ু ত্রাতা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অস্ট্রেলিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ রাষ্ট্রপতি বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে আগামীকাল বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের সংবর্ধনা দিবেন এক্স-রে রিপোর্ট দেরীতে দেয়ায় মৃত্যু মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে কোনও প্রকার আপোস করবে না ইতালির রূপকথা (বে-ইমানের মা) ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রথম শ্রেণীর ১৬৯ শিক্ষার্থীর ভর্তি বাতিল অপেক্ষমাণ তালিকা থেকে ভর্তি নিতে পারবে বিএসএমএমইউ জার্নালের বিশ্ব স্বীকৃতিতে ক্যাম্পাসে আনন্দের বন্যা

গরমে হাসপাতালে বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়ার রোগী

  • Update Time : মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭.১৩ পিএম

সারাক্ষণ ডেস্ক

ভারতীয় গণমাধ্যম হিন্দুস্থান টাইমসের শিরোনাম ‘‘লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কেজরিওয়ালকে কেন গ্রেপ্তার, ইডিকে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের’’

প্রতিবেদনে বলা হয়, সুপ্রিম কোর্ট মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ালের গ্রেপ্তারের সময় সম্পর্কে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটকে (ইডি) জবাব দিতে বলেছে।

দিল্লির আবগারি নীতি মামলায় তাঁর গ্রেপ্তারের বিরুদ্ধে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আবেদনের শুনানি করে শীর্ষ আদালত বলেছে যে, স্বাধীনতা “অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ”। লোকসভা নির্বাচনের ঠিক আগে কেন তাঁকে গ্রেফতার করা হলো, সেই বিষয়ে কেজরিওয়ালের প্রশ্নের জবাব দিতে ইডি-র আইনজীবীকে বলা হয়েছে।

২১ মার্চ অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

 

পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের একটি শিরোনাম ‘‘অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে আইএমএফের ১.১ বিলিয়ন ডলার: প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ’’

খবরে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) বলেছেন যে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) চূড়ান্ত ১.১ বিলিয়ন ডলারের কিস্তি আরও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতা আনবে।
আইএমএফ পাকিস্তানকে প্রায় ১.১ বিলিয়ন ডলার অবিলম্বে বিতরণের অনুমোদন দিয়েছে। এর কার্যনির্বাহী পর্ষদ ওয়াশিংটনে বৈঠক করে এবং এসবিএর অধীনে দ্বিতীয় পর্যালোচনা সম্পন্ন করে। এই ব্যবস্থার অধীনে মোট প্রায় ৩ বিলিয়ন ডলারে আসছে পাকিস্তানে ।

আইএমএফ এক বিবৃতিতে বলেছে, পাকিস্তানকে স্থিতিশীলতা থেকে শক্তিশালী ও টেকসই পুনরুদ্ধারের দিকে নিয়ে যেতে কর্তৃপক্ষকে আর্থিক লক্ষ্যমাত্রা কঠোরভাবে মেনে চলা সহ তাদের নীতি ও সংস্কার প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে।

 

 

 

গালফ নিউজের শিরোনাম ‘‘শারজায় উটের সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু’’

প্রতিবেদনে বলা হয়, শারজায় উটের সঙ্গে ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু হয়েছে। আল মাদাম রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। পুলিশ মঙ্গলবার (৩০ এপ্রিল) জানিয়েছে একটি উটের সঙ্গে গাড়ির ধাক্কায় ২০ বছর বয়সী এক আমিরাতি ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

দুর্ঘটনাটি ঘটে ভোর ৪.৩০ মিনিটের দিকে। পুলিশ অপারেশন রুমে ফোন করে ঘটনার খবর দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে একটি পুলিশ টহল ও অ্যাম্বুলেন্স পাঠানো হয়। লোকটি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তার মৃতদেহ আল ধাইদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে দাফনের জন্য পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

শারজাহ পুলিশ দুর্ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।

 

 

প্রথম আলোর শিরোনাম ‘‘গরমে হাসপাতালে বাড়ছে জ্বর-ডায়রিয়ার রোগী’’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, ঢাকার বাইরের প্রায় সব হাসপাতালেই শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি। বহির্বিভাগেও রোগীর চাপ বেশি।

তাপপ্রবাহে হাসপাতালে রোগীর চাপ বেড়েছে। অনেকে শয্যা না পেয়ে বারান্দায় চিকিৎসা নিচ্ছেন।

