সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০২:০৪ পূর্বাহ্ন

নদী, সমুদ্র ও সবুজ গাছপালা থাকতেও কেন এ তাপমাত্রা

  • Update Time : রবিবার, ৫ মে, ২০২৪, ৪.০৬ পিএম

 নিজস্ব প্রতিবেদক

বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গ এবং ওডিশ্যা এবার সর্বোচ্চ তাপে পুড়ল। বাংলাদেশ সহ সমু্দ্র উপকূলের ভারতের এ দুই রাজ্যে তাপমাত্রা ছিলো প্রায় একই রকম। মূল তাপমাত্রা ৪১ থেকে ৪২ ডিগ্রীতে উঠলেও ফিলিংস কখনও কখন ৪৭ থেকে ৪৯ অবধি চলে যায়।

ঢাকাতে অনেকে বলেছেন, ঢাকায় গাছ পালা নেই বলেই এমনটি ঘটেছে। একই অভিযোগ কোলকাতার মানুষের। তবে এই মানুষ যদি ২৮ ও ২৯ তারিখের দিকে সুন্দরবনের গায়ে যে কোন নদীর ওপর যেমন বাংলাদেশের শিবসা, পশ্চিমবঙ্গে কলাগাছি বা পুরীর মেরিন ড্রাইভে যেতেন তারা জানতে পারতেন সেখানে তাপমাত্রা ও ফিলিংস ঢাকা বা কোলকাতার থেকে বেশি। অথচ এই সব এলাকা এখনও গাছপালা শুন্য হয়নি।

 তাই স্বাভাবিকই প্রশ্ন উঠছে, কেন এই তাপমাত্রা?

বিবিসি ও রয়টারে দেয়া সাক্ষাত্‌কারে বেশ কয়েকজন আবহাওয়া বা পরিবেশবিদ  আফ্রিকার কয়েকটি দেশের প্রসঙ্গ টেনে বলেছেন, বাস্তবে এবারের এই তীব্র গরমের মাধ্যমে এটাই প্রমানিত হলো যে পৃথিবীতে জলবায়ু পরিবর্তনের যে খারাপ প্রতিক্রিয়ার কথা এতদিন থেকে বলা হচ্ছিলো তা শুরু হয়ে গেছে।

জলবায়ু পরিবর্তনের অন্যতম প্রতিক্রিয়া দেখা যাবে সমুদ্র পৃষ্টের উচ্চতা বাড়া। এবং হিমবাহ কমে যাওয়া।

সমুদ্রপৃষ্টের উচ্চতা বেড়েছে । সমুদ্রবাহী ছাড়া হিমালয় বা নেপাল, সিকিম ও তিব্বতের থেকে উত্‌সারিত অধিকাংশ নদীর পানির উত্‌স যে হিমবাহ তারও বড় অংশ গলে গেছে অনেক বেশি। এবং এবারের তাপমাত্রায় আরো বেশী গলেছে। তাতে যে পানি খুব বেড়েছে তা নয়।

জলবায়ুর পরিবর্তনে আরো অনেক পরিবর্তন খুব দ্রুত দেখা যেতে পারে।

এবারের তাপমাত্রা অনেক বেশি ছিলো আশ্চর্যজনকভাবে সমুদ্র এলাকায়। অর্থাত্‌ সবুজায়নও এ তাপমাত্রাকে ঠেকাতে পারেনি।

তাই স্বাভাবিকই এবারের এই তাপামাত্রার পরে নিঃসন্দেহে এই এলাকার জলবায়ু পরিবর্তনের ভিন্ন ধরনের প্রতিক্রিয়া সামনে এলো। যা হয়তো এতদিন যেমনটি বলা হচ্ছিলো তার থেকে ভিন্ন।

অন্যদিকে এই তীব্র গরম যারা ভোগ করেছে তারাও যেমন দরিদ্র তেমনি যে এলাকায় এ পরিবর্তন শুরু হলো এই এলাকাগুলোর অর্থনীতি ভালো বলা হলেও বাস্তবে যারা গরম ভোগ করেছেন তাদের মতই।

অথচ এবারের এ তাপমাত্রার পরে স্বাভাবিকই যে বিষয়টি সামনে এসেছে তাহলো, পশ্চিমা বা অন্য কোন দেশের মেথড়ে নয়, নিজস্ব মেথডে পরিবেশের সঙ্গে মিলিয়ে গবেষণা প্রয়োজন কেন এ তাপমাত্রা এবং এ এলাকার আবহাওয়া পরিবর্তন কোন দিকে যাচ্ছে?

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024