জ্বর ও কাশি নিয়ে ৯ মাস বয়সী আলিজা আকতার মায়ের কোলে অনেকটা কাহিল হয়ে পড়েছে। মা আনিছা আকতার তাকে নিয়ে রাজধানীর বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের বহির্বিভাগে চিকিৎসক দেখানোর অপেক্ষায় ছিলেন। গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে আলিজাকে সেবা দেন হাসপাতালের চিকিৎসক মাহফুজ হাসান আল মামুন।

 

চিকিৎসক মাহফুজ বলেন, তাপপ্রবাহের কারণে হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীর চাপ বেড়েছে। শিশুরা এখন জ্বর, সর্দি, কাশির মতো ইনফ্লুয়েঞ্জার (শ্বাসতন্ত্রের ভাইরাসজনিত সংক্রামক রোগ) উপসর্গ নিয়ে বেশি আসছে। পাশাপাশি পানিশূন্যতাজনিত ডায়রিয়ার রোগী বেশি পাওয়া যাচ্ছে।

 

এই চিত্র শুধু রাজধানীর নয়, দেশের ১০টি জেলায় খোঁজ নিয়ে প্রায় একই পরিস্থিতি দেখা গেছে। বিশেষ করে শিশুরা জ্বর, ডায়রিয়া ও বয়স্করা শ্বাসকষ্ট, ডায়রিয়া নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। ঢাকার বাইরের প্রায় সব হাসপাতালেই শয্যার চেয়ে বেশি রোগী ভর্তি আছেন। বহির্বিভাগেও সেবা নিতে আসা রোগীর চাপ বেশি।

 

 

 

মানবজমিনের শিরোনাম ‘‘শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে কী হচ্ছে?’’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়,  একের পর এক হিট এলার্ট দিয়ে যাচ্ছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। তাপমাত্রার পারদ দিনকে দিন চড়ছে। তাপপ্রবাহের শুরু থেকেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার আলোচনা ছিল। এ কারণে ঈদের ছুটির পর এক সপ্তাহ বন্ধ ছিল স্কুল কলেজ। চলমান তাপপ্রবাহের মধ্যেই গত রোববার থেকে খুলে দেয়া হয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। খোলার দিন দুই শিক্ষক এক শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয় গরমজনিত কারণে। এ ছাড়া অসুস্থ হয়ে পড়ে আরও অনেকে। এমন অবস্থায় গতকাল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে এক আইনজীবীর আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেন। এই আদেশের পর প্রাথমিক বিদ্যালয় বৃহস্পতিবার পর্যন্ত বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কিন্তু গোলক ধাঁধায় শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অধীন স্কুল কলেজের ছুটি নিয়ে।

 

উচ্চ আদালনের নির্দেশনার এখতিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষামন্ত্রী মুহিবুল হাসান চৌধুরী। তিনি এও বলেছেন যে, উচ্চ আদালতের লিখিত নির্দেশনা পেলে এর বিরুদ্ধে আপিল করা হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা দিয়ে এমন প্রতিক্রিয়া দেয়া হলেও তাপপ্রবাহের কারণে মঙ্গলবার ২৭ জেলায় শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেয় মন্ত্রণালয়। বাকি জেলাগুলোর বিষয়ে সিদ্ধান্তহীনতায় ছিল শিক্ষা মন্ত্রণালয়। বন্ধের নতুন নির্দেশনা না আসায় এসব জেলায় আজ শ্রেণি কার্যক্রম চলার কথা। এদিকে ছুটি নিয়ে একেক রকম সিদ্ধান্ত আসায় বিপাকে পড়েছেন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। তারা বলছেন, একক সিদ্ধান্ত হলে বন্ধ বা ক্লাশ চলা নিয়ে কোনো ধরনের বিভ্রান্তি তৈরি হবে না।

 

গতকাল ঢাকাসহ পাঁচ জেলায় মাধ্যমিক থেকে কলেজ পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের ক্লাস বন্ধ থাকলেও ক্লাসে যেতে হয়েছে কোমলমতি প্রাথমিকের শিক্ষার্থীদের।

 

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম ‘‘৬৩ বছরের মধ্যে রেকর্ড লবণ উৎপাদন’’

 

 

খবরে বলা হয়, দেশে ৬৩ বছরের ইতিহাসে রেকর্ড লবণ উৎপাদন হয়েছে। রোববার সর্বমোট উৎপাদন হয়েছে ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন। তীব্র তাপপ্রবাহের এ ধারা অব্যাহত থাকলে চলতি বছরের লক্ষ্যমাত্রা পূরণ হয়ে কয়েক লাখ টন বাড়তি লবণ উৎপাদনের সম্ভাবনা দেখছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশন (বিসিক)।

 

বিসিক সূত্রে জানা গেছে, ২০২২-২৩ মৌসুমে দেশে লবণ উৎপাদন হয়েছিল ২২ লাখ ৩২ হাজার ৮৯০ টন। এ হিসাবে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত চলতি মৌসুমে লবণ উৎপাদন হয় ২২ লাখ ৩৪ হাজার ৬৫৮ টন। অর্থাৎ রোববার আগের বছরের বার্ষিক উৎপাদনকে ছাড়িয়ে যায়।

 

 

বিসিকের কর্মকর্তারা বলছেন, দেশে তীব্র তাপপ্রবাহ কৃষি, মৎস্য, পোলট্রিসহ বিভিন্ন খাতে নেতিবাচক প্রভাব ফেললেও লবণ শিল্পের জন্য আশীর্বাদ হয়ে এসেছে। চলতি বছর বাংলাদেশ থেকে প্রথমবারের মতো লবণ রফতানির সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিসিকের লবণসংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।

 

 

 

ইত্তেফাকের শিরোনাম ‘‘সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে’’

 

প্রতিবেদনে বলা হয়, সর্বজনীন পেনশন স্কিমে নিবন্ধন সংখ্যা ১ লাখের মাইলফলক অতিক্রম করেছে। জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, ইতিমধ্যে চাঁদাদাতাদের অর্থ হতে নিরাপদ ট্রেজারি বন্ডে ৪২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। বয়স্ক জনগোষ্ঠীকে একটি টেকসই ও সুসংগঠিত সামাজিক নিরাপত্তা নিশ্চিতকল্পে ২০২৩ সালের ১৭ আগস্ট সর্বজনীন পেনশন স্কিমের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শুরুতে প্রবাস, প্রগতি, সুরক্ষা ও সমতা নামে চারটি স্কিম দিয়ে সর্বজনীন পেনশন স্কিম যাত্রা শুরু করে। পরবর্তী সময় সব স্বশাসিত, স্বায়ত্তশাসিত ও রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠানসমূহের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য প্রত্যয় স্কিম নামে নতুন স্কিম চালু করা হয়েছে, যা আগামী ১ জুলাই ২০২৪ থেকে উল্লিখিত প্রতিষ্ঠানে যোগদানকারী কর্মচারীদের ক্ষেত্রে বাধ্যতামূলকভাবে কার্যকর হবে।

 

সর্বজনীন পেনশনকে জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে মাঠ প্রশাসনকে সক্রিয়ভাবে যুক্ত করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় কর্তৃক জাতীয়, বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে ‘সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রম বাস্তবায়ন ও সমন্বয় কমিটি’ গঠন করা হয়েছে এবং মাঠ প্রশাসনকে সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে। পাশাপাশি, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের কর্মকর্তাদের বিভাগভিত্তিক মনিটরিংয়ের দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে। ফলশ্রুতিতে, কমিশনার, জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারগণ নিয়মিতভাবে যথাক্রমে বিভাগ, জেলা ও উপজেলাভিত্তিক নিবন্ধন মনিটরিংও বাস্তবায়ন করছেন।

 

জাতীয় পেনশন কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গেছে, বিভিন্ন উদ্যোগের ফলে নিবন্ধন সংখ্যার মাইলফলক ১ লাখ অর্জিত হয়েছে বলে কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে। ইতিমধ্যে চাঁদাদাতাদের অর্থ হতে নিরাপদ ট্রেজারি বন্ডে ৪২ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। সর্বজনীন পেনশন কার্যক্রমের নিবন্ধন থেকে শুরু করে মাসিক জমা, হিসাবায়ন, নিবন্ধকারী কর্তৃক তার কর্পাস হিসাব যাচাই ইত্যাদি সব প্রক্রিয়া ডিজিটাল আইটি প্ল্যাটফরমে সম্পাদিত হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